১২১ টির বিপরীতে রায়পুরে ৭ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আছে শহীদ মিনার।
-
ডেস্ক রিপোর্ট :
-
আপডেট :
০৪:২৯:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩
-
০
জন পড়েছেন
মু.ওয়াহিদুুর রহমান মুরাদ :
লক্ষ্মীপুরে প্রতি বছর সরকারি বরাদ্দ প্রাপ্তির পরেও ভাষা আন্দোলনের স্মৃতিস্তম্ভ শহীদ মিনার নেই জেলার ৭০ শতাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ।
ফলে ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস অজানাই থাকছে শিক্ষার্থীদের। বাস্তবমুখী শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। এ দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় যেন দ্রুত শহীদ মিনার নির্মানের জন্য পাঁচ উপজেলার শিক্ষাকর্মকর্তাদের মাধ্যমে প্রধান শিক্ষকদের চিঠি দিয়ে নির্দেশনা দেয়া হয় শহীদ মিনার নির্মাণের জন্য।
শহীদ মিনার নেই এমন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বলছেন, ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসসহ অন্য জাতীয় দিবসে দূরে গিয়ে শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে হয়। ইচ্ছা থাকলেও প্রতিবন্ধীসহ অনেক শিক্ষার্থী যেতে পারে না। ফলে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মাণের দাবি শিক্ষার্থী ও সচেতন অভিভাবকদের।
রায়পুর পৌর আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আবু সাইদ জুটন বলেন , শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার থাকলে ছেলে-মেয়েরা ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস সর্ম্পকে যেমন জানতো, তেমনি বাস্তবধর্মী শিক্ষা পেতো। শহীদদের প্রতি বেড়ে যেতো তাদের শ্রদ্ধা ও ভক্তি। প্রতি বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার থাকা জরুরী।এছাড়াও বায়োমেট্রিক হাজিরা মেশিন ,মিড ডে মিল সহ প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের ভিত মজবুত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানান সংশ্লিষ্টদের প্রতি।
একাধিক প্রতিষ্ঠানের-শিক্ষকরা বলেন, শিক্ষার জন্য বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার খুবই প্রয়োজন। কিন্তু এখন পর্যন্ত বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নির্মিত হয়নি। তবে ব্যক্তিগতভাবে নির্মাণের চেষ্টা চলছে।
রায়পুর উপজেলা প্রাথমিক সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা টিপু সুলতান বলেন ,
যে সব বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নাই, পরিদর্শনের সময় সে সব বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নির্মাণের জন্য বলা হয়। শহীদ মিনার থাকলে বিদ্যালয়টি পূর্ণাঙ্গ রূপ পায়।
সরেজমিনে যেয়ে জানা যায়, রায়পুরে ৯০ শতাংশ প্রাথমিক, মাধ্যমিক, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে। এরমধ্যে মাধ্যমিক, মাদরাসা, কারিগরি ও বেসরকারিসহ মোট ২৫৫ প্রতিষ্ঠানে মধ্যে শহীদ মিনার আছে ১০০ টিতে। আর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১২১টির মধ্যে শহীদ মিনার আছে মাত্র ৭টিতে। ফলে কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অস্থায়ীভাবে শহীদ মিনার নির্মাণ অথবা অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের শহীদ মিনারে গিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থী বিভিন্ন জাতীয় দিবস পালন করে।
রায়পুর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো.মইনুল হোসেন বলেন, যে সব বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নাই, পরিদর্শনে সময় নির্মাণের নির্দেশ দেওয়া হয়। শহীদ মিনার থাকলে বিদ্যালয়টি পূর্ণাঙ্গ রূপ পায়। বায়োমেট্রিক মেশিন করোনা কালীন সময়ে নষ্ট হয়ে গিয়েছে এই বিষয়ে কোন নির্দেশনা আসেনি এখনো। ৮টি প্রধান শিক্ষক পদ খালি রয়েছে। সহকারী শিক্ষক পদে ৭৬টি পোষ্ট খালি রয়েছে।এছাড়াও মিড ডে মিল চর আবাবিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চালু রয়েছে। চরপাতায় স্মার্ট ভিলেজে মৌলভী সামসুল হক মেমোরিয়াল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একটি প্রতিষ্ঠানে রয়েছে মিল্ক ডে চালু রয়েছে।
ট্যাগ :