ঢাকা ০৮:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আওয়ামী লীগ নেতা হত্যায় যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে গ্রেপ্তার র‌্যাবের।

   লক্ষ্মীপুরে আওয়ামী লীগ নেতা ওমর ফারুককে গুলি করে হত্যার ঘটনার মামলায় যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মো. আউয়ালকে (৩৯) গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) সদস্যরা।

বুধবার (২৪ জানুয়ারি) বিকেলে র‌্যাব-১১ এর নোয়াখালী ক্যাম্পের স্কোয়াড কমান্ডার গোলাম মোর্শেদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) রাতে চট্টগ্রাম মহানগরের ইপিজেড এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার আউয়াল সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের পশ্চিম লতিফপুর গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে। ঘটনার পর থেকে তিনি প্রায় ৮ বছর ৪ মাস পলাতক ছিলেন।

র‌্যাব-১১ এর নোয়াখালী ক্যাম্পের স্কোয়াড কমান্ডার গোলাম মোর্শেদ জানান, হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পর থেকেই আসামি আউয়াল পলাতক ছিলেন।

পলাতক আউয়ালকে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় গ্রেপ্তার করে চন্দ্রগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়। গত বছর ১২ অক্টোবর হত্যা মামলায় আউয়ালসহ নয়জনকে যাবজ্জীবন সাজা দিয়েছেন আদালত।

এজাহার সূত্র জানা যায়, ওমর ফারুক চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ছিলেন। তিনি একই ইউনিয়নের পশ্চিম লতিফপুর গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে।

স্থানীয় সন্ত্রাস নির্মূল কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে ২০১৫ সালের ৩১ আগস্ট চন্দ্রগঞ্জ থানার নতুন ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি স্থানীয় সন্ত্রাসী বাহিনীর বিরুদ্ধে বক্তব্য দেন।

পরদিন ০১ সেপ্টেম্বর সকালে সন্ত্রাসীরা তাকে গুলি করে হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী ফাতেমা বেগম বাদী হয়ে নয়জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা আটজনের বিরুদ্ধে চন্দগ্রঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

২০১৬ সালের ১০ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সেসময়ের উপ-পরিদর্শক গোলাম হক্কানি ১৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে প্রতিবেদন দেন।

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

লক্ষ্মীপুরের উত্তরচরবংশী ইউনিয়ন বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের কমিটির বিলুপ্ত  

আওয়ামী লীগ নেতা হত্যায় যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে গ্রেপ্তার র‌্যাবের।

আপডেট : ১২:০৯:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৪

   লক্ষ্মীপুরে আওয়ামী লীগ নেতা ওমর ফারুককে গুলি করে হত্যার ঘটনার মামলায় যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মো. আউয়ালকে (৩৯) গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) সদস্যরা।

বুধবার (২৪ জানুয়ারি) বিকেলে র‌্যাব-১১ এর নোয়াখালী ক্যাম্পের স্কোয়াড কমান্ডার গোলাম মোর্শেদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) রাতে চট্টগ্রাম মহানগরের ইপিজেড এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার আউয়াল সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের পশ্চিম লতিফপুর গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে। ঘটনার পর থেকে তিনি প্রায় ৮ বছর ৪ মাস পলাতক ছিলেন।

র‌্যাব-১১ এর নোয়াখালী ক্যাম্পের স্কোয়াড কমান্ডার গোলাম মোর্শেদ জানান, হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পর থেকেই আসামি আউয়াল পলাতক ছিলেন।

পলাতক আউয়ালকে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় গ্রেপ্তার করে চন্দ্রগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়। গত বছর ১২ অক্টোবর হত্যা মামলায় আউয়ালসহ নয়জনকে যাবজ্জীবন সাজা দিয়েছেন আদালত।

এজাহার সূত্র জানা যায়, ওমর ফারুক চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ছিলেন। তিনি একই ইউনিয়নের পশ্চিম লতিফপুর গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে।

স্থানীয় সন্ত্রাস নির্মূল কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে ২০১৫ সালের ৩১ আগস্ট চন্দ্রগঞ্জ থানার নতুন ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি স্থানীয় সন্ত্রাসী বাহিনীর বিরুদ্ধে বক্তব্য দেন।

পরদিন ০১ সেপ্টেম্বর সকালে সন্ত্রাসীরা তাকে গুলি করে হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী ফাতেমা বেগম বাদী হয়ে নয়জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা আটজনের বিরুদ্ধে চন্দগ্রঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

২০১৬ সালের ১০ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সেসময়ের উপ-পরিদর্শক গোলাম হক্কানি ১৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে প্রতিবেদন দেন।