পীরজাদা মাসুদ হোসেন, স্টাফ রিপোর্টার :
লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর উপজেলার প্রায় ছোট বড় ২৮টি মিষ্টির দোকান রয়েছে। দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন অত্যাচারে বিপর্যস্ত মিষ্টির দোকান গুলো।
রায়পুর উপজেলার মোহাম্মাদিয়া হোটেল, বিসমিল্লাহ হোটেল, শাহী হোটেল, শীতল মিষ্টান্ন ভান্ডার, ঘোষ মিষ্টান্ন ভান্ডার, কাশফুল রেস্টুরেন্ট, দরবার হোটেল, নাবিলা হোটেল এর সংশ্লিষ্টদের সাথে সরেজমিনে কথা বলে জানা যায়, আটা, ময়দা, চিনি, দুধের দাম সকাল – বিকাল একেক রকম মূল্যে ক্রয় করার কারনে ভোগান্তিতে মালিকরা।
রায়পুর উপজেলার বিভিন্ন মিষ্টির দোকানের সাথে দামে অসামঞ্জস্য দেখা যায় বনফুল, মধুবন সহ ডিলারশিপ নেয়া অন্যান্য দোকানের সাথে। রায়পুর বাজারে বিভিন্ন হোটেলে ভেজা রস মিষ্টি ২৫০/৬০ টাকা কেজি, শুকনো মিষ্টি ১৭০/২০০, দধি ২৫০/১৬০ টাকা ধরে বিক্রি হচ্ছে। তবে ক্ষীরভোগ সচারচর মোহাম্মাদিয়া হোটেল ছাড়া আর কেউ বিক্রয় করেননা।
রায়পুর বাজারের বহু বছরের পুরোনো ব্যাবসায়ী শীতল মিষ্টান্ন ভান্ডার পরিচালক সুনীল ঘোষ ও ঘোষ মিষ্টান্ন ভান্ডার এর কর্নধর দিলীপকুমার ঘোষ বলেন, বাবা – দাদাদের থেকে চলে আসা এই ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি এখনো তাদের নামের উপর চলছে। কিন্তুু দ্রব্যমূল্যের প্রতিনিয়ত দাম বৃদ্ধির কারনে মিষ্টির স্বাদ অক্ষুণ্ণ রাখতে হিমশিম খেতে হয়। দাম বৃদ্ধি না করলেও সাইজ ছোট করে সমন্বয় করতে হবে সামনে।
রায়পুর মোহাম্মাদিয়া হোটেল এন্ড সুইটমিটস এর পরিচালক তানজিদ কামাল বলেন, দ্রব্যমূল্যের কারনে মিষ্টি বিক্রিতে কিছুটা ভাটা পড়েছে। ফলের দাম তুলনামূলক বেশী হওয়ায় মিষ্টি বিক্রি চলমান রয়েছে। তবে শীগ্রই মূল্য সমন্বয় করা হবে।