ঢাকা ০১:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

করোনার নতুন ধরন চার গুণ বেশি সংক্রামক: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

করোনাভাইরাসের নতুন ধরনের সংক্রমণে চীনসহ বিভিন্ন দেশে করোনা রোগী বাড়ছে। বিএফ–৭ নামের এ নতুন ধরন অমিক্রনের চেয়েও চার গুণ বেশি সংক্রামক বলছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ ধরন কম সময়ের মধ্যে রোগীকে আক্রান্ত করে।

আজ রোববার সকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক আহমেদুল কবীর বলেন, চীনে বিএফ–৫–এর নতুন ধরন বিএফ–৭ শনাক্ত হয়েছে। ধরনটি অমিক্রনের চেয়ে শক্তিশালী। কম সময়ে বেশি মানুষকে এই ধরন আক্রান্ত করতে পারে। যাঁরা টিকা নেননি, তাঁদের দ্রুত টিকা নিতে হবে।আহমেদুল কবীর আরও বলেন, করোনার নতুন ধরন ভারতেও শনাক্ত হয়েছে। তাই দেশের সব বন্দরে র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করা হচ্ছে। সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের আইসোলেশনে নেওয়া হচ্ছে। আক্রান্ত ব্যক্তিদের নমুনার জেনোমিক সিকোয়েন্সিং করে এই বিএফ–৭ করোনাভাইরাস রয়েছে কি না, তা পরীক্ষা করতে রোগতত্ত্ব রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটকে (আইইডিসিআর) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হাসপাতালগুলোকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।করোনা নিয়ন্ত্রণে সরকার গঠিত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভার সিদ্ধান্ত উল্লখ করে অধ্যাপক আহমেদুল কবীর বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে জনসাধারণের মধ্যে অনীহা দেখা দিয়েছে। এ বিষয়ে সচেতনতা ও পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

টিকার মেয়াদ নিয়ে দ্বিধার কোনো সুযোগ নেই বলে জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। আহমেদুল কবীর বলেন, টিকার মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে যে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, তার সুযোগ নেই। টিকা প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের পরামর্শ অনুযায়ী এবং যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিয়েই টিকার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম, করোনা নিয়ন্ত্রণে সরকার গঠিত জাতীয় কারিগরি পরার্মশক কমিটি সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ শহিদুল্লা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক নাজমুল ইসলাম ও করোনার টিকা ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যসচিব শামসুল হক প্রমুখ।চলতি বছরের ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে এসে করোনা মহামারি নিয়ে নতুন উদ্বেগের কথা শোনা যাচ্ছে। করোনাভাইরাসের একটি ধরন অমিক্রন। অমিক্রনের একটি উপধরন বিএ–৫। বিএ–৫–এর একটি উপধরন বিএফ–৭। চীন, যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতে এই নতুন উপধরন শনাক্ত হয়েছে। বিএফ অন্য যেকোনো উপধরনের চেয়ে দ্রুত মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ছে। এটাই উদ্বেগের কারণ।

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

লক্ষ্মীপুরের উত্তরচরবংশী ইউনিয়ন বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের কমিটির বিলুপ্ত  

করোনার নতুন ধরন চার গুণ বেশি সংক্রামক: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

আপডেট : ০৩:৪০:৩৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২২

করোনাভাইরাসের নতুন ধরনের সংক্রমণে চীনসহ বিভিন্ন দেশে করোনা রোগী বাড়ছে। বিএফ–৭ নামের এ নতুন ধরন অমিক্রনের চেয়েও চার গুণ বেশি সংক্রামক বলছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ ধরন কম সময়ের মধ্যে রোগীকে আক্রান্ত করে।

আজ রোববার সকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক আহমেদুল কবীর বলেন, চীনে বিএফ–৫–এর নতুন ধরন বিএফ–৭ শনাক্ত হয়েছে। ধরনটি অমিক্রনের চেয়ে শক্তিশালী। কম সময়ে বেশি মানুষকে এই ধরন আক্রান্ত করতে পারে। যাঁরা টিকা নেননি, তাঁদের দ্রুত টিকা নিতে হবে।আহমেদুল কবীর আরও বলেন, করোনার নতুন ধরন ভারতেও শনাক্ত হয়েছে। তাই দেশের সব বন্দরে র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করা হচ্ছে। সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের আইসোলেশনে নেওয়া হচ্ছে। আক্রান্ত ব্যক্তিদের নমুনার জেনোমিক সিকোয়েন্সিং করে এই বিএফ–৭ করোনাভাইরাস রয়েছে কি না, তা পরীক্ষা করতে রোগতত্ত্ব রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটকে (আইইডিসিআর) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হাসপাতালগুলোকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।করোনা নিয়ন্ত্রণে সরকার গঠিত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভার সিদ্ধান্ত উল্লখ করে অধ্যাপক আহমেদুল কবীর বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে জনসাধারণের মধ্যে অনীহা দেখা দিয়েছে। এ বিষয়ে সচেতনতা ও পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

টিকার মেয়াদ নিয়ে দ্বিধার কোনো সুযোগ নেই বলে জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। আহমেদুল কবীর বলেন, টিকার মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে যে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, তার সুযোগ নেই। টিকা প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের পরামর্শ অনুযায়ী এবং যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিয়েই টিকার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম, করোনা নিয়ন্ত্রণে সরকার গঠিত জাতীয় কারিগরি পরার্মশক কমিটি সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ শহিদুল্লা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক নাজমুল ইসলাম ও করোনার টিকা ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যসচিব শামসুল হক প্রমুখ।চলতি বছরের ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে এসে করোনা মহামারি নিয়ে নতুন উদ্বেগের কথা শোনা যাচ্ছে। করোনাভাইরাসের একটি ধরন অমিক্রন। অমিক্রনের একটি উপধরন বিএ–৫। বিএ–৫–এর একটি উপধরন বিএফ–৭। চীন, যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতে এই নতুন উপধরন শনাক্ত হয়েছে। বিএফ অন্য যেকোনো উপধরনের চেয়ে দ্রুত মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ছে। এটাই উদ্বেগের কারণ।