ঢাকাশুক্রবার , ৭ অক্টোবর ২০২২
  1. International
  2. অপরাধ
  3. আত্মহত্যা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আবহাওয়া
  6. আমাদের সম্পর্কে
  7. ইসলাম
  8. খেলাধুলা
  9. গণমাধ্যম
  10. চিকিৎসা
  11. জাতীয়
  12. ত্রাণ
  13. ত্রাণ বিতরণ
  14. দিনলিপি
  15. দেশজুড়ে
আজকের সর্বশেষ সবখবর

১৩ বার পিছিয়ে ১৯ বছর পর হচ্ছে রামগতি উপজেলা আ’লীগের সম্মেলন।

নিজস্ব প্রতিবেদক
অক্টোবর ৭, ২০২২ ৬:১৪ অপরাহ্ণ
Link Copied!

রামগতি প্রতিনিধি।
বারবার তারিখ পরিবর্তনের পর অবশেষে লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। উপজেলার আ স ম আবদুর রব সরকারি কলেজ মাঠে আগামী সোমবার (১০ অক্টোবর) ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের প্রস্তুতি চলছে। সবশেষ ২০০৩ সালের ৩ অক্টোবর সম্মেলন হয়। এরপর মেয়াদ শেষে ১৩ বার এ শাখার সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করা হলেও অদৃশ্য কারণে তা বাস্তবায়ন হয়নি।

সম্মেলনে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, কৃষি ও সমবায়বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলীসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।

দলীয় সূত্র জানায়, ২০০৩ সালের ৩ অক্টোবর উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন হয়। সেখানে গোলাম মাওলা চৌধুরী সভাপতি ও আবদুল ওয়াহেদকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। পরবর্তীতে ২০০৬ সালে রামগতি বিভক্তি হয়ে নতুন কমলনগর উপজেলা হয়। এরপর রামগতির আওয়ামী লীগের কমিটির একটি অংশ কমলনগর উপজেলা কমিটিতে নাম লেখান। এর মধ্যে ২০১৬ সালের ২৬ এপ্রিল গোলাম মাওলা চৌধুরীর মৃত্যুর পর আবদুল ওয়াহেদ মুরাদকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি করা হয়। তবে এরই মধ্যে কমিটির অনেক নেতা মারা গেছেন আর যার জীবিত আছেন তারাও নিষ্ক্রিয়। ফলে ঝিমিয়ে পড়ে সাংগঠনিক কার্যক্রম। কেবল নিয়ম রক্ষার জাতীয় ও স্থানীয় কর্মসূচিতে অংশ নেন নেতাকর্মীরা। এর মাঝে ১৩ বার এ শাখার সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করা হলেও জেলা ও উপজেলা নেতাদের মতবিরোধসহ নানা কারণে তা হয়নি।

সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির অন্যতম সমন্বয়ক ও জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক রাসেল মাহমুদ মান্না জানান, সম্মেলন সফল করার জন্য ছয়টি উপ-কমিটি করা হয়েছে। এরই মধ্যে ওইসব কমিটির আলাদা পাঁচটি সভা করে নেতাদের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। সম্মেলনস্থলে ১০ থেকে ১৫ হাজার নেতাকর্মী জমায়েত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শুক্রবার (৭ অক্টোবর) পর্যন্ত সভাপতি পদে সাতজন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে ১৭ জন প্রার্থী জীবনবৃত্তান্ত জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে সভাপতি পদে আবদুল ওয়াহেদ, আশরাফ আলী চৌধুরী সারু ও আবদুল ওয়াহেদ মুরাদের প্রচারণা চলছে। আর সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী এম মেজবাহ উদ্দিন, আবু নাসের, মেজবাহ উদ্দিন হেলাল, আবদুজ্জাহের সাজু, তাওহিদুল ইসলাম সুমন, জাকির হোসেন লিটন চৌধুরী মাঠে সক্রিয় রয়েছেন।

আবু নাসের বলেন, দুঃসময়ে ছাত্রলীগ, যুবলীগ হয়ে আওয়ামী লীগ করছি। কয়েকবার হামলা-মামলার শিকার হয়ে কারাবরণও করতে হয়েছে। তৃণমূল পর্যায়ে দলের প্রসারে নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে যাচ্ছি। আশা করছি, দল এবার আমার শ্রম-ঘামের মূল্যায়ন করবে।

আশরাফ আলী চৌধুরী সারু বলেন, আমাদের নেতাকর্মীরা নতুন নেতৃত্ব প্রত্যাশা করছেন। ১৯ বছর পর সম্মেলন হচ্ছে। তৃণমূলে দলের ভোট বৃদ্ধিতে যাদের অবস্থান রয়েছে, শীর্ষপদে তাদের দায়িত্ব দেওয়া হলে এ আসনটিও নির্বাচনে আওয়ামী লীগ পাবে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে আওয়ামী লীগের তিনজন মধ্যম সারির নেতা জানিয়েছেন, ৯১ এবং ২০০১ সাল পরবর্তী দুঃসময়ে যারা দল করেছে, আন্দোলন-সংগ্রাম করেছে-এখন শীর্ষপদে তাদের প্রয়োজন। আগামী দিনে বিএনপি-জামায়াতকে রাজপথে মোকাবিলা করতে তাদেব কাজে লাগবে। নব্যদের দাপটে হামলা-মামলার শিকার অনেক নেতাকর্মী অভিমান করে দল থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। তাদেরকে আবার রাজপথে ফিরিয়ে আনতে হবে।

এ বিষয়ে রামগতি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সম্মেলনে সভাপতি প্রার্থী আবদুল ওয়াহেদ বলেন, করোনাসহ নানা কারণে যথাসময়ে সম্মেলন করা যায়নি। আমি সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পেয়ে নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে একসঙ্গে কাজ করেছি। জনগণের কাছে দলের উন্নয়ন ও ইতিবাচক প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি। আশা করি, দল আমার ত্যাগ বিবেচনা করবে।

জানতে চাইলে লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন বলেন, করোনাসহ বিভিন্ন মতবিরোধের কারণে দীর্ঘদিনেও সম্মেলন হয়নি। এখন সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। অতিথিদের বরণ করতে উৎসবের আবহ সৃষ্টি হয়েছে। দলের পরিক্ষিত-ত্যাগী এবং ছাত্রলীগ করা নেতাদের প্রাধান্য দেওয়া হবে।

উল্লেখ্য ,সম্মেলনকে ঘিরে নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে নেতাকর্মী-সমর্থকরা প্রতিযোগিতা দিয়ে ছবিসহ রঙিন ফেস্টুন, বিলবোর্ড, ব্যানার, পোস্টার সাঁটিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন। এরই মধ্যে লক্ষ্মীপুর-কমলনগর-রামগতি আঞ্চলিক সড়কের দুপাশের অধিকাংশ গাছ, আলেকজান্ডার বাজার ও আশপাশ এলাকা ব্যানার-ফেস্টুনে সয়লাব হয়ে গেছে। নির্মাণ করা হচ্ছে শতাধিক শুভেচ্ছা তোরণ। কেন্দ্রীয় ও জেলা নেতাদের ছবি দিয়ে চলছে প্রচার-প্রচারণা।

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
error: Content is protected !!