লক্ষ্মীপুর জেলা জুড়ে উন্নয়ন ও রাজনীতিতে অগ্রণী ভূমিকা এমপি নয়নের।
-
ডেস্ক রিপোর্ট :
-
আপডেট :
০১:৩৮:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৩
-
১
জন পড়েছেন
লক্ষ্মীপুরের ৪টি আসনে নৌকা প্রতীকে প্রার্থীরা বিজয়ী হলেও সাংগঠনিক ও উন্নয়নে তেমন দেখা মিলেনি বিগত ৫ বছরেও! উপ -নির্বাচনে জয়ী নুরউদ্দিন চৌধুরী নয়ন ব্যতিত কারোই উন্নয়ন কর্মকান্ড ও রাজনৈতিক সাংগঠনিক তৎপরতা চোখে পড়েনি তেমন।
লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলা ও সদরের কিছু অংশ নিয়ে গঠিত জাতীয় সংসদের ২৭৫ নম্বর আসন লক্ষ্মীপুর-২। আসনটির বর্তমান সংসদ সদস্য বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন। বিএনপির দুর্গ হিসেবে পরিচিত এ আসনে আওয়ামী লীগের দ্বিতীয় সংসদ সদস্য নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন। প্রথমজন হিসেবে এর আগে এই আসনের উপনির্বাচনে নির্বাচিত সংসদ সদস্য ছিলেন দলটির সাবেক যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক হারুনুর রশিদ। বাঘা বাঘা রাজনীতিবিদের চারণভূমি খ্যাত এই লক্ষ্মীপুর-২ আসনটির বর্তমান সংসদ সদস্য নুর উদ্দিন নয়ন এমপি যেন সেসব বাঘা রাজনীতিবিদেরই উত্তরসূরী। আজকের এই বাঘা রাজনীতিবিদের রাজনৈতিক ক্যারিয়ারও বর্তমানে যুগ জয়ী ইতিহাসের স্বর্ণ খচিত অধ্যয়। ছাত্র জীবনে ছিলেন ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত।জেলা সদরের লক্ষ্মীপুর আদর্শ সামাদ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে শুরু তার ছাত্র রাজনীতি।
১৯৭৮ সাল থেকে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত লক্ষ্মীপুর আদর্শ সামাদ উচ্চ বিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে করেছেন দায়িত্ব পালন। ১৯৮০ থেকে ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত টানা তিন বছর ছিলেন লক্ষ্মীপুর পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি। একই বছর অর্থাৎ ১৯৮৩ থেকে ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত পালন করেন লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতির গুরুদায়িত্ব। পরে চলমান পদ থেকেই ১৯৮৬ সালে লক্ষ্মীপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়ে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত পালন করেন এই দায়িত্ব।
১৯৮৮ সালে ছাত্রলীগের রাজনীতি শেষে একই বছর যোগ দেন মুল সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে। আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েই চমক দেখান তৎকালীন সদ্য সাবেক জেলা ছাত্রলীগের এই সভাপতি। পরে ১৯৮৮ থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত লক্ষ্মীপুর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, ১৯৯৪ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত লক্ষ্মীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, ২০০৩ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন এই নেতা। এরপর ২০১৫ সালের পর সম্প্রতি আরেকটি কাউন্সিলের মাধ্যমে এখন পর্যন্ত লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে করছেন দ্বায়িত্ব পালন।
দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে নানান চড়াই-উতরাই পেরিয়ে ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত স্বতন্ত্র প্রার্থী কাজী শহিদ ইসলাম পাপুল কুয়েতের আদালতে দন্ডপ্রাপ্ত হয়ে বিধি অনুযায়ী ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সংসদ সদস্য পদ হারালে একই বছরের জুনে অনুষ্ঠিত উপনির্বাচনে জাতীয় পার্টির (জাপা) শেখ ফায়িজ উল্লাহ শিপনকে হারিয়ে সংসদ সদস্য পদে জয়লাভ করেন অ্যাডভোকেট নূরউদ্দিন চৌধুরী নয়ন এম,পি।
নির্বাচিত হওয়ার পরে ধাপে ধাপে নিজ নির্বাচনী এলাকার রাস্তা-ঘাট, মসজিদ-মাদ্রাসা সংস্কারের কাজে নেমে পড়েন তিনি। পেয়েছেন অনেকটা সফলতা। তাছাড়া সম্পন্ন করেন দলের উপজেলা, পৌর, ইউনিয়নসহ বেশ কয়েকটি ইউনিটের সম্মেলন। অঙ্গসংগঠনগুলোর কমিটি নবায়নেরও উদ্যোগ গ্রহণ করেন তিনি।
২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে নির্বাচনী এলাকার মানুষের বিশুদ্ধ পানির কষ্ট লাগব করতে দেড় শতাধিক নলকূপের সরকারি ফি প্রতিটি ৭ হাজার টাকা করে নিজ আয়ের অর্থ দিয়ে পরিশোধ করেন তিনি।
১৯৭৮ সালে স্কুল ছাত্রলীগের সভাপতি পদে নির্বাচিত হওয়ার পর দীর্ঘ প্রায় ৪৪ বছরের রাজনৈতিক জীবনের চলমান সময়ে ২০২১ এ এসে নির্বাচিত হন সংসদ সদস্য পদে। অচিরেই এই সময়কাল হয়তো গড়াবে অর্ধশতাব্দীর পথে।দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের এই সময়ে ছাত্রনেতা থেকে তিনি হয়ে উঠেছেন জননেতা- বলছেন দলটির বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা। প্রায় ৫০ বছর ছুঁইছুঁই এ সময়ে এসে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লক্ষ্মীপুর-২ আসন থেকে দলের মনোনয়ন পাবেন এই নেতা- এমনটিই প্রত্যাশা দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের।
লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামীলীগ সাধারন সম্পাদক ও সংসদ সদস্য নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন বলেন , রাজনীতি আমি ছোট বেলা থেকেই উপভোগ করছি ।এখানে কর্মীদের ভালোবাসাই আমার মূল সম্বল।দিন – রাত তাদের নিয়ে ব্যস্ততা কাটে আমার দিনগুলো। সংসদ সদস্য হিসেবে জনগনের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছি ।যেখানে দল দেখে আমি উন্নয়ন বরাদ্দ দেইনি। ইনশাআল্লাহ আগামীতেও নেত্রী আমাকে মূল্যায়ন করবেন।
ট্যাগ :