ঢাকা ০৭:০১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুক্তিপণ না দেয়ায় মান্দারীর যুবককে হত্যার অভিযোগে ২জন আটক দাবী র‌্যাবের।

  • ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট : ১২:২২:০৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • ১ জন পড়েছেন

লক্ষ্মীপুরে অপহরণের পর ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ না পেয়ে রিয়াজ হোসেন (২৫) নামে এক ফার্নিচার কারিগরকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে সদর উপজেলার মান্দারী ইউনিয়নের মান্দারী পূর্ব বাজার এলাকার উম্মে সালমা ভবনের নিচতলার একটি কক্ষ থেকে অপহরণের দুই দিন পর তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহত রিয়াজ উপজেলার দত্তপাড়া ইউনিয়নের করইতলা গ্রামের তোফায়েল আহমেদ দুলালের ছেলে ও মান্দারী বাজারের দ্বীন ইসলাম ফার্নিচার দোকানের নকশার কারিগর।

পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১১টার দিকে দোকান থেকে বের হওয়ার পর তিনি নিখোঁজ হন। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রিয়াজের মোবাইল থেকেই অপহরণকারীরা কল দিয়ে পরিবারের কাছে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। একই দিন সন্ধ্যায় নিহতের মা খুরশিদা বেগম চন্দ্রগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। এর প্রেক্ষিতেই তদন্ত শুরু করে চন্দ্রগঞ্জ থানা পুলিশ। ঘটনাটি থানা থেকে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য র‌্যাবের কাছে সহযোগিতা চাওয়া হয়। পরে প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে মান্দারী বাজারের একটি ভবনের নিচতলার একটি কক্ষ থেকে রিয়াজের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

স্থানীয় সূত্র জানায়, রিয়াজের বড় ভাই রুবেলের সঙ্গে মান্দারী বাজারে একটি ফার্নিচারের দোকানে নকশার কারিগর হিসেবে কাজ করতেন রিয়াজ হোসেন। তার সঙ্গে কাউছার নামে আরও একজন নকশার কারিগর ছিলেন। কাউছার বাজারের পাশেই উম্মে সালমা ভবনের নিচতলায় ভাড়া থাকতেন। সেখান থেকেই রিয়াজের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। স্থানীয়দের ধারণা, ঘটনার সঙ্গে কাউছার জড়িত।

নিহতের বাবা তোফায়েল আহমেদ বলেন, দুই দিন আগে আমার ছেলেকে অপহরণ করা হয়। পরে তার মোবাইল থেকেই কল দিয়ে ৫ লাখ টাকা দাবি করে। ওই টাকা না দেওয়ায় অপহরণকারীরা আমার ছেলেকে হত্যা করেছে।

অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা ও চন্দ্রগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আবদুর রহিম জানান, নিহতের মায়ের অভিযোগ পেয়ে র‌্যাবের সহযোগিতায় তারা তদন্ত শুরু করেন। এরপর জানতে পারেন, দুই মাস আগে থেকে উম্মে সালমা ভবনের নিচতলায় ভাড়া থাকতেন রিয়াজ। বৃহস্পতিবার রাত ১টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গেলে তার (রিয়াজ) মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। মরদেহ থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, প্রথম দিনই তাকে হত্যা করা হয়েছে। তার মাথায় ছোরার আঘাত ছিল। এছাড়া শরীরের বিভিন্ন অংশে কালচে জখম দেখা গেছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুজনকে থানায় আনা হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত চলছে।

তবে র‌্যাব-১১ কোম্পানি কমান্ডারল লে.ক. মাহমুদ হত্যাকান্ডের ঘটনায় জড়িত দুজনকে আটক করা হয়েছে প্রযুক্তিগত সহায়তায় বলে নিশ্চিত করেন। আগামীকাল শনিবার প্রেস ব্রিফিং করে বিস্তারিত জানাবেন বলেও গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন।

