শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগের সঙ্গে কোনো সংলাপে বসা হবে না এবং নির্বাচনেও বিএনপি যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন দলটির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি। আজ শনিবার দুপুরে লক্ষ্মীপুর জেলা বিএনপির সদস্যসচিব শাহাবুদ্দিন সাবুর বাসভবন প্রাঙ্গণে জেলা যুবদল আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। 

লক্ষ্মীপুর সদর পূর্ব অঞ্চলে সম্প্রতি যুবলীগের নেতা আলাউদ্দিন হত্যাকাণ্ডের কথা উল্লেখ করে এ্যানি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নিজেদের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আলাউদ্দিনকে হত্যা করে। অথচ জেলা যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক ফরিদসহ চার নেতার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করছে। এই মিথ্যা ও সাজানো মামলার প্রতিবাদ জানাই। বশিকপুর ইউনিয়নের চিহ্নিত সন্ত্রাসী আবুল কাশেম জিহাদকে গ্রেপ্তার করলে এই হত্যাকাণ্ডের সঠিক রহস্য উদ্‌ঘাটন করা হবে।’

জেলা যুবদলের আহ্বায়ক রেজাউল করিম লিটনের সভাপতিত্বে ও সদস্যসচিব আবদুল আলীম হুমায়ুনের সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঞা, জেলা যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমান।

এ ছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির নেতা নিজাম উদ্দিন ভূঁইয়া, মাহবুবুর রহমান লিটন, নিজাম উদ্দিন প্রফেসর, সাইফুল ইসলাম শাহীন, কৃষক দলের নেতা আমির হোসেন চাষি, যুবদলের নেতা সৈয়দ রশীদুল হাসান লিংকন, সৌরভ হোসেন ভুলু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মহসিন কবির স্বপন, সাধারণ সম্পাদক মো. হারুনুর রশিদ প্রমুখ।

খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঞা বলেন, ‘বশিকপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সহসভাপতি আলাউদ্দিনকে তাঁর নিজ দল আওয়ামী লীগের কোন্দলের জেরে এবং আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গুলি করে হত্যা করা হয়। কিন্তু এই মামলায় প্রতিহিংসামূলকভাবে আমাদের জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক এ কে এম ফরিদ উদ্দিন, বিএনপির নেতা আবদুল গণি ও যুবদলের নেতা আক্তার হোসেন, মো. পারভেজের নাম উল্লেখ করে তারা একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। আমরা এই মামলা প্রত্যাহারের জোর দাবি জানাচ্ছি।’

উল্লেখ্য, গতকাল শুক্রবার রাতে সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের পোদ্দার দীঘিরপাড় কালভাটের গোড়ায় যুবলীগের নেতা আলাউদ্দিনকে এলোপাতাড়ি গুলি করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। পরে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় আজ শনিবার রাতে নিহত ব্যক্তির ছেলে আকাশ বাদী হয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় পিচ্চি নিশান নামে একজনকে প্রধান আসামি করে ১৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ১৫ জনকে আসামি করা হয়।