ঢাকা ০৪:১৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ল্যাঙ্গুর প্রজাতির হনুমান উদ্ধার রায়পুর বন বিভাগের

লক্ষ্মীপুরে লোকালয়ে ধূসর রঙের হনুমান ল্যাঙ্গুর রায়পুরে একটি ধূসর রঙের হনুমান ধরা পড়েছে। হনুমানটি  উপজেলার উত্তর চরআবাবিল ইউনিয়নের উত্তর গাইয়ারচর এলাকায় শ্রীবাস চক্রবর্তীর হেফাজত থেকে  রায়পুর বন বিভাগ নোয়াখালী বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করার কথা রয়েছে।

শনিবার (৯ নভেম্বর) দুপুর ১টার দিকে শ্রীবাস চক্রবর্তী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

হেফাজতে নেওয়া  হনুমানটি ল্যাঙ্গুর প্রজাতির। এশিয়া জুড়ে ছড়িয়ে থাকা ল্যাঙ্গুরের সাতটি প্রজাতির একটি। তাদের নামকরণ করা হয়েছে হিন্দু দেবতা, হনুমান, নিরাময় ও উপাসনার দেবতা, যাকে প্রায়শই আংশিক-মানুষ, অংশ-বানর হিসাবে চিত্রিত করা হয়।

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ক্যাম্পের হাট-বাজারে হনুমানটি দেখা যায়। তখন ঘটনাস্থলে কয়েকজন হনুমানটিকে মারধরের চেষ্টা করে। একপর্যায়ে হনুমানটি গিয়ে শ্রিবাসের কোলে ওঠে। পরে তিনি তাকে বাড়িতে নিয়ে যান।

শ্রীবাস বলেন, হনুমানটি ক্ষুধার্ত ছিল। বাড়িতে এনে তাকে খাবার খাওয়ানো হয়েছে। মানুষজনও এখন তাকে দেখতে আসে, খাবারও দেয়। সে এখন ভালো ও নিরাপদে আছে। বন কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। তিনি এসে নিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন। এ অঞ্চলে এর আগে এমন হনুমান আর দেখা যায়নি।

শ্রীবাসের মেয়ে তিশা চক্রবর্তী বলেন, কয়েকজন লোক হনুমানটিকে মারছিলেন। তখন বাবা দেখে তাকে বাড়িতে নিয়ে আসে। এখন সে আমাদের বাড়িতে আছে। মানুষজনও তাকে দেখতে আসছে।

রায়পুর উপজেলা বন কর্মকর্তা চন্দন ভৌমিক বলেন, শ্রীবাশ নামে এক ব্যক্তি হনুমান উদ্ধারের বিষয়টি আমাকে জানিয়েছেন। হনুমানটি তার হেফাজত আমরা রায়পুর বন বিভাগ সংগ্রহ করে নোয়াখালী বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করব। হয়তো দলছুট হয়ে হনুমানটি ঘটনাস্থলে চলে এসেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

লক্ষ্মীপুরের উত্তরচরবংশী ইউনিয়ন বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের কমিটির বিলুপ্ত  

ল্যাঙ্গুর প্রজাতির হনুমান উদ্ধার রায়পুর বন বিভাগের

আপডেট : ০৬:৩১:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৪

লক্ষ্মীপুরে লোকালয়ে ধূসর রঙের হনুমান ল্যাঙ্গুর রায়পুরে একটি ধূসর রঙের হনুমান ধরা পড়েছে। হনুমানটি  উপজেলার উত্তর চরআবাবিল ইউনিয়নের উত্তর গাইয়ারচর এলাকায় শ্রীবাস চক্রবর্তীর হেফাজত থেকে  রায়পুর বন বিভাগ নোয়াখালী বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করার কথা রয়েছে।

শনিবার (৯ নভেম্বর) দুপুর ১টার দিকে শ্রীবাস চক্রবর্তী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

হেফাজতে নেওয়া  হনুমানটি ল্যাঙ্গুর প্রজাতির। এশিয়া জুড়ে ছড়িয়ে থাকা ল্যাঙ্গুরের সাতটি প্রজাতির একটি। তাদের নামকরণ করা হয়েছে হিন্দু দেবতা, হনুমান, নিরাময় ও উপাসনার দেবতা, যাকে প্রায়শই আংশিক-মানুষ, অংশ-বানর হিসাবে চিত্রিত করা হয়।

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ক্যাম্পের হাট-বাজারে হনুমানটি দেখা যায়। তখন ঘটনাস্থলে কয়েকজন হনুমানটিকে মারধরের চেষ্টা করে। একপর্যায়ে হনুমানটি গিয়ে শ্রিবাসের কোলে ওঠে। পরে তিনি তাকে বাড়িতে নিয়ে যান।

শ্রীবাস বলেন, হনুমানটি ক্ষুধার্ত ছিল। বাড়িতে এনে তাকে খাবার খাওয়ানো হয়েছে। মানুষজনও এখন তাকে দেখতে আসে, খাবারও দেয়। সে এখন ভালো ও নিরাপদে আছে। বন কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। তিনি এসে নিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন। এ অঞ্চলে এর আগে এমন হনুমান আর দেখা যায়নি।

শ্রীবাসের মেয়ে তিশা চক্রবর্তী বলেন, কয়েকজন লোক হনুমানটিকে মারছিলেন। তখন বাবা দেখে তাকে বাড়িতে নিয়ে আসে। এখন সে আমাদের বাড়িতে আছে। মানুষজনও তাকে দেখতে আসছে।

রায়পুর উপজেলা বন কর্মকর্তা চন্দন ভৌমিক বলেন, শ্রীবাশ নামে এক ব্যক্তি হনুমান উদ্ধারের বিষয়টি আমাকে জানিয়েছেন। হনুমানটি তার হেফাজত আমরা রায়পুর বন বিভাগ সংগ্রহ করে নোয়াখালী বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করব। হয়তো দলছুট হয়ে হনুমানটি ঘটনাস্থলে চলে এসেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।