ঢাকা ১১:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দালাল আর আ্যম্বুলেন্স চালক সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম;রোগীদের হয়রানি।

(১ম পর্ব)
নিজস্ব প্রতিবেদক:
লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে দালালদের দৌরাত্ম্য বেড়ে গেছে। এতে প্রতিনিয়ত রোগী ও তাঁদের স্বজনেরা হয়রানি ও লাঞ্চনার শিকার হচ্ছেন। হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারী, অ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভার, স্থানীয় বেসরকারি ক্লিনিক মালিকেরা এই দালাল চক্র গড়ে তুলেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আর এতে শেল্টার দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে খোদ হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা: আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, বিএনপি সরকারের আমলে চাকরি নেয়া একটি চক্র সরকারের দুর্নাম রটাতে জিম্মি করে রেখেছে পুরো ব্যবস্থাপনাকে। তারা কারও নির্দেশও মানছে না। স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে সরকার এখানে সবকিছু পূরণ করে দিয়েছে। তবে সিন্ডিকেট সদস্যরা হাসপাতালকে দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত করেছে। এছাড়া হাসপাতালের মেডিকেল সার্টিফিকেট বাণিজ্যের অভিযোগ করেছেন অনেকেই।
রোগী ও স্বজনদের অভিযোগ, হাসপাতাল থেকে যে খাবার পরিবেশন করা হয় তা মুখে দেয়া যায় না। বেশির ভাগ রোগীই বাইরের হোটেল অথবা বাড়ি থেকে খাবার এনে ক্ষুধা নিবারণ করছে।
এছাড়া পর্যাপ্ত ঔষধ বরাদ্দ থাকা সত্বেও হাসপাতাল থেকে রোগীদের সরবরাহ না দিয়ে বাইরের ফার্মেসী থেকে কেনার পরামর্শ দেয়া হয়।
এ সুযোগে হাসপাতালের সামনের খাবার দোকান ও ফার্মেসীগুলো রোগীদের সাথে গলাকাটা ব্যাবসা করছে।

জানা যায়, গত মাসে সদর উপজেলা উত্তর টুমচর গ্রামের শহিদ উল্যাহ পেটে ব্যাথা ও শ্বাস কষ্ট নিয়ে সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়। হাসপাতালের সীট খালি দেখে রোগীর স্বজনরা সিটে উঠে। এর কিছুক্ষণ পরই সদর হাসপাতালের এমএলএস ক্যাসিন চাকমা এসেই রোগীকে সিট থেকে বাহিরে ফেলে দেওয়ার হুমকিসহ অশালীন আচরণ করেন। বিষয়টি গণমাধ্যমকর্মীরা জানতে চাইলে তাদের সাথে অসাধাচরণ করে ৪র্থ শ্রেণির এই কর্মচারী। একই দুর্ব্যবহার করা হয় চিকিৎসা নিতে আসা অনেকের সাথেই।

এনিয়ে দু:খ প্রকাশ করেছেন আরএমও ডা: আনোয়ার হোসেন। কিন্তু কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় এধরণের ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটছে।

বুধবার(১৪ জুন) সকালে সরকারী আ্যাম্বুলেন্স চালক মহিব উল্যা সেবাপ্রার্থী রোগী ও রোগীর লোকজনের সাথে একইভাবে অসদাচরনের পুনরাবৃত্তির ঘটনা ঘটায়। এদিন বিষয়টি নিয়ে হাসপাতালের সামনে দুই পক্ষের উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে আরএমও তা নিরসনে ভূমিকা না রেখে আ্যম্বুলেন্স চালক ও দালালদের উস্কানী দিয়ে সেবাপ্রার্থী রোগীর লোকজনকে আরও নাজেহাল করতে উস্কানী দেয়।এতে ক্ষোভ ও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে সিভিল সার্জন ডাঃ আহমেদ কবীর বলেন, রোগীদের সাথে দুর্ব্যবহার খুবই দু:খজনক। বৃহস্পতিবার হাসপাতালে অভিযুক্ত দুই কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়েছে। জড়িত থাকার প্রমাণ মিললে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। (চলবে)

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

লক্ষ্মীপুরের উত্তরচরবংশী ইউনিয়ন বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের কমিটির বিলুপ্ত  

