ঢাকা ০২:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আ.লীগ নেতা তাহেরের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক ও জেলায় কর্মসূচী স্থগিত।

লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ তাহেরের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। একই সঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপিও শোক প্রকাশ করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।

শনিবার (১৮ মার্চ) বিকেলে আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

এদিকে প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা তাহেরের মৃত্যুতে লক্ষ্মীপুর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ৩ দিনের শোক ঘোষণা করা হয়েছে। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরউদ্দিন নয়ন এমপি এক চিঠিতে দলের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এ তিনদিন জেলায় দলীয় সকল কার্যক্রম স্থগিত ও সকল নেতাকর্মীকে কালো ব্যাজ ধারণের জন্য ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, দূরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন শয্যাশায়ী থাকার পর শনিবার দুপুরে তাহের লক্ষ্মীপুরে নিজ বাসভবন পিংকি প্লাজায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি লক্ষ্মীপুর পৌরসভার তিনবারের মেয়র ছিলেন। সবশেষ তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ছিলেন।

প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা তাহেরের মৃত্যুতে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলি, লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শাহজাহান কামাল, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকু, সাধারণ সম্পাদক নুরউদ্দিন চৌধুরী নয়ন এমপি, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান ও লক্ষ্মীপুর পৌরসভার মেয়র মোজাম্মেল হায়দার মাসুম ভূঁইয়া গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।

রোববার (১৯ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে লক্ষ্মীপুর আদর্শ সামাদ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে তার নামাজের জানাজা হওয়ার কথা রয়েছে।

বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনে লক্ষ্মীপুর আওয়ামী লীগের সাহসী নেতা ছিলেন তাহের। রাজনৈতিক জীবনে ১৯৭২ ও ৭৪ সালে টানা দু’বার তাহের জেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পায়। ১৯৭৬ সালে তিনি জেলা যুবলীগের দায়িত্ব পেয়ে সংগঠক হিসেবে দক্ষতার প্রমাণ দেয়। এতে তাকে ১৯৮০ সালে লক্ষ্মীপুর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, ১৯৮৪ সালে একই শাখার সভাপতি, ১৯৮৭ সালে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়। ১৯৯৩ সালে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পান। বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনে একাধিকবার তাকে কারাবরণ করতে হয়েছে।

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

লক্ষ্মীপুরের উত্তরচরবংশী ইউনিয়ন বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের কমিটির বিলুপ্ত  

আ.লীগ নেতা তাহেরের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক ও জেলায় কর্মসূচী স্থগিত।

আপডেট : ০৬:৫৫:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মার্চ ২০২৩

লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ তাহেরের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। একই সঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপিও শোক প্রকাশ করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।

শনিবার (১৮ মার্চ) বিকেলে আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

এদিকে প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা তাহেরের মৃত্যুতে লক্ষ্মীপুর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ৩ দিনের শোক ঘোষণা করা হয়েছে। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরউদ্দিন নয়ন এমপি এক চিঠিতে দলের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এ তিনদিন জেলায় দলীয় সকল কার্যক্রম স্থগিত ও সকল নেতাকর্মীকে কালো ব্যাজ ধারণের জন্য ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, দূরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন শয্যাশায়ী থাকার পর শনিবার দুপুরে তাহের লক্ষ্মীপুরে নিজ বাসভবন পিংকি প্লাজায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি লক্ষ্মীপুর পৌরসভার তিনবারের মেয়র ছিলেন। সবশেষ তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ছিলেন।

প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা তাহেরের মৃত্যুতে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলি, লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শাহজাহান কামাল, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকু, সাধারণ সম্পাদক নুরউদ্দিন চৌধুরী নয়ন এমপি, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান ও লক্ষ্মীপুর পৌরসভার মেয়র মোজাম্মেল হায়দার মাসুম ভূঁইয়া গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।

রোববার (১৯ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে লক্ষ্মীপুর আদর্শ সামাদ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে তার নামাজের জানাজা হওয়ার কথা রয়েছে।

বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনে লক্ষ্মীপুর আওয়ামী লীগের সাহসী নেতা ছিলেন তাহের। রাজনৈতিক জীবনে ১৯৭২ ও ৭৪ সালে টানা দু’বার তাহের জেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পায়। ১৯৭৬ সালে তিনি জেলা যুবলীগের দায়িত্ব পেয়ে সংগঠক হিসেবে দক্ষতার প্রমাণ দেয়। এতে তাকে ১৯৮০ সালে লক্ষ্মীপুর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, ১৯৮৪ সালে একই শাখার সভাপতি, ১৯৮৭ সালে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়। ১৯৯৩ সালে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পান। বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনে একাধিকবার তাকে কারাবরণ করতে হয়েছে।