ঢাকা ১১:০৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রামগতিতে ১৪ জেলের জরিমানা,জাল ও চিংড়ি রেণু জব্দ ভ্রাম্ম্যমান আদালতের।

 

লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে পৃথক অভিযানে ১৪ জেলের অর্থদণ্ড এবং এক লাখ চিংড়ি রেণু জব্দ করেছে প্রশাসন ও মৎস্য অধিদফতর। জব্দকৃত রেণুগুলো নদীতে অবমুক্ত করা হয়েছে।

উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, রোববার (৭ মে) রামগতি উপজেলার চর আলেকজান্ডার ইউনিয়নের মুন্সিরহাট এলাকার মেঘনা নদীতে অবৈধ ‘বেহুন্দী’ জাল দিয়ে মাছ ধরার অপরাধে ১৪ জন জেলেকে আটক করা হয়। পরে রাতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাদের প্রত্যেকের ৩ হাজার টাকা করে ৪২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

অভিযানে জব্দকৃত দুটি বেহুন্দী জাল পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।

একইদিন বিকেলে উপজেলার চরগাজী ইউনিয়নের বয়ারচর, জয়নাল তেমুহনী ও পাটোয়ারী ব্রিজ এলাকার আটটি আড়তে অভিযান চালিয়ে অবৈধ চিংড়ির রেণু রাখার ২২০টি ড্রাম ও ৬০টি চাড়িতে রাখা প্রায় এক লাখ চিংড়ির রেণু জব্দ করা হয়।

পরে জব্দকৃত চিংড়িগুলো নদীতে অবমুক্ত করা হয়েছে এবং ড্রাম ও চাড়িগুলো বিনষ্ট করা হয়।

ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এম শান্তুনু চৌধুরী। অভিযানে সহায়তা করেন সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দীন, কোস্টগার্ড ও থানা পুলিশের সদস্যরা।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দীন বলেন, নদীতে মৎস্য সম্পদ রক্ষায় দিনভর অভিযান চালানো হয়েছে। অবৈধ জাল এবং চিংড়ি রেণু আহরণকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এম শান্তুনু চৌধুরী বলেন ,আমি যোগদানের পর থেকে সকল অন্যায় ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংসকারীদের বিরুদ্ধে কঠিন ব্যবস্থা নিচ্ছি ।এই অভিযান অব্যাহত থাকবে জনস্বার্থে ও দেশের স্বার্থে।

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

লক্ষ্মীপুরের উত্তরচরবংশী ইউনিয়ন বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের কমিটির বিলুপ্ত  

রামগতিতে ১৪ জেলের জরিমানা,জাল ও চিংড়ি রেণু জব্দ ভ্রাম্ম্যমান আদালতের।

আপডেট : ০৫:০০:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ মে ২০২৩

 

লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে পৃথক অভিযানে ১৪ জেলের অর্থদণ্ড এবং এক লাখ চিংড়ি রেণু জব্দ করেছে প্রশাসন ও মৎস্য অধিদফতর। জব্দকৃত রেণুগুলো নদীতে অবমুক্ত করা হয়েছে।

উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, রোববার (৭ মে) রামগতি উপজেলার চর আলেকজান্ডার ইউনিয়নের মুন্সিরহাট এলাকার মেঘনা নদীতে অবৈধ ‘বেহুন্দী’ জাল দিয়ে মাছ ধরার অপরাধে ১৪ জন জেলেকে আটক করা হয়। পরে রাতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাদের প্রত্যেকের ৩ হাজার টাকা করে ৪২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

অভিযানে জব্দকৃত দুটি বেহুন্দী জাল পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।

একইদিন বিকেলে উপজেলার চরগাজী ইউনিয়নের বয়ারচর, জয়নাল তেমুহনী ও পাটোয়ারী ব্রিজ এলাকার আটটি আড়তে অভিযান চালিয়ে অবৈধ চিংড়ির রেণু রাখার ২২০টি ড্রাম ও ৬০টি চাড়িতে রাখা প্রায় এক লাখ চিংড়ির রেণু জব্দ করা হয়।

পরে জব্দকৃত চিংড়িগুলো নদীতে অবমুক্ত করা হয়েছে এবং ড্রাম ও চাড়িগুলো বিনষ্ট করা হয়।

ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এম শান্তুনু চৌধুরী। অভিযানে সহায়তা করেন সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দীন, কোস্টগার্ড ও থানা পুলিশের সদস্যরা।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দীন বলেন, নদীতে মৎস্য সম্পদ রক্ষায় দিনভর অভিযান চালানো হয়েছে। অবৈধ জাল এবং চিংড়ি রেণু আহরণকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এম শান্তুনু চৌধুরী বলেন ,আমি যোগদানের পর থেকে সকল অন্যায় ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংসকারীদের বিরুদ্ধে কঠিন ব্যবস্থা নিচ্ছি ।এই অভিযান অব্যাহত থাকবে জনস্বার্থে ও দেশের স্বার্থে।