ঢাকা ১০:৫৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

লক্ষ্মীপুরে দুই মামলার রায়ে ৮ জনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড।

মাহমুদুর রহমান মনজু, স্টাফ রিপোর্টার :
লক্ষ্মীপুরে পৃথক হত্যা মামলায় ৮ জনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ১ বছর করে কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (০৮ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন।

লক্ষ্মীপুর জেলা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) জসিম উদ্দিন জানান, যুবলীগ নেতা আবদুল হান্নান সুমন হত্যায় ৬ আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ মামলায় দুইজনকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। অন্যদিকে হানিফ হত্যা মামলায় ২ জনের যাবজ্জীবন সাজা দেওয়া হয়েছে। এ মামলায় ৬ জনকে খালাস দেওয়া হয়েছে। মামলার আসামি ইলিয়াস কোবরা মারা যাওয়ায় তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

যুবলীগ নেতা সুমন হত্যায় সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- কাউছার, খোরশেদ আলম, সোহেল রানা, সোহাগ, রাব্বী ও কালা শাহাদাত। তারা সদর উপজেলার দত্তপাড়া, গোপালপুর ও দক্ষিণ মাগুরী গ্রামের বাসিন্দা। এ মামলায় খালাসপ্রাপ্তরা হলেন- বাবুল ওরফে বাবলু ও মানিক এলাহি বাবুল। তারা দত্তপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। ভিকটিম সুমন উত্তর জয়পুর ইউনিয়ন যুবলীগের সক্রিয় নেতা ছিলেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালের ৬ ডিসেম্বর ছেলে সাইফ হান্নানকে নিয়ে রিকশাযোগে সুমন বাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে আসামিরা তার গতিরোধ করেন। এ সময় আসামিরা তাকে রিকশা থেকে নামিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করেন। পরে মৃত ভেবে তারা পালিয়ে যায়। তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ৮ ডিসেম্বর ভিকটিমের মা সুফিয়া বেগম বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় মামলা করেন। ২০১৬ সালের ২৩ আগস্ট মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ৮ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করেই হত্যাকাণ্ডটি ঘটানো হয়েছিল।

এদিকে হানিফ হত্যা মামলায় সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- দিদার হোসেন ও ফারুক হোসেন। তারা সদরের উত্তর জয়পুর ইউনিয়নের উত্তর মাগুরী গ্রামের বাসিন্দা। এ মামলায় মো. ইলিয়াস ওরফে ইলিয়াস কোবরা সাজার আওতায় থাকলেও তিনি মারা যাওয়ায় তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

খালাসপ্রাপ্তরা হলেন- মো. রিপন, মো. রনি, ওমর ফারুক, ইসমাইল হোসেন মুন্সি, মো. বাবলু ও মো. রিয়াদ। এ মামলার অন্য আসামি জসিম উদ্দিন ২০১৫ সালের ৮ জুন সন্ত্রাসীদের সঙ্গে গোলাগুলিতে মারা যান। এতে তাকেও মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

এজাহার সূত্রে জানা যায়, চাঁদার দাবিতে ২০১৫ সালের ৭ এপ্রিল সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে আসামিরা হানিফকে গুলি করে হত্যা করে। এ ঘটনায় ১৫ মে হানিফের বোন মনোয়ারা বেগম বাদী হয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানায় মামলা করেন। ২০১৬ সালের ২৭ মার্চ তদন্তকারী কর্মকর্তা ও চন্দ্রগঞ্জ থানার এসআই জাহাঙ্গীর আলম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

ট্যাগ :

‘দাতুক’ খেতাবধারী এক বাংলাদেশি গ্রেফতার

লক্ষ্মীপুরে দুই মামলার রায়ে ৮ জনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড।

আপডেট : ০৪:১৮:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ নভেম্বর ২০২২

মাহমুদুর রহমান মনজু, স্টাফ রিপোর্টার :
লক্ষ্মীপুরে পৃথক হত্যা মামলায় ৮ জনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ১ বছর করে কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (০৮ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন।

লক্ষ্মীপুর জেলা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) জসিম উদ্দিন জানান, যুবলীগ নেতা আবদুল হান্নান সুমন হত্যায় ৬ আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ মামলায় দুইজনকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। অন্যদিকে হানিফ হত্যা মামলায় ২ জনের যাবজ্জীবন সাজা দেওয়া হয়েছে। এ মামলায় ৬ জনকে খালাস দেওয়া হয়েছে। মামলার আসামি ইলিয়াস কোবরা মারা যাওয়ায় তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

যুবলীগ নেতা সুমন হত্যায় সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- কাউছার, খোরশেদ আলম, সোহেল রানা, সোহাগ, রাব্বী ও কালা শাহাদাত। তারা সদর উপজেলার দত্তপাড়া, গোপালপুর ও দক্ষিণ মাগুরী গ্রামের বাসিন্দা। এ মামলায় খালাসপ্রাপ্তরা হলেন- বাবুল ওরফে বাবলু ও মানিক এলাহি বাবুল। তারা দত্তপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। ভিকটিম সুমন উত্তর জয়পুর ইউনিয়ন যুবলীগের সক্রিয় নেতা ছিলেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালের ৬ ডিসেম্বর ছেলে সাইফ হান্নানকে নিয়ে রিকশাযোগে সুমন বাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে আসামিরা তার গতিরোধ করেন। এ সময় আসামিরা তাকে রিকশা থেকে নামিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করেন। পরে মৃত ভেবে তারা পালিয়ে যায়। তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ৮ ডিসেম্বর ভিকটিমের মা সুফিয়া বেগম বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় মামলা করেন। ২০১৬ সালের ২৩ আগস্ট মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ৮ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করেই হত্যাকাণ্ডটি ঘটানো হয়েছিল।

এদিকে হানিফ হত্যা মামলায় সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- দিদার হোসেন ও ফারুক হোসেন। তারা সদরের উত্তর জয়পুর ইউনিয়নের উত্তর মাগুরী গ্রামের বাসিন্দা। এ মামলায় মো. ইলিয়াস ওরফে ইলিয়াস কোবরা সাজার আওতায় থাকলেও তিনি মারা যাওয়ায় তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

খালাসপ্রাপ্তরা হলেন- মো. রিপন, মো. রনি, ওমর ফারুক, ইসমাইল হোসেন মুন্সি, মো. বাবলু ও মো. রিয়াদ। এ মামলার অন্য আসামি জসিম উদ্দিন ২০১৫ সালের ৮ জুন সন্ত্রাসীদের সঙ্গে গোলাগুলিতে মারা যান। এতে তাকেও মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

এজাহার সূত্রে জানা যায়, চাঁদার দাবিতে ২০১৫ সালের ৭ এপ্রিল সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে আসামিরা হানিফকে গুলি করে হত্যা করে। এ ঘটনায় ১৫ মে হানিফের বোন মনোয়ারা বেগম বাদী হয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানায় মামলা করেন। ২০১৬ সালের ২৭ মার্চ তদন্তকারী কর্মকর্তা ও চন্দ্রগঞ্জ থানার এসআই জাহাঙ্গীর আলম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।