ঢাকা ১০:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পরীক্ষা দিয়ে চাইনিজে বসায় মেয়ের বাবার মারধর।

 

লক্ষ্মীপুরে রেস্টুরেন্টের ভেতরে ঢুকে মো. তামিম নামে এক এসএসসি পরীক্ষার্থীকে কোপানোর অভিযোগ উঠেছে। মেয়ে বন্ধুর বাবা লক্ষ্মীপুর সাবরেজিস্ট্রি অফিসের কর্মচারী এ ঘটনা ঘটিয়েছেন।

রোববার দুপুর ২টার দিকে শহরের পিটিআই মোড় এলাকার একটি রেস্টুরেন্টে এ ঘটনা ঘটে। সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আহত শিক্ষার্থী তামিম তার বান্ধবীর বাবা ফরিদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেন। ঘটনার পর থেকেই ফরিদ আত্মগোপনে রয়েছেন।

আহত তামিম লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের মজুপুর এলাকার নুরনবী শামিমের ছেলে ও লক্ষ্মীপুর আদর্শ সামাদ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী। তার বান্ধবীও এসএসসি দিচ্ছে।

অভিযুক্ত শেখ ফরিদ রামগতি উপজেলার বাসিন্দা। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে শহরের মোবারক কলোনি এলাকা ভাড়া বাসায় থাকেন।

হাসপাতালে আহত তামিম ও তার বন্ধুরা জানায়, মেয়েটির সঙ্গে তামিমের ভালো সম্পর্ক রয়েছে। ইংরেজি দ্বিতীয় বিষয়ে পরীক্ষা শেষে দুইজনেই রেস্টুরেন্টে খেতে যায়। খাবার খাওয়ার সময় হঠাৎ করে সাইমার বাবা রেস্টুরেন্টে ঢুকে তাদের এলোপাতাড়ি মারধর করেন। একপর্যায়ে ফরিদ ছুরি দিয়ে তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করেন। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।

লক্ষ্মীপুর ফ্রাইড চিকেন অ্যান্ড শর্মা হাউসের ম্যানেজার মো. নুরনবী বলেন, আমি রান্না ঘরে ছিলাম। আমার রেস্টুরেন্টে অনেক কাস্টমার ছিল। হঠাৎ করে একজন মুরব্বি এসে দুইজন শিক্ষার্থীকে মারধর করে। একপর্যায়ে আমি তাকে ছাড়ানোর চেষ্টা করেছি। তিনি আমাকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেয়। ছেলেটি শরীরে রক্ত দেখেছি। মেয়েটি দৌড়ে চলে গেছে। আর মুরব্বির হাতে ছুরি দেখেছি। পরে শুনেছি, মুরব্বি মেয়েটির বাবা।

বক্তব্য জানতে শহরের সমসেরাবাদ এলাকার মোবারক কলোনির ভাড়া বাসায় গিয়ে শেখ ফরিদকে পাওয়া যায়নি। তবে তার ছেলে জাহিদুল ইসলাম জিপু মোবাইল ফোনে নিউজ না করার জন্য অনুরোধ করেন; কিন্তু এ নিয়ে কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হননি।

সদর হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক একে আজাদ বলেন, ছেলেটির হাত ও মাথায় তিনটি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসলেহ উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বাসায় খোঁজ করে অভিযুক্তকে পাওয়া যায়নি। হাসপাতালে গিয়ে পুলিশ ক্ষতিগ্রস্ত ছাত্রসহ অন্যদের সঙ্গে কথা বলেছে। এ ব্যাপারে থানায় লিখিত অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে।

 

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

লক্ষ্মীপুরের উত্তরচরবংশী ইউনিয়ন বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের কমিটির বিলুপ্ত  

পরীক্ষা দিয়ে চাইনিজে বসায় মেয়ের বাবার মারধর।

আপডেট : ১২:৪১:৫২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৮ মে ২০২৩

 

লক্ষ্মীপুরে রেস্টুরেন্টের ভেতরে ঢুকে মো. তামিম নামে এক এসএসসি পরীক্ষার্থীকে কোপানোর অভিযোগ উঠেছে। মেয়ে বন্ধুর বাবা লক্ষ্মীপুর সাবরেজিস্ট্রি অফিসের কর্মচারী এ ঘটনা ঘটিয়েছেন।

রোববার দুপুর ২টার দিকে শহরের পিটিআই মোড় এলাকার একটি রেস্টুরেন্টে এ ঘটনা ঘটে। সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আহত শিক্ষার্থী তামিম তার বান্ধবীর বাবা ফরিদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেন। ঘটনার পর থেকেই ফরিদ আত্মগোপনে রয়েছেন।

আহত তামিম লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের মজুপুর এলাকার নুরনবী শামিমের ছেলে ও লক্ষ্মীপুর আদর্শ সামাদ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী। তার বান্ধবীও এসএসসি দিচ্ছে।

অভিযুক্ত শেখ ফরিদ রামগতি উপজেলার বাসিন্দা। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে শহরের মোবারক কলোনি এলাকা ভাড়া বাসায় থাকেন।

হাসপাতালে আহত তামিম ও তার বন্ধুরা জানায়, মেয়েটির সঙ্গে তামিমের ভালো সম্পর্ক রয়েছে। ইংরেজি দ্বিতীয় বিষয়ে পরীক্ষা শেষে দুইজনেই রেস্টুরেন্টে খেতে যায়। খাবার খাওয়ার সময় হঠাৎ করে সাইমার বাবা রেস্টুরেন্টে ঢুকে তাদের এলোপাতাড়ি মারধর করেন। একপর্যায়ে ফরিদ ছুরি দিয়ে তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করেন। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।

লক্ষ্মীপুর ফ্রাইড চিকেন অ্যান্ড শর্মা হাউসের ম্যানেজার মো. নুরনবী বলেন, আমি রান্না ঘরে ছিলাম। আমার রেস্টুরেন্টে অনেক কাস্টমার ছিল। হঠাৎ করে একজন মুরব্বি এসে দুইজন শিক্ষার্থীকে মারধর করে। একপর্যায়ে আমি তাকে ছাড়ানোর চেষ্টা করেছি। তিনি আমাকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেয়। ছেলেটি শরীরে রক্ত দেখেছি। মেয়েটি দৌড়ে চলে গেছে। আর মুরব্বির হাতে ছুরি দেখেছি। পরে শুনেছি, মুরব্বি মেয়েটির বাবা।

বক্তব্য জানতে শহরের সমসেরাবাদ এলাকার মোবারক কলোনির ভাড়া বাসায় গিয়ে শেখ ফরিদকে পাওয়া যায়নি। তবে তার ছেলে জাহিদুল ইসলাম জিপু মোবাইল ফোনে নিউজ না করার জন্য অনুরোধ করেন; কিন্তু এ নিয়ে কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হননি।

সদর হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক একে আজাদ বলেন, ছেলেটির হাত ও মাথায় তিনটি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসলেহ উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বাসায় খোঁজ করে অভিযুক্তকে পাওয়া যায়নি। হাসপাতালে গিয়ে পুলিশ ক্ষতিগ্রস্ত ছাত্রসহ অন্যদের সঙ্গে কথা বলেছে। এ ব্যাপারে থানায় লিখিত অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে।