লক্ষ্মীপুরে ও রায়পুরে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালিত।
-
ডেস্ক রিপোর্ট :
-
আপডেট :
১২:৪৯:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ মে ২০২৩
-
১
জন পড়েছেন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট :
লক্ষ্মীপুর জেলা ও রায়পুর উপজেলায় শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় বুধবার বিকেল ৪টায় আওয়ামীলীগ দলীয় কার্যালয়ে।
লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামীলীগ ও সকল সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগ সাধারন সম্পাদক এড.নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন এমপি। এই সময়ে জেলা আওয়ামীলীগ ও সদর উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিক রায়পুরে বুধবার বাদ মাগরিব আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। আওয়ামী লীগ নেতা প্রবীণ কাউন্সিলর জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে এবং রায়পুর পৌরমেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন রুবেল ভাট প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন রায়পুর পৌর আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক আবু সাইদ জুটন। পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি শুরু করেন পৌর আওয়ামীলীগের ওয়ার্ডের সিনিয়র সহ-সভাপতি ডাক্তার মিজানুর রহমান পাটোয়ারী । অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগ যুবলীগ স্বেচ্ছাসেবক লীগ মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন ।
পৌর আওয়ামীলীগ সাধারন সম্পাদক আবু সাইদ জুটন বলেন ,বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে এক নজর দেখতে সেদিন সারা বাংলাদেশের মানুষের গন্তব্য ছিল রাজধানী ঢাকা। স্বাধীনতার অমর স্লোগান, ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ ধ্বনিতে প্রকম্পিত হয় বাংলার আকাশ-বাতাস। জনতার কণ্ঠে বজ্রনিনাদে ঘোষিত হয়েছিল ‘হাসিনা তোমায় কথা দিলাম পিতৃ হত্যার বদলা নেব’, ‘ঝড়-বৃষ্টি আঁধার রাতে আমরা আছি তোমার সাথে’, ‘শেখ হাসিনার আগমন, শুভেচ্ছা স্বাগতম’ ।এ সময় পৌর আওয়ামীলীগের সকল নেতা – কর্মীকে অনুষ্ঠানে আসায় ধন্যবাদ জানান উপস্থিতির জন্য। ।
স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষ্যে সহযোগী সংগঠন এর নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন উল্লেখযোগ্য রায়পুর উপজেলা আওয়ামীলীগ এর সাংগঠনিক সম্পাদক তানভীর হায়দার চৌধুরী রিংকু, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক জাকির পাটোওয়ারী, পৌর আওয়ামীলীগ নেতা রফিক বাঙ্গালী ,নাসির উদ্দিন রাসেল, ইসমাইল হোসেন প্রমুখ।
উপজেলা আওয়ামীলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক তানভীর হায়দার চৌধুরী রিংকু বলেন ,আজকের প্রধানমন্ত্রী দশেখ হাসিনা দেশে ফিরে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও স্বপ্ন বাস্তবায়নের দৃঢ় অঙ্গীকার, বঙ্গবন্ধু হত্যা ও জাতীয় ৪ নেতা হত্যার বিচার, স্বৈরতন্ত্রের চির অবসান ঘটিয়ে জনগণের হারানো গণতান্ত্রিক অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা, সার্বভৌম সংসদীয় পদ্ধতির শাসন ও সরকার প্রতিষ্ঠার শপথ নিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন শেখ হাসিনা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা আওয়ামীলীগ যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও পৌর মেয়র গিয়াসউদ্দীন রুবেল ভাট বলেন ,প্রায় অর্ধশতাধিকবার মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসা উন্নয়নের রুপকার বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজের জীবনের মায়া না করেই দেশে ফিরে আসেন। ফিরে আসাটাও স্বাভাবিক ছিলো না। অনেক সংগ্রামের পথ ছিলো। আগামীদিনেও আওয়ামীলীগকে ক্ষমতায় আনতে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে ঐক্যবদ্ধ ভাবে নৌকাকে বিজয়ী করতে সেই লক্ষ্যে কাজ করতে হবে । প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সামরিক শাসকের রক্তচক্ষু ও নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ১৯৮১ সালের ১৭ মে প্রিয় স্বদেশভূমিতে প্রত্যাবর্তন করেন। দীর্ঘ ৬ বছর নির্বাসন শেষে বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে ফিরে আসেন তিনি। সেদিন রাজধানী ঢাকা মিছিলের নগরীতে পরিণত হয়। সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত ঢাকা শহর মিছিল আর স্লোগানে প্রকম্পিত হয়। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া আর প্রচন্ড ঝড়-বৃষ্টিও সেদিন লাখো মানুষের মিছিলকে গতিরোধ করতে পারেনি। কুর্মিটোলা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও শেরেবাংলা নগর পরিণত হয় জনসমুদ্রে। বিকেল সাড়ে ৪টায় আকাশে যখন শেখ হাসিনাকে বহনকারী বিমানটি দেখা যায়, তখন সব নিয়ন্ত্রণ আর অনুরোধ আবেদন অগ্রাহ্য করে হাজারো মানুষ বিমানবন্দরের ভেতরে ঢুকে যায়। অনেকটা ঝুঁকি নিয়েই বিমানটি অবতরণ করে। জনতা একেবারেই বিমানের কাছে চলে যায়। বহু চেষ্টার পর জনতার শ্রোতকে কিছুটা সরিয়ে ট্রাকটি ককপিটের দরজার একেবারে সামনে নেওয়া হয়। এই সময়ে শেখ হাসিনা ভেতর থেকে জনতার উদ্দেশে হাত নাড়েন।বেলা ৪টা ৩২ মিনিটে শেখ হাসিনা সিঁড়ি দিয়ে ট্রাকে নেমে আসেন। কুর্মিটোলা থেকে শেখ হাসিনার শেরেবাংলা নগরে এসে পৌঁছতে সময় লাগে ৩ ঘণ্টা। এ সময় ঝড় বৃষ্টিতে নগর জীবন প্রায় বিপন্ন। রাস্তাঘাট স্বাভাবিক জীবন যখন ব্যাহত তখন এখানে অপেক্ষা করে কয়েক লাখ মানুষ। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় তিনি গণসংবর্ধনা মঞ্চে উপস্থিত হন।
ট্যাগ :