দালাল আর আ্যম্বুলেন্স চালক সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম;রোগীদের হয়রানি।

আপডেট : ০৩:৫৫:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ জুন ২০২৩

(১ম পর্ব)
নিজস্ব প্রতিবেদক:
লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে দালালদের দৌরাত্ম্য বেড়ে গেছে। এতে প্রতিনিয়ত রোগী ও তাঁদের স্বজনেরা হয়রানি ও লাঞ্চনার শিকার হচ্ছেন। হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারী, অ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভার, স্থানীয় বেসরকারি ক্লিনিক মালিকেরা এই দালাল চক্র গড়ে তুলেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আর এতে শেল্টার দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে খোদ হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা: আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, বিএনপি সরকারের আমলে চাকরি নেয়া একটি চক্র সরকারের দুর্নাম রটাতে জিম্মি করে রেখেছে পুরো ব্যবস্থাপনাকে। তারা কারও নির্দেশও মানছে না। স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে সরকার এখানে সবকিছু পূরণ করে দিয়েছে। তবে সিন্ডিকেট সদস্যরা হাসপাতালকে দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত করেছে। এছাড়া হাসপাতালের মেডিকেল সার্টিফিকেট বাণিজ্যের অভিযোগ করেছেন অনেকেই।
রোগী ও স্বজনদের অভিযোগ, হাসপাতাল থেকে যে খাবার পরিবেশন করা হয় তা মুখে দেয়া যায় না। বেশির ভাগ রোগীই বাইরের হোটেল অথবা বাড়ি থেকে খাবার এনে ক্ষুধা নিবারণ করছে।
এছাড়া পর্যাপ্ত ঔষধ বরাদ্দ থাকা সত্বেও হাসপাতাল থেকে রোগীদের সরবরাহ না দিয়ে বাইরের ফার্মেসী থেকে কেনার পরামর্শ দেয়া হয়।
এ সুযোগে হাসপাতালের সামনের খাবার দোকান ও ফার্মেসীগুলো রোগীদের সাথে গলাকাটা ব্যাবসা করছে।

জানা যায়, গত মাসে সদর উপজেলা উত্তর টুমচর গ্রামের শহিদ উল্যাহ পেটে ব্যাথা ও শ্বাস কষ্ট নিয়ে সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়। হাসপাতালের সীট খালি দেখে রোগীর স্বজনরা সিটে উঠে। এর কিছুক্ষণ পরই সদর হাসপাতালের এমএলএস ক্যাসিন চাকমা এসেই রোগীকে সিট থেকে বাহিরে ফেলে দেওয়ার হুমকিসহ অশালীন আচরণ করেন। বিষয়টি গণমাধ্যমকর্মীরা জানতে চাইলে তাদের সাথে অসাধাচরণ করে ৪র্থ শ্রেণির এই কর্মচারী। একই দুর্ব্যবহার করা হয় চিকিৎসা নিতে আসা অনেকের সাথেই।

এনিয়ে দু:খ প্রকাশ করেছেন আরএমও ডা: আনোয়ার হোসেন। কিন্তু কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় এধরণের ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটছে।

বুধবার(১৪ জুন) সকালে সরকারী আ্যাম্বুলেন্স চালক মহিব উল্যা সেবাপ্রার্থী রোগী ও রোগীর লোকজনের সাথে একইভাবে অসদাচরনের পুনরাবৃত্তির ঘটনা ঘটায়। এদিন বিষয়টি নিয়ে হাসপাতালের সামনে দুই পক্ষের উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে আরএমও তা নিরসনে ভূমিকা না রেখে আ্যম্বুলেন্স চালক ও দালালদের উস্কানী দিয়ে সেবাপ্রার্থী রোগীর লোকজনকে আরও নাজেহাল করতে উস্কানী দেয়।এতে ক্ষোভ ও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে সিভিল সার্জন ডাঃ আহমেদ কবীর বলেন, রোগীদের সাথে দুর্ব্যবহার খুবই দু:খজনক। বৃহস্পতিবার হাসপাতালে অভিযুক্ত দুই কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়েছে। জড়িত থাকার প্রমাণ মিললে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। (চলবে)