মোঃওয়াহিদুর রহমান মুুরাদ :
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এর প্রভাবে লক্ষ্মীপুরে সোমবার (২৪ অক্টোবর) সন্ধ্যার পর থেকে ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়, সেই সঙ্গে ঝড়ো বাতাস। এতে লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর, সদর, রামগতি ,কমলনগর ,রামগঞ্জ, চন্দ্রগঞ্জ সহ বিভিন্ন এলাকায় প্রায় সহস্রাধিক গাছ বিদ্যূৎ এর তারের উপর ভেঙে পড়ার খবর পাওয়া গেছে।গত পরশু থেকে দিনভর জেলাব্যাপী মুষলধারে বৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে সোমবার সকাল থেকে মঙ্গলবার বিকাল ৫টা পর্যন্ত জেলাতে বিদ্যুৎ ছিলো না, তবে জেলার পৌর শহর গুলোতে বিদ্যূৎ সঞ্চালন লাইন ধীরে ধীরে সরবারহ হচ্ছে বলে নিশ্চিত করেছেন পল্লী বিদ্যূৎ কতৃপক্ষ লক্ষ্মীপুর।
ঝড়ের ফলে বিভিন্ন লাইনে ত্রুটি থাকার কারণে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে বলে জানিয়েছে বিদ্যুৎ অফিস। বিদ্যুৎ না থাকায় পানি, ফোনের নেটওয়ার্ক, জরুরী কাজ, ব্যাংকের লেনদেন সহ নানান দুর্ভোগে পড়েছেন জেলার বাসিন্দারা বলে জানান, এনআরবি ব্যাংক রায়পুর ব্রাঞ্চ এর ম্যানেজার মাসুদ হোসেন।
ব্যাহত হচ্ছে মোবাইল নেটওয়ার্ক। সদর উপজেলার দালাল বাজার এলাকার ভাষ্কর বসু রায় চৌধুরী বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে একদিকে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। সেইসঙ্গে জড়ো বাতাস হয়েছিলো । গতকাল সকাল থেকে বিদ্যুৎ না থাকায় চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছি। মোবাইল ফোনের চার্জও শেষ হয়ে যাচ্ছে। কখন বিদ্যূৎ পাবো তাও জানিনা।
লক্ষ্মীপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার জাকির হোসেন বলেন, ঝড়ো বাতাসের কারণে বিদ্যুৎ লাইনে ত্রুটি দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় লাইনের ওপর গাছ আছে। সেগুলো পুরোপুরি অপসারণ করা হলে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করা যাবে। প্রায় জেলা জুড়ে ৫০টির অধিক বৈদ্যূতিক খুটি ভেঙ্গে পড়াও খবর পাওয়া গিয়েছে, হেলে পড়েছে প্রায় শতাধিক। তারের উপর গাছ কাটা এখন চ্যালেঞ্জ। জনগন গাছ কাটে সহযোগিতা করলে দ্রুত বিদ্যূৎ দেয়া সম্ভব। পৌরসভা গুলোতে লাইন সরবারহ স্বাভাবিক হচ্ছে। ইউনিয়নে ৪৮ ঘন্টা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।