মু.ওয়াহিদুর রহমান মুরাদ:
“স্ব-অর্থায়নে পরিচালিত রাজনীতি ও ধূমপানমুক্ত” শ্লোগানকে উপজীব্য করে জাতীয় মানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ার লক্ষ্যে ২০১১ সালে রায়পুর উপজেলায় পশ্চিম রাখালিয়ায় অবহেলিত বিপুল জনগোষ্ঠীর বহু কাঙ্খিত শিক্ষালয় হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে ব্যতিক্রমধর্মী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রিন্সিপাল কাজী ফারুকী স্কুল এন্ড কলেজ। ইতোমধ্যে প্রতিষ্ঠানটি পূর্ণ করেরছে একযুগ সাফল্যময় স্বর্ণালী সময় পার করছে ।
একযুগ পূর্তি উপলক্ষে বৃহস্পতিবার ১লা ফেব্রুয়ারি রায়পুর শহরে শোভাযাত্রার আয়োজন করেন।এতে কয়েক হাজার শিক্ষার্থী ও শিক্ষক মন্ডলী অংশগ্রহণ করেন।
প্রতিষ্ঠার শুরুতেই রায়পুর উপজেলার পশ্চিম-উত্তর রাখালিয়া ও চরমোহনা গ্রামে দীর্ঘদিন কোন হাইস্কুল ও কলেজ ছিল না। ১৯৭৯ সালে ও ১৯৯৫ সালে দু’দুবার চরমোহনা হাই স্কুল নামে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। কিন্তু অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে যোগ্য নেতৃত্বের অভাবে স্কুলটি বেশিদূর অগ্রসর হতে পারেনি।
২০১১ সালের প্রথম দিকে এ এলাকার জনগণ এক সভা করে পুনরায় আরেকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার জন্য বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ঢাকা কমার্স কলেজের উদ্যোক্তা, প্রতিষ্ঠানা ও সাবেক অধ্যক্ষ এবং Bangladesh University of Business and Technology (BUBT) এর উদ্যোক্তা ও অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা, জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত প্রফেসর কাজী মোঃ নূরুল ইসলাম ফারুকীকে অনুরোধ করেন এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির নাম প্রস্তাব করেন প্রিন্সিপাল কাজী ফারুকী স্কুল এন্ড কলেজ।
তিনি জনসভাকে আশ্বস্ত করেন যে, আপনাদের সহযোগিতা পেলে এলাকায় একটি মানসনম্পন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার জন্য প্রয়োজনীয় ভূমি ও অর্থের যোগান দেয়া হবে।
এ লক্ষ্যে প্রফেসর কাজী ফারুকী কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করা হয়। উক্ত সভায় প্রয়েসর কাজী ফারুকীকে আহবায়ক করে ৯ সদস্যের একটি সাংগঠনিক ও বাস্তবায়ন কমিটি গঠন করা হয়।
অতঃপর স্কুল ও কলেজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ১ বৈশাখ ১৪১৮/ ১৪ এপ্রিল ২০১১ তারিখে প্রিন্সিপাল কাজী ফারুকী স্কুল এন্ড কলেজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের মাধ্যমে যাত্রা শুরু হয়।
প্রফেসর কাজী ফারুকী নিজের ও পরিবারের সঞ্চিত অর্থ, ৬০ লক্ষ টাকা ব্যাংক ঋণ এবং ঢাকার ধানমন্ডিতে অবস্থিত একটি ফ্ল্যাট বিক্রয়লব্ধ অর্থব্যয়ে ‘প্রিন্সিপাল কাজী ফারুকী স্কু এন্ড কলেজ’র ৬ তলাবিশিষ্ট ভবন নির্মান করেন।
সরকারি বিধি মোতাবেক স্কুল ও কলেজের জন্য ২ একর জমি প্রফেসর কাজী ফারুকী দান করেন। তাছাড়া স্কুল ও কলেজের নাম প্রিন্সিপাল কাজী ফারুকীর নামে হওয়ার কারণে সরকারি নীতি অনুযায়ী স্কুলের জন্য ১০ লক্ষ টাকা এবং কলেজের জন্য ১৫ লক্ষ টাকার FDR করতে হয়েছে।
মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড কুমিল্লা বরাবর প্রতিষ্ঠানের পাঠদানের অনুমতির জন্য আবেদন করলে ১৫ জানুয়ারি’১২ তারিখে কলেজের পাঠদানের অনুমতি প্রদান করে। ২০১৫ সালে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে স্কুল ও কলেজকে স্বীকৃতি প্রদান করা হয়।