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

চুরির অপবাদে প্রকাশ্যেই খুঁটির সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন,জড়িতদের ধরতে অভিজান চলছে – ওসি সদর

মুক্তিপণ না দেয়ায় মান্দারীর যুবককে হত্যার অভিযোগে ২জন আটক দাবী র‌্যাবের।

আপডেট : ১২:২২:০৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

লক্ষ্মীপুরে অপহরণের পর ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ না পেয়ে রিয়াজ হোসেন (২৫) নামে এক ফার্নিচার কারিগরকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে সদর উপজেলার মান্দারী ইউনিয়নের মান্দারী পূর্ব বাজার এলাকার উম্মে সালমা ভবনের নিচতলার একটি কক্ষ থেকে অপহরণের দুই দিন পর তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহত রিয়াজ উপজেলার দত্তপাড়া ইউনিয়নের করইতলা গ্রামের তোফায়েল আহমেদ দুলালের ছেলে ও মান্দারী বাজারের দ্বীন ইসলাম ফার্নিচার দোকানের নকশার কারিগর।

পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১১টার দিকে দোকান থেকে বের হওয়ার পর তিনি নিখোঁজ হন। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রিয়াজের মোবাইল থেকেই অপহরণকারীরা কল দিয়ে পরিবারের কাছে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। একই দিন সন্ধ্যায় নিহতের মা খুরশিদা বেগম চন্দ্রগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। এর প্রেক্ষিতেই তদন্ত শুরু করে চন্দ্রগঞ্জ থানা পুলিশ। ঘটনাটি থানা থেকে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য র‌্যাবের কাছে সহযোগিতা চাওয়া হয়। পরে প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে মান্দারী বাজারের একটি ভবনের নিচতলার একটি কক্ষ থেকে রিয়াজের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

স্থানীয় সূত্র জানায়, রিয়াজের বড় ভাই রুবেলের সঙ্গে মান্দারী বাজারে একটি ফার্নিচারের দোকানে নকশার কারিগর হিসেবে কাজ করতেন রিয়াজ হোসেন। তার সঙ্গে কাউছার নামে আরও একজন নকশার কারিগর ছিলেন। কাউছার বাজারের পাশেই উম্মে সালমা ভবনের নিচতলায় ভাড়া থাকতেন। সেখান থেকেই রিয়াজের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। স্থানীয়দের ধারণা, ঘটনার সঙ্গে কাউছার জড়িত।

নিহতের বাবা তোফায়েল আহমেদ বলেন, দুই দিন আগে আমার ছেলেকে অপহরণ করা হয়। পরে তার মোবাইল থেকেই কল দিয়ে ৫ লাখ টাকা দাবি করে। ওই টাকা না দেওয়ায় অপহরণকারীরা আমার ছেলেকে হত্যা করেছে।

অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা ও চন্দ্রগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আবদুর রহিম জানান, নিহতের মায়ের অভিযোগ পেয়ে র‌্যাবের সহযোগিতায় তারা তদন্ত শুরু করেন। এরপর জানতে পারেন, দুই মাস আগে থেকে উম্মে সালমা ভবনের নিচতলায় ভাড়া থাকতেন রিয়াজ। বৃহস্পতিবার রাত ১টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গেলে তার (রিয়াজ) মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। মরদেহ থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, প্রথম দিনই তাকে হত্যা করা হয়েছে। তার মাথায় ছোরার আঘাত ছিল। এছাড়া শরীরের বিভিন্ন অংশে কালচে জখম দেখা গেছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুজনকে থানায় আনা হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত চলছে।

তবে র‌্যাব-১১ কোম্পানি কমান্ডারল লে.ক. মাহমুদ হত্যাকান্ডের ঘটনায় জড়িত দুজনকে আটক করা হয়েছে প্রযুক্তিগত সহায়তায় বলে নিশ্চিত করেন। আগামীকাল শনিবার প্রেস ব্রিফিং করে বিস্তারিত জানাবেন বলেও গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন।