ঢাকা ০৬:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার মরদেহ উদ্ধার,পারিবারিক কোন্দলে হত্যা দাবী পরিবারের।

লক্ষ্মীপুরে দোকানঘরের দরজা ভেঙে স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক নেতা আবদুল্লাহ আল নোমান সুমন ক্বারীর (৪২) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (২১ অক্টোবর) বিকেলে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার বাঞ্চানগর এলাকার তার নিজের দোকানঘর কাম অফিস থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

এ সময় ঘটনাস্থল থেকে মাদক সেবনের বিভিন্ন সরঞ্জাম জব্দ করা হয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) বাসা থেকে বের হয়ে আর ফেরেননি তিনি।

নিহত আবদুল্লাহ আল নোমান সুমন ক্বারী সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক আহ্বায়ক ও লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের ক্বারী বাড়ির মৃত আমির হোসেন ডিলারের ছেলে। সংসারে তার স্ত্রী, দুই মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। তিনি লক্ষ্মীপুর পৌর যুবলীগের সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক হ্যামেল ক্বারীর বড় ভাই।

পুলিশ জানায়, দোকানঘরটি পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে সুমন ঘরে ফেরেনি। মোবাইলফোনে কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি। শনিবার বিকেলে প্রতিবেশীরা ওই ঘরে উঁকি দিয়ে দেখার চেষ্টা করেন। এ সময় তাকে পড়ে থাকতে দেখা যায়। কিন্তু ডাকাডাকি করলেও তিনি সাড়া দিচ্ছিলেন না। এতে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন। পরে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ঘরটির ভেতর থেকে দরজা বন্ধ ছিল। এতে পুলিশ দরজা ভেঙে ভেতরে ঢোকে।

নিহতের স্ত্রী ফাহমিদা আক্তার ও এক স্বজন জানান, পারিবারিকভাবে সুমনের সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে। এতে সুমন তার স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে বাসা ভাড়া থাকতেন। শহরের লিল্লাহ মসজিদ এলাকায় তার দুটি দোকানঘর রয়েছে। এর একটি তিনি আক্তার আলম নামে এক ব্যক্তির কাছে ভাড়া দেন। আর অন্যটিতে তিনি নিজেই আড্ডা দিতেন। কয়েক মাস আগে মাদক সেবনকালে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ তাকে আটক করে। পরে তিনি জেলও খেটেছেন। তার ধারণা ছিল ভাড়াটে আক্তার তাকে পুলিশের হাতে ধরিয়ে দিয়েছেন। এতে তিনি জেল থেকে ছাড়া পেয়ে আক্তারের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। এদিকে প্রায় সাত মাস ধরে আক্তার তাকে দোকান ভাড়া দিচ্ছেন না। এনিয়ে বিভিন্ন সময় তার সঙ্গে কথা কাটকাটি হয়।

তবে এ ব্যাপারে চেষ্টা করেও দোকানঘরের ভাড়াটিয়া আক্তার আলমের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আক্তার দোকানের জন্য একটি বৈদ্যুতিক মিটার সংযোগ নিয়েছেন। এজন্য তিনি দোকান ভাড়া দিতেন না।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ সোহেল রানা জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। তবে তিনি মাদকসেবী ছিলেন। অতিরিক্ত মাদক সেবনের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

লক্ষ্মীপুরের উত্তরচরবংশী ইউনিয়ন বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের কমিটির বিলুপ্ত  

স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার মরদেহ উদ্ধার,পারিবারিক কোন্দলে হত্যা দাবী পরিবারের।

আপডেট : ০৯:৫৬:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ অক্টোবর ২০২৩

লক্ষ্মীপুরে দোকানঘরের দরজা ভেঙে স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক নেতা আবদুল্লাহ আল নোমান সুমন ক্বারীর (৪২) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (২১ অক্টোবর) বিকেলে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার বাঞ্চানগর এলাকার তার নিজের দোকানঘর কাম অফিস থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

এ সময় ঘটনাস্থল থেকে মাদক সেবনের বিভিন্ন সরঞ্জাম জব্দ করা হয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) বাসা থেকে বের হয়ে আর ফেরেননি তিনি।

নিহত আবদুল্লাহ আল নোমান সুমন ক্বারী সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক আহ্বায়ক ও লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের ক্বারী বাড়ির মৃত আমির হোসেন ডিলারের ছেলে। সংসারে তার স্ত্রী, দুই মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। তিনি লক্ষ্মীপুর পৌর যুবলীগের সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক হ্যামেল ক্বারীর বড় ভাই।

পুলিশ জানায়, দোকানঘরটি পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে সুমন ঘরে ফেরেনি। মোবাইলফোনে কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি। শনিবার বিকেলে প্রতিবেশীরা ওই ঘরে উঁকি দিয়ে দেখার চেষ্টা করেন। এ সময় তাকে পড়ে থাকতে দেখা যায়। কিন্তু ডাকাডাকি করলেও তিনি সাড়া দিচ্ছিলেন না। এতে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন। পরে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ঘরটির ভেতর থেকে দরজা বন্ধ ছিল। এতে পুলিশ দরজা ভেঙে ভেতরে ঢোকে।

নিহতের স্ত্রী ফাহমিদা আক্তার ও এক স্বজন জানান, পারিবারিকভাবে সুমনের সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে। এতে সুমন তার স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে বাসা ভাড়া থাকতেন। শহরের লিল্লাহ মসজিদ এলাকায় তার দুটি দোকানঘর রয়েছে। এর একটি তিনি আক্তার আলম নামে এক ব্যক্তির কাছে ভাড়া দেন। আর অন্যটিতে তিনি নিজেই আড্ডা দিতেন। কয়েক মাস আগে মাদক সেবনকালে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ তাকে আটক করে। পরে তিনি জেলও খেটেছেন। তার ধারণা ছিল ভাড়াটে আক্তার তাকে পুলিশের হাতে ধরিয়ে দিয়েছেন। এতে তিনি জেল থেকে ছাড়া পেয়ে আক্তারের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। এদিকে প্রায় সাত মাস ধরে আক্তার তাকে দোকান ভাড়া দিচ্ছেন না। এনিয়ে বিভিন্ন সময় তার সঙ্গে কথা কাটকাটি হয়।

তবে এ ব্যাপারে চেষ্টা করেও দোকানঘরের ভাড়াটিয়া আক্তার আলমের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আক্তার দোকানের জন্য একটি বৈদ্যুতিক মিটার সংযোগ নিয়েছেন। এজন্য তিনি দোকান ভাড়া দিতেন না।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ সোহেল রানা জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। তবে তিনি মাদকসেবী ছিলেন। অতিরিক্ত মাদক সেবনের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।