ঢাকা ০৯:৪৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

১০ টাকার কমে মিলছেনা কোন ইফতার পণ্য।

মাহমুদুর রহমান মনজু,লক্ষ্মীপুর
পেঁয়াজু, জিলাপি, আলুর চপসহ নানা রকমারি ইফতারি পণ্য প্রতি পিচ বিক্রি হচ্ছে দশ টাকা। লক্ষ্মীপুরে প্রায় সব বাজারগুলোতে বিভিন্ন হোটেল-রেস্তোরার সামনে ও ফুটপাতে টেবিল সাজিয়ে শুরু হয়েছে ইফতার সামগ্রীর বেচাকেনা। পেঁয়াজু, বেগুনি, বিভিন্ন ধরনের কাটলেট, শাহী জিলাপী, বুরিন্দা, হালিম, আলুর চপ, সবজির চপ, ভেজিটেবল রোল, ছোলাবুট, কাচ্চি বিরানীসহ নানা রকমের ইফতারের পসরা সাজিয়েছেন বিক্রেতারা। তবে বেচাকেনা কম বলে দাবি ক্রেতাদের, বিক্রেতারা বলছেন, দাম বেশি।

রমযান মাসকে ঘিরে সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ, দত্তপাড়া, বশিকপুর, জকসিন, রায়পুর পৌর শহর, হায়দরগঞ্জ, কমলনগরের হাজিরহাট, করুণানগর, রামগতির আলেকজান্ডার, রামগঞ্জ পৌর শহরসহ প্রায় সব বাজারে বিভিন্ন ধরনের ইফতারের পাশাপাশি দেশীয় ফলের জুস, ফালুদা ও মিক্স ফ্রুটের চাহিদা ও সরবরাহ বেড়েছে। তবে রমযানের প্রথম সপ্তাহে বেচাকেনা তেমন না হলেও ক্রেতা সরগরমে বাজার জমে উঠে, এমনটিই জানিয়েছেন একাধিক বিক্রেতা।

শহরের উত্তর স্টেশন হোটেল রাজমহল ম্যানেজারের সাথে আলাপ করে জানা যায় , শাহী জিলাপী প্রতি কেজি ৩০০ টাকা, জিলাপী প্রতি কেজি ২৬০ টাকা, ছোলাবুট প্রতি কেজি ২৫০ টাকা, পেঁয়াজু, বেগুনি ও আলুর চপ প্রতি পিছ ১০ টাকা, হালিম কেজি প্রতি ১৮০ টাকা, কাচ্চি বিরানী প্রতি প্লেট ২৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আর খেজুরের খুচরা দাম প্রতি কেজি সর্বনি¤œ ২০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শহরের বিভিন্ন হোটেল ও রেষ্টুরেন্টগুলো থেকে মুখরোচক ইফতারসামগ্রী সংগ্রহের জন্য ক্রেতাদের ভিড় থাকলেও বিক্রি কম।

শহরের এক গৃহিণী জানালেন, পরিবারের ব্যয় বেড়ে গেছে। আগে বাড়িতে ইফতার তৈরি করতাম, এবছর বাড়িতে বানাতেও খরচ বেড়েছে আর বাজারে ১০ টাকার নিচে কোন পণ্য পাওয়া যাচ্ছে না। এতে চরম হিমশিম খেতে হচ্ছে তাঁকে।

শহরের উত্তর তেমুহনীর নূর জাহান হোটেল এন্ড রেষ্টুরেন্টের স্বত্বাধিকারী মোঃ সাইফুল আলম পারভেজ জানান, ক্রেতাদের চাহিদামত ইফতারি সীমিত দামে বিক্রি করছেন তিনি। এবার রমযানের এক সপ্তাহ পার হলেও গত বছরের তুলনায় বিক্রি কম।

তবে মানস্মমত খাবার, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে প্রশাসনের তদারকিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন অধিকাংশ ক্রেতা ।

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

লক্ষ্মীপুরের উত্তরচরবংশী ইউনিয়ন বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের কমিটির বিলুপ্ত  

