ঢাকা ০৩:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

১৩ দিনেও খোঁজ মেলেনি লক্ষ্মীপুরে নবম শ্রেণীর ছাত্রী সুমাইয়ার।

 লক্ষ্মীপুরে ১৩ দিনেও খোঁজ মেলেনি নবম শ্রেণীর ছাত্রী বিবি সুমাইয়ার (১৭)। এই ঘটনায় স্থানীয় লিমন (১৯) সহ তিন জনকে আসামি করে বিবি সুমাইয়ার মা রোকেয়া বেগম বাদী হয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করে। এ মামলায় পুলিশ এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।

বিবি সুমাইয়া লক্ষীপুর সদর উপজেলা চন্দ্রগঞ্জ থানার ৯নং উত্তর জয়পুর ইউনিয়নের পালপাড়া সুয়া কাজী ব্যাপারী বাড়ির প্রবাসী মো. শরিফ উল্যার মেয়ে । এ ঘটনায় অভিযুক্ত লিমন একই ইউনিয়নের চন্দ্রপ্রভাবাগ গ্রামের মোল্লা বাড়ির ইকবাল হোসেন লিটনের ছেলে।
মামলার এজহার সূত্রে জানা যায়, পালপাড়া বহুমূখি উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেনীর ছাত্রী বিবি সুমাইয়ার সাথে লিমনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সেই সম্পর্কের সুবাধে ১৪ই নভেম্বর সকাল ৭ টায় লিমন সুমাইয়াকে তার বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে গেলে লিমনের বাবা ইকবাল হোসেন লিটনের সহযোগিতায় মা হাজেরা বেগম মুন্নী বিবি সুমাইয়াকে মারধর করে। এই ঘটনায় বিবি সুমাইয়ার মা রোকেয়া বেগম খবর পেয়ে মেয়েকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসে।
এছাড়া একইদিন বিকেল ৪টায় লিমন তার মা বাবার ইন্দনে বিবি সুমাইয়াকে তাদের বাড়ির সামনে থেকে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ করে ভুক্তভোগী সুমাইয়ার মা। পরে সুমাইয়ার মা রোকেয়া বেগম চন্দ্রগঞ্জ থানায় হাজির হয়ে একটি মামলা দায়ের করে। এরপর ১৩ দিন অতিবাহিত হয়ে গেলেও সুমাইয়ার কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি।
সুমাইয়াকে অপহরণের অভিযোগের বিষয়ে জানতে  অভিযুক্ত লিমনের বাড়িতে গেলে সেখানে কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে লিমনের বাবা মুঠো ফোনে জানায়, আমার ছেলে নির্দোষ। বিবি সুমাইয়াকে অপহরণের সাথে আমার পরিবার কোন ভাবেই জড়িত নেই। অথচ সুমাইয়ার মা আমাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে আমাদের হয়রানি করছে।
মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা মহিউদ্দিন জানায়, মামলায় অভিযুক্তদের ধরার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি সুমাইয়াকে খোঁজা হচ্ছে।
ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

লক্ষ্মীপুরের উত্তরচরবংশী ইউনিয়ন বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের কমিটির বিলুপ্ত  

১৩ দিনেও খোঁজ মেলেনি লক্ষ্মীপুরে নবম শ্রেণীর ছাত্রী সুমাইয়ার।

আপডেট : ০৬:৫৪:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৩

 লক্ষ্মীপুরে ১৩ দিনেও খোঁজ মেলেনি নবম শ্রেণীর ছাত্রী বিবি সুমাইয়ার (১৭)। এই ঘটনায় স্থানীয় লিমন (১৯) সহ তিন জনকে আসামি করে বিবি সুমাইয়ার মা রোকেয়া বেগম বাদী হয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করে। এ মামলায় পুলিশ এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।

বিবি সুমাইয়া লক্ষীপুর সদর উপজেলা চন্দ্রগঞ্জ থানার ৯নং উত্তর জয়পুর ইউনিয়নের পালপাড়া সুয়া কাজী ব্যাপারী বাড়ির প্রবাসী মো. শরিফ উল্যার মেয়ে । এ ঘটনায় অভিযুক্ত লিমন একই ইউনিয়নের চন্দ্রপ্রভাবাগ গ্রামের মোল্লা বাড়ির ইকবাল হোসেন লিটনের ছেলে।
মামলার এজহার সূত্রে জানা যায়, পালপাড়া বহুমূখি উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেনীর ছাত্রী বিবি সুমাইয়ার সাথে লিমনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সেই সম্পর্কের সুবাধে ১৪ই নভেম্বর সকাল ৭ টায় লিমন সুমাইয়াকে তার বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে গেলে লিমনের বাবা ইকবাল হোসেন লিটনের সহযোগিতায় মা হাজেরা বেগম মুন্নী বিবি সুমাইয়াকে মারধর করে। এই ঘটনায় বিবি সুমাইয়ার মা রোকেয়া বেগম খবর পেয়ে মেয়েকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসে।
এছাড়া একইদিন বিকেল ৪টায় লিমন তার মা বাবার ইন্দনে বিবি সুমাইয়াকে তাদের বাড়ির সামনে থেকে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ করে ভুক্তভোগী সুমাইয়ার মা। পরে সুমাইয়ার মা রোকেয়া বেগম চন্দ্রগঞ্জ থানায় হাজির হয়ে একটি মামলা দায়ের করে। এরপর ১৩ দিন অতিবাহিত হয়ে গেলেও সুমাইয়ার কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি।
সুমাইয়াকে অপহরণের অভিযোগের বিষয়ে জানতে  অভিযুক্ত লিমনের বাড়িতে গেলে সেখানে কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে লিমনের বাবা মুঠো ফোনে জানায়, আমার ছেলে নির্দোষ। বিবি সুমাইয়াকে অপহরণের সাথে আমার পরিবার কোন ভাবেই জড়িত নেই। অথচ সুমাইয়ার মা আমাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে আমাদের হয়রানি করছে।
মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা মহিউদ্দিন জানায়, মামলায় অভিযুক্তদের ধরার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি সুমাইয়াকে খোঁজা হচ্ছে।