ঢাকা ০১:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দালাল বাজারে ফজরের নামাজ পড়ে হাটতে বের হয়ে পূত্রের সামনে ট্রেনিং কারের ধাক্কায় পিতার মূত্যু, আহত দুজন।

  • ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট : ০৭:০০:১৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২১ অক্টোবর ২০২২
  • ১ জন পড়েছেন

শিশুপুত্র মো. ইসমাইল হোসেনের (৯) সামনেই লক্ষ্মীপুরে একটি ট্রেনিংকার তার বাবা লেদু মিয়াকে (৪৫) চাপা দিলে ঘটনাস্থল মৃত্যুবরণ করে। একই সময় হোসেন বয়াতি ও মেসির আহমেদ নামে দুইজন আহত হন।

শুক্রবার (২১ অক্টোবর) ভোর সাড়ে ৬ টার দিকে সদর উপজেলার দালালবাজার এলাকায় লক্ষ্মীপুর-ঢাকা আঞ্চলিক মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এদিকে হাসপাতালে নিহতের মরদের জড়িয়ে ধরে সহধর্মিণী রুনা বেগম ও শিশুপুত্র ইসমাইলকে চিৎকার করে কাঁদতে দেখা যায়।

নিহত লেদু মিয়া লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম লক্ষ্মীপুর এলাকার হিরা গাজী বাড়ির সফিক উল্যার ছেলে। তিনি পেশায় ভ্যানগাড়ি চালক ছিলেন। তার ১ ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী মোশাররফ হোসেন ও ইসমাইল হোসেন জানায়, ফজরের নামাজ শেষে লেদু মিয়াসহ আহতরা হাটতে বের হয়েছিলেন। ঘটনার সময় একটি ট্রেনিংকার পেছন থেকে তাদের ধাক্কা দেয়। এতে হোসেন বয়াতি ও মেসির আহমেদ রাস্তার পাশে পড়ে যায়। ট্রেনিংকারের ধাক্কায় লেদু মিয়া পাশের জঙ্গলার ভেতর গিয়ে পড়ে। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। আহতরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছে।

সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক একে আজাদ জানান, হাসপাতালে আনার আগেই রোগীর মৃত্যু হয়৷ মরদেহ লাশঘরে রাখা আছে। লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মমিনুল হক বলেন, ঘটনাটি কেউ আমাদের জানায়নি। খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

লক্ষ্মীপুরের উত্তরচরবংশী ইউনিয়ন বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের কমিটির বিলুপ্ত  

দালাল বাজারে ফজরের নামাজ পড়ে হাটতে বের হয়ে পূত্রের সামনে ট্রেনিং কারের ধাক্কায় পিতার মূত্যু, আহত দুজন।

আপডেট : ০৭:০০:১৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২১ অক্টোবর ২০২২

শিশুপুত্র মো. ইসমাইল হোসেনের (৯) সামনেই লক্ষ্মীপুরে একটি ট্রেনিংকার তার বাবা লেদু মিয়াকে (৪৫) চাপা দিলে ঘটনাস্থল মৃত্যুবরণ করে। একই সময় হোসেন বয়াতি ও মেসির আহমেদ নামে দুইজন আহত হন।

শুক্রবার (২১ অক্টোবর) ভোর সাড়ে ৬ টার দিকে সদর উপজেলার দালালবাজার এলাকায় লক্ষ্মীপুর-ঢাকা আঞ্চলিক মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এদিকে হাসপাতালে নিহতের মরদের জড়িয়ে ধরে সহধর্মিণী রুনা বেগম ও শিশুপুত্র ইসমাইলকে চিৎকার করে কাঁদতে দেখা যায়।

নিহত লেদু মিয়া লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম লক্ষ্মীপুর এলাকার হিরা গাজী বাড়ির সফিক উল্যার ছেলে। তিনি পেশায় ভ্যানগাড়ি চালক ছিলেন। তার ১ ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী মোশাররফ হোসেন ও ইসমাইল হোসেন জানায়, ফজরের নামাজ শেষে লেদু মিয়াসহ আহতরা হাটতে বের হয়েছিলেন। ঘটনার সময় একটি ট্রেনিংকার পেছন থেকে তাদের ধাক্কা দেয়। এতে হোসেন বয়াতি ও মেসির আহমেদ রাস্তার পাশে পড়ে যায়। ট্রেনিংকারের ধাক্কায় লেদু মিয়া পাশের জঙ্গলার ভেতর গিয়ে পড়ে। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। আহতরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছে।

সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক একে আজাদ জানান, হাসপাতালে আনার আগেই রোগীর মৃত্যু হয়৷ মরদেহ লাশঘরে রাখা আছে। লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মমিনুল হক বলেন, ঘটনাটি কেউ আমাদের জানায়নি। খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।