১০ টাকার কমে মিলছেনা কোন ইফতার পণ্য।

আপডেট : ০৬:৪৭:২৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১ এপ্রিল ২০২৩

মাহমুদুর রহমান মনজু,লক্ষ্মীপুর
পেঁয়াজু, জিলাপি, আলুর চপসহ নানা রকমারি ইফতারি পণ্য প্রতি পিচ বিক্রি হচ্ছে দশ টাকা। লক্ষ্মীপুরে প্রায় সব বাজারগুলোতে বিভিন্ন হোটেল-রেস্তোরার সামনে ও ফুটপাতে টেবিল সাজিয়ে শুরু হয়েছে ইফতার সামগ্রীর বেচাকেনা। পেঁয়াজু, বেগুনি, বিভিন্ন ধরনের কাটলেট, শাহী জিলাপী, বুরিন্দা, হালিম, আলুর চপ, সবজির চপ, ভেজিটেবল রোল, ছোলাবুট, কাচ্চি বিরানীসহ নানা রকমের ইফতারের পসরা সাজিয়েছেন বিক্রেতারা। তবে বেচাকেনা কম বলে দাবি ক্রেতাদের, বিক্রেতারা বলছেন, দাম বেশি।

রমযান মাসকে ঘিরে সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ, দত্তপাড়া, বশিকপুর, জকসিন, রায়পুর পৌর শহর, হায়দরগঞ্জ, কমলনগরের হাজিরহাট, করুণানগর, রামগতির আলেকজান্ডার, রামগঞ্জ পৌর শহরসহ প্রায় সব বাজারে বিভিন্ন ধরনের ইফতারের পাশাপাশি দেশীয় ফলের জুস, ফালুদা ও মিক্স ফ্রুটের চাহিদা ও সরবরাহ বেড়েছে। তবে রমযানের প্রথম সপ্তাহে বেচাকেনা তেমন না হলেও ক্রেতা সরগরমে বাজার জমে উঠে, এমনটিই জানিয়েছেন একাধিক বিক্রেতা।

শহরের উত্তর স্টেশন হোটেল রাজমহল ম্যানেজারের সাথে আলাপ করে জানা যায় , শাহী জিলাপী প্রতি কেজি ৩০০ টাকা, জিলাপী প্রতি কেজি ২৬০ টাকা, ছোলাবুট প্রতি কেজি ২৫০ টাকা, পেঁয়াজু, বেগুনি ও আলুর চপ প্রতি পিছ ১০ টাকা, হালিম কেজি প্রতি ১৮০ টাকা, কাচ্চি বিরানী প্রতি প্লেট ২৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আর খেজুরের খুচরা দাম প্রতি কেজি সর্বনি¤œ ২০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শহরের বিভিন্ন হোটেল ও রেষ্টুরেন্টগুলো থেকে মুখরোচক ইফতারসামগ্রী সংগ্রহের জন্য ক্রেতাদের ভিড় থাকলেও বিক্রি কম।

শহরের এক গৃহিণী জানালেন, পরিবারের ব্যয় বেড়ে গেছে। আগে বাড়িতে ইফতার তৈরি করতাম, এবছর বাড়িতে বানাতেও খরচ বেড়েছে আর বাজারে ১০ টাকার নিচে কোন পণ্য পাওয়া যাচ্ছে না। এতে চরম হিমশিম খেতে হচ্ছে তাঁকে।

শহরের উত্তর তেমুহনীর নূর জাহান হোটেল এন্ড রেষ্টুরেন্টের স্বত্বাধিকারী মোঃ সাইফুল আলম পারভেজ জানান, ক্রেতাদের চাহিদামত ইফতারি সীমিত দামে বিক্রি করছেন তিনি। এবার রমযানের এক সপ্তাহ পার হলেও গত বছরের তুলনায় বিক্রি কম।

তবে মানস্মমত খাবার, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে প্রশাসনের তদারকিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন অধিকাংশ ক্রেতা ।