আসন্ন ১৭ ই অক্টোবর লক্ষ্মীপুর জেলা পরিষদের নির্বাচনের ২ নং ওয়ার্ডের দুজন সদস্য প্রার্থী (পুরুষ) উপজেলা যুবলীগের সাবেক দুই আহবায়ক মনজুর হোসেন সুমন ও মামুন বিন জাকারিয়া। গত মেয়াদে দুজনেই ছিলেন জেলা পরিষদের সদস্য। প্রথম নির্বাচনে জমা দেয়া হলফনামার তুলনায় সম্পদ বেড়েছে দুজনেরই কয়েক গুন। ১৪৬ জন ভোটার নিয়ে লক্ষ্মীপুর ২ সদস্য এলাকা।
মনজুর হোসেন সুমনের হলফনামানুযায়ী, তার বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা, ৩টি হত্যা চেষ্টা মামলা, চাঁদাবাজি ও চুরিসহ ৮ মামলা লক্ষ্মীপুর আদালতে রয়েছে। বার্ষিক আয় শূন্য।
ওনার কাছে নগদ রয়েছে ৫০ হাজার টাকা ও ব্যাংকে জমা আছে ৫০ হাজার টাকা। তিনি ২২ লাখ টাকা টয়োটা কা ব্যবহার করেন। গাড়ির জন্য রায়পুর পূবালি ব্যাংক থেকে নেওয়া ১০ লাখ টাকার ঋণের ৭ লাখ ৬১ হাজার ৫৬৯ টাকা এখনো অপরিশোধিত রয়েছে। তার কাছে ৬০ হাজার টাকার স্বর্ণালংকার ও ৪০ হাজার টাকার ইলেক্ট্রনিক সামগ্রী ব্যবহার করছেন। তার কাছে ৫০ টি আসবাবপত্র রয়েছে। হলফ নামায় সম্মানী ভাতা ২ লাখ ৩৮ হাজার ৩৩০ টাকা ও অন্যান্যতে ৫ লাখ ৯৩ হাজার ২৩৯ টাকার কথা উল্লেখ করেন।
মামুন বিন জাকারিয়ার হলফনামায় দেখা যায়, তার কাছে নগদ ১৯ লাখ ৩৩ হাজার ৯৯৬ টাকা ও ১৪ লাখ ২৫ হাজার ৩০২ টাকার বীমা রয়েছে। তিনি ১৩ লাখ টাকার একটি প্রাইভেট কার ব্যবহার করেন। ওনার কাছে ৮ ভরি স্বর্ণালংকার ও ৬০ হাজার টাকার ইলেক্ট্রনিক সামগ্রী রয়েছে। তার নামে ৫৫ হাজার টাকার কৃষি ও ১০ হাজার ৮২৫ টাকার অকৃষি জমি আছে। তার একটি একতলা বিশিষ্ট পাকা ভবন রয়েছে। ৪০ হাজার টাকার আসবাবপত্রের মালিক। তার ব্যবসার মূলধন হচ্ছে ২০ লাখ টাকা।তার স্ত্রীর কাছে ৪ লাখ ৩২ হাজার ৭৫৫ টাকা ও ১৫ ভরি স্বর্ণালংকার রয়েছে। তিনি ৩০ হাজার টাকার ইলেক্ট্রনিক সামগ্রী ব্যবহার করেন। ব্যবসার কাজে তার মূলধন ২১ লাখ ৩৩ হাজার ৮৮২ টাকা। তিনি ৪০ হাজার টাকার আসবাবপত্রের মালিক।
রায়পুুর পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও ভোটার আবু নাসের বাবু সরাসরি মনজুর হোসেন সুমন এর ভোট করছেন বলে নিশ্চিত করে বলেন, ফেসবুকে পোষ্ট দিলেই ভোট পাওয়া যায় না, জনপ্রিয়তা হয় না, ভোটের বাক্সেই প্রমাণ হবে কে যোগ্য।
অন্যদিকে ৪নং সোনাপুর ইউপি সদস্য রিয়াজ উদ্দিন বলেন, জনপ্রিয়তার শীর্ষে মামুন বিন জাকারিয়া, তিনি সরাসরি তার ভোট করছেন এবং ভোট প্রার্থনা করছেন বলে জানান।তিনি বলেন, সুমন ভাই এগিয়ে আছেন মামলায়, আর মামুন ভাই উন্নয়নে তাই ভোটরদের ভোট নিশ্চিতে মাঠে কাজ করছি।
জেলা পরিষদ রায়পুর উপজেলার সদস্য পদপ্রার্থী বৈদ্যূতিক পাখা প্রতীক নিয়ে মনজুর হোসেন সুমন বলেন, বিজয়ীর ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী।
অপর প্রার্থী মামুন বিন জাকারিয়া টিউবওয়েল প্রতীকের তিনি দাবী করেন সকল ভোটাররা তার উন্নয়ন দেখে তাকে ভোট দিবেন। উন্নয়ন এর স্বার্থে তিনি আবারো জয়ী হবেন ভোটারদের ভোটে প্রত্যাশা করেন।