আপডেট :
১১:৪৯:৩০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৩
১
জন পড়েছেন
বিএনপি-জামায়াতের দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা হরতালের তেমন প্রভাব পড়েনি লক্ষ্মীপুরে। জনজীবন স্বাভাবিক থাকলেও সড়কে অন্যান্য দিনের তুলনায় আঞ্চলিক যানবাহন চলাচল কিছুটা কম। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ছেড়ে যায়নি দূরপাল্লার কোনো বাস।
সকাল থেকে লক্ষ্মীপুর জেলা শহরসহ বিভিন্ন এলাকার পয়েন্টগুলো ঘুরে বিএনপি-জামায়াতের কোনো নেতাকর্মীকে সড়কে দেখা যায়নি। পুলিশের পাশাপাশি বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নিয়েছে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীবৃন্দ।
সড়ক ঘুরে দেখা গেছে, বিভিন্ন সড়কে ছোট ও মাঝারি ধরনের সিএনজিচালিত অটোরিকশা, প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস ও পিকআপে যাত্রী পরিবহন করছে। এ ছাড়া মালবাহী ট্রাক চলাচল আগের মতোই চলছে।
শহরের উত্তর স্টেশন বাসস্ট্যান্ডে লক্ষ্মীপুর থেকে ঢাকা ও চট্টগ্রাম অভিমুখী বাসগুলো পার্কিংয়ে থাকতে দেখা গেলেও বিআরটিসির ঢাকামুখী বাসস্ট্যান্ড থেকে সড়কে বেরিয়ে যেতে দেখা গেছে।
জেলা শহরসহ জেলার বিভিন্ন সড়কে অনেকটা শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিরাজ করছে। জীবনযাত্রাও স্বাভাবিক রয়েছে।
এদিকে হরতালে সড়কে শান্তি-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে জেলার গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
বিএনপি –জামায়াতের অবৈধ হরতাল,সন্ত্রাস নৈরাজ্যের প্রতিবাদে রায়পুর উপজেলা আওয়ামী লীগ,পৌর আওয়ামীলীগ ও সকল সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতরাতে বিএনপির ডাকা সারাদেশে হরতালের প্রতিবাদে লক্ষ্মীপুরে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল করা হয়েছে। শনিবার (২৮ অক্টোবর) রাত ৮টার দিকে জেলা শহরের উত্তর তেমুহনী এলাকা থেকে মিছিলটি শুরু হয়।
আ.লীগের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল ।
পরে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে দক্ষিণ তেমুহনী এলাকায় গিয়ে মিছিল শেষ হয়। এসময় মিছিল থেকে নেতাকর্মীরা ককটেল ফাটিয়ে বাজারে আতঙ্ক সৃষ্টি করে বলে অভিযোগ উঠেছে।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরউদ্দিন চৌধুরী নয়ন এমপির নেতৃত্বে এতে উপস্থিত ছিলেন লক্ষ্মীপুর পৌরসভার মেয়র মোজাম্মেল হায়দার মাসুম ভূঁইয়া, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম সালাহ উদ্দিন টিপু, আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল মতলব, লক্ষ্মীপুর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি সৈয়দ আহম্মদ পাটওয়ারী, জেলা কৃষকলীগের আহবায়ক সিএম আবদুল্লাহ, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নুরুল আজিম বাবর, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল জব্বার লাভলু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাকিব হোসেন লোটাস, লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজের সাবেক সভাপতি আমজাদ হোসেন আজিম, সদর (পূর্ব) উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক ইউনুছ হাওলাদার রূপমসহ বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী।
এদিকে মিছিল থেকে বিএনপির অগ্নি-সন্ত্রাস, অনিয়ম-দুর্নীতি ও নৈরাজ্য তুলে ধরে বিভিন্ন স্লোগান দেয় নেতাকর্মীরা। রোববার মাঠে থেকে বিএনপিকে দমনে হুঁশিয়ারি দেয় বিক্ষুব্ধরা।
এছাড়া লক্ষ্মীপুর উত্তর তেমুহনীসহ বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নিয়েছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। বিএনপি-জামায়াতকে হরতাল, অগ্নি সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে দেওয়া হবে না বলে জানান তারা।
লক্ষ্মীপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আবু বকর সিদ্দিকী জানান, অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।