সফলতার সহিত লক্ষ্মীপুরের জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দুই বছর পূর্ন করেছেন মোঃ আনোয়ার হোছাইন আকন্দ,২০২১ সাল এর ৩রা জানুয়ারি লক্ষ্মীপুর
জেলায় যোগদান করেন। যোগদান করার পরই দীর্ঘ দিনের অফিসে কর্মচারিদের পদোন্নতি সংক্রান্ত কাজে মনোনিবেশ করেন। এই বিষয়টি ঝুলে থাকায় কর্মচারিদের মধ্যে যে হতাশা জমে
ছিল তা দ্রুত নিরসন করেন। এতে অফিসের কর্মচারিদের মধ্যে প্রানচাঞ্চল্য দেখা দেয় এবং কাজের গতি কয়েকগুন বেড়ে যায়।
জেলা প্রশাসকের কার্যালয়,বাংলো সার্কিট হাউস,অতিরিক্ত
জেলা প্রশাসকের অফিস রুম, সার্কিট হাউসের হলরুম প্রতিটি জায়গায় সৌন্দর্য বর্ধন ও ইন্টোরিয়ার করার উদ্যোগ নেন। জেলা
কালেক্টরেট ভবন, সার্কিট হাউস জেলার উর্ধতন
কর্মকর্তাদের বাসভবন এলাকার গেইট এবং বাংলোর জন্য আলাদা দৃষ্টি নন্দন গেইট নির্মান করেন যে কাজ গুলি প্রায় দুই বছরের মধ্যেই শেষ করেন।
মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের বাগবাড়ীস্থ গণকবর বাসুবাজার গণকবর এবং পিয়ারাপুর গনকবর সংস্কারের উদ্যোগ নেন। এখানে একটি বিষয় লক্ষ্মনীয় স্যার যেই সকল কাজের উদ্যোগ নেন তার পিছনে নিজে বা অধীনস্থ কর্মকর্তাদের দায়িত্ব দিয়ে দ্রুত শেষ করেন। নজরদারির মধ্য দিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার গৃহহীন পরিবারকে মুজিব জন্মশতবর্ষ উপলক্ষ্যে এই জেলায় প্রায়
৩০০০ এর ও অধিক ঘর প্রদান করা হয়েছে।
করোনা কালীন সময়ে স্যার এই জেলায় প্রায় ৩০,০০০ পরিবারকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর। উপহার খাদ্য সহায়তা প্রদান করেছেন। যাতে
করোনায় কর্মহারা মানুষ সমস্যায় পড়তে হয়নি।
জনগনের স্বাস্থ্যের উপর ব্যাপক গুরুত্ব দিয়েছেন এই দুই বছরে। করোনার প্রকোপের সময় স্যার অক্সিজেন সিলিন্ডার। নিয়ে বাড়ী বাড়ী মানুষকে অক্সিজেন সেবা দিতে জেলার স্বেচ্ছাসেবীদের হাতে প্রায় ৫০ টির মত সিলিন্ডার তুলে দেন। মাস্ক সাবান হ্যান্ড ওয়াশ পর্যাপ্ত ভাবে বিলি করেন।
নিজ উদ্যোগে স্বপ্ন যাত্রা এম্বুল্যান্স নামে একটি এম্বুলেন্স সার্ভিস চালু হয় যা প্রত্যান্তঅঞ্চল থেকে রোগীদের নিয়ে জেলা শহর এর হাসপাতাল ও ঢাকা চট্রগ্রামের হাসপাতাল গুলিতে ছুটে চলছে বীরদর্পে। শুধু লক্ষ্মীপুর নয় জেলা প্রশাসক এর এই উদ্যোগ সারা বাংলাদেশের মধ্যে প্রশংসিত হয়েছে। ইতোমধ্যে চরাঞ্চলের মানুষের কথা ভেবে ওয়াটার এ্যাম্বুলেন্স চালু করেছেন। স্কুলের ছাত্র ছাত্রীদের বিনা মূল্যে স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে হেলথ কার্ড চালু করে এক অনন্য নজীর স্থাপন করেছেন।
জেলার সবচেয়ে বড় দীঘি খোয়া সাগর দীঘির পাঁড় ধানমন্ডি লেকের মত সেজেছে ইতোমধ্যে শুধু লক্ষ্মীপুর নয় দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে পর্যটক গণ খোয়াসাগর দীঘির পাড়ে বেড়াতে আসছেন।
লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর পৌরসভার প্রাণকেন্দ্রে প্রায় ৫ কোটি টাকার জমি অবৈধ দখলদারের নিকট হতে উদ্ধার করে ৪০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে পাচতলা ভীতবিশিষ্ট নবনির্মিত রায়পুর উপজেলা প্রশাসন পাবলিক লাইব্রেরি ও ফিটনেস ক্লাব এবং রায়পুর উপজেলার বাসাবাড়ি এলাকায় বাজারফান্ডের ৪০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ৪ তলা ভীতবিশিষ্ট উপজেলা প্রশাসন উন্মুক্ত বাজার জেলা প্রশাসক আনোয়ার হোছাইন আকন্দের প্রচেষ্টায়।
এছাড়াও লক্ষ্মীপুর জেলার অবশিষ্ট ৪ টি উপজেলায় দুটি করে বৃহৎ বাজারে উপজেলা প্রশাসন উন্মুক্ত বাজার শেড এবং উপজেলা সদরে ১ টি করে উপজেলা প্রশাসন পাবলিক লাইব্রেরি ও ফিটনেস ক্লাবের নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে।রায়পুরে নবনির্মিত পাবলিক লাইব্রেরি ও ফিটনেস ক্লাব জ্ঞান চর্চা এবং শরীর চর্চার মাধ্যমে সুস্থ বিনোদন কেন্দ্রে পরিণত করার উদ্যোগ নেওয়ায় প্রথম থেকেই প্রশংসিত হয়েছেন।।এছাড়া নবনির্মিত উন্মুক্ত বাজার শেডে গ্রামীণ জনপদের জনসাধারণ রোদ ও বৃষ্টির বাধামুক্ত হয়ে উন্নত,পরিচ্ছন্ন ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশে স্থানীয় কৃষিপণ্য ক্রয় বিক্রয় করতে পারায় বিক্রেতারাও খুশি।
লক্ষ্মীপুর জেলার সদর উপজেলাধীন ৫০০ জন দুস্থ,অসহায় ও শীতার্ত (শ্রমিক, দিন মজুর, রিকশা-ভ্যান চালক, বিধবা) মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করেন মোঃ আনোয়ার হোছাইন আকন্দ, জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট
লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজ এর সাবেক অধ্যক্ষ মাইনউদ্দিন পাঠান বলেন, একটি জেলার প্রাণ হচ্ছে জেলার অবকাঠামোগত উন্নয়ন। বর্তমান জেলা প্রশাসক মোঃআনোয়ার হোছাইন আকন্দ যোগদানের পর থেকেই শিক্ষা, চিকিৎসা, বিনোদন, সংস্কৃতি, সেবা সহ সব জায়গায় ইতিবাচক ছোঁয়া লেগেছে। জনগনের কাছে তিনি সমালোচনা বিহীন একজন সফল জেলা প্রশাসক।
বর্ষ পূর্তিতে জেলা প্রশাসক মোঃআনোয়ার হোছাইন আকন্দ বলেন,লক্ষ্মীপুর জেলাকে দেশের শ্রেষ্ঠ জেলার মধ্যে গড়ে তোলার আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও সকল জনপ্রতিনিধি – সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সহযোগিতায় লক্ষ্মীপুর হবে মডেল জেলা।