জাল ভোট ও শিশুদের দিয়ে ভোটের অভিযোগ এনে ভোট বর্জন জাপা ও জাকেরপার্টির।
-
ডেস্ক রিপোর্ট :
-
আপডেট :
০২:৪৮:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ নভেম্বর ২০২৩
-
৩
জন পড়েছেন
শিশুদের দিয়ে জাল ভোট ,এজেন্ট বের করে দেয়া সহ নানান অভিযোগ এনে লক্ষ্মীপুরে -৩ সংসদীয় উপনির্বাচনে ভোট বর্জন করেছে জাপা সমর্থিত রাকিব হোসেন ও জাকের পার্টির প্রার্থী শামসুল করিম খোকন। লক্ষ্মীপুর প্রেসক্লাবে বেলা ২টায় এই ঘোষণা দেন দুই প্রার্থী।
লাঙ্গল প্রতীক প্রার্থী রাকিব হোসেন সংবাদ সম্মেলনে বলেন ,দেউলিয়া আওয়ামী লীগের একমাত্র ভরসা জালভোট। প্রশাসন নির্বিকার । হাজীর পাড়াতে লাঙ্গলের এজেন্ট কে বের করে দেয়া হয়েছে। কফিল উদ্দীন ডিগ্রী কলেজে ১২/১৩ বছরের শিশুরা গনহারে নৌকায় ভোট দিচ্ছে । বাঙ্গাখাঁ তে একই ব্যক্তি ১০/১৫ বার করে কেন্দ্রে ঢুকছে। পুলিশ কোনায় বসে বাদাম চিবুচ্ছে।লাহারকান্দি তে জালভোট এর মহোৎসব চলছে। দিঘলী তে একজন ভোটার কে ৩/৪ টা করে ব্যালট পেপার দেয়া হচ্ছে আর নৌকায় সীল মেরে বাক্স ভর্তি করা হচ্ছে। ভবানীগন্জে লাঙ্গলের এজেন্ট কে হুমকি ধামকী দিয়ে তার সামনেই প্রকাশ্যে নৌকার বাক্স ভর্তি করা হচ্ছে।আওয়ামী লীগের দেউলিয়াত্বের চরম বহিঃপ্রকাশ প্রহসনের এই নির্বাচন। জনগনের ভোটে আওয়ামী লীগ কখনোই বিজয়ী হবেনা।ইলেকশন ইন্জিনিয়ারিং, কেন্দ্র ম্যাকানিজম আর জালভোট ই তাদের একমাত্র উপায়।জালভোট আর কেন্দ্র দখলের প্রহসনের এই নির্বাচন বর্জন করছে জাতীয় পার্টি। জাতীয় পার্টি একটি শান্তি প্রিয় দল। শান্তি প্রিয় সাধারণ জনগনকে সাথে নিয়েই আওয়ামী লীগের কফিনে শেষ পেরেক মারা হবে ।
লক্ষ্মীপুুর ১১৫টি ভোট কেন্দ্রে ৮২৭টি ভোটকক্ষে ব্যালট পেপারের মাধ্যমে ভোট নেওয়া হচ্ছে। নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, লক্ষ্মীপুর পৌরসভা ও ১২টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত এ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা চার লাখ তিন হাজার ৭৪৪ জন।
এর মধ্যে পুরুষ ভোটার দুই লাখ নয় হাজার ৯৬ জন ও নারী ভোটার এক লাখ ৯৪ হাজার ৬৪৮ জন।
নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকু, জাতীয় পার্টি (জাপা) সমর্থিত লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী মোহাম্মদ রাকিব হোসেন, জাকের পার্টির প্রার্থী গোলাপ ফুল প্রতীকের মোহাম্মদ শামসুল করিম খোকন ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) প্রার্থী আম প্রতীকের সেলিম মাহমুদ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে। ভোটকেন্দ্রে দায়িত্বরত পুলিশের পাশাপাশি কেন্দ্রের আশপাশে পুলিশের মোবাইল টিম রয়েছে।
পুরো নির্বাচনী এলাকায় পুলিশের ২৩টি মোবাইল টিম ও দুই থানার আওতায় সাতটি স্ট্রাইকিং ফোর্স নিয়োজিত রয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ তারেক বিন রশিদ।
এছাড়া আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে পুলিশের পাশাপাশি র্যাব, বিজিবি ও আনসার বাহিনীর সদস্যরাও মাঠে রয়েছেন।
এদিকে উপনির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও কুমিল্লা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেন জানিয়েছেন, কেন্দ্রগুলোতে নিরাপত্তার দায়িত্বে ৯৫০ জন পুলিশ ও এক হাজার ৪৯৫ জন আনসার সদস্যকে মোতায়েন করা হয়েছে।
এছাড়া একজন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও ১৬ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নির্বাচনী এলাকায় দায়িত্ব পালন করছেন। ম্যাজিস্ট্রেটের অধীনে সাত প্লাটুন র্যাব ও ছয় প্লাটুন বিজিবি পুরো নির্বাচনী এলাকায় নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করছে।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর বার্ধক্যজনিত কারণে লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম শাহজাহান কামালের মৃত্যু হলে আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়। পরে উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
ট্যাগ :