ঢাকাবৃহস্পতিবার , ৬ অক্টোবর ২০২২
  1. International
  2. অপরাধ
  3. আত্মহত্যা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আবহাওয়া
  6. আমাদের সম্পর্কে
  7. ইসলাম
  8. খেলাধুলা
  9. গণমাধ্যম
  10. চিকিৎসা
  11. জাতীয়
  12. ত্রাণ
  13. ত্রাণ বিতরণ
  14. দিনলিপি
  15. দেশজুড়ে
আজকের সর্বশেষ সবখবর

লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিষ্ঠার ইতিহাস জানেন তো?

নিজস্ব প্রতিবেদক
অক্টোবর ৬, ২০২২ ৮:৩৮ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

ফয়সাল মাহমুদ, প্রতিনিধি।

১৯৮৪ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি লক্ষ্মীপুর কে জেলা ঘোষণা দিয়ে এর উদ্বোধন করেন সাবেক রাষ্ট্রপতি ও প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক লেঃ জেনারেল হুসেইন মোঃ এরশাদ। এর আগে লক্ষ্মীপুর ছিল নোয়াখালী জেলার একটি উপজেলা।
গবেষণা সূত্রে জানা যায়, লক্ষ্মীপুর মেঘনা উপকূলীয় একটি জনপদ। চরাঞ্চল ও প্রত্যন্ত গ্রাম এ অঞ্চল কে সম্মৃদ্ধ করেছে। মেঘনা ও বঙ্গোপসাগরের কুল ঘেঁষে গড়ে ওঠা এ জনপদ নারিকেল, সুপারি, ইলিশ এবং সয়াবিনের জন্য পুরো দেশে বিখ্যাত। নদী ভাঙ্গা এ এলাকার প্রধান সমস্যা। ইংরেজ শাসনামলে এ জনপদের নামকরণ করা হয়।
বৃটিশ আমল থেকে শুরু করে সব কয়টি রাজনৈতিক ও সামাজিক আন্দোলন, ভাষা আন্দোলন এবং স্বাধীনতা আন্দোলনে রয়েছে লক্ষ্মীপুরের গুরুত্বপূর্ন ইতিহাস। ভাষা আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক কমরেড তোয়াহা এবং সানা উল্লাহ নূরীর জন্ম স্থান লক্ষ্মীপুরে। দেশের জাতীয় পতাকা যিনি সর্ব প্রথম উড়িয়েছেন সেই আ স ম আবদুর রবের জন্মভূমি এ লক্ষ্মীপুরে। ১৯৭১ সালে এখানেও ছোট বড় কয়েকটি যুদ্ধ সংগঠিত হয়। ৪ ডিসেম্বর ১৯৭১ এ পাকিস্তানী শাসনের পরাধীনতা থেকে লক্ষ্মীপুর মুক্ত হয়। জাতীয় সংসদের সাবেক স্পীকার ও রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ উল্লাহর জন্মস্থান লক্ষ্মীপুর। এভারেষ্ট পর্বত বিজয়ী প্রথম বাংলাদেশী নারী নিশাদ মুজমদার, শত দেশ ভ্রমণকারী নারী নাজমুন নাহার সোহাগী লক্ষ্মীপুরের নাগরিক হিসাবে গর্ববোধ করেন।

কমরেড তোয়াহার হাতে বাংলাদেশ সাম্যবাদী দল, মরহুম জমির আলীর হাতে বাংলাদেশ মুসলিম লীগ, আ স ম আবদুর রবের হাতে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল সাবেক জাসদ বর্তমানে জেএসডিসহ অন্তত ৫টি বাংলাদেশী রাজনৈতিক দলের জন্মদাতাদের জন্মভূমি লক্ষ্মীপুর। বর্তমানে বিশ্ব বিখ্যাত ইলিশের উৎপাদনস্থল এবং সয়াবিন উৎপানের স্বর্ণ রাজ্যের নামও লক্ষ্মীপুর। নারিকেল, সুপারি, ঘিগজ মুরি এবং মহিষের দই এ এলাকার ঐতিহ্যের সাথে মিশে আছে যুগযুগ ধরে। সে ঐতিহ্যগুলো শুধু লক্ষ্মীপুরের সম্পদই না, এগুলো বাংলাদেশের গর্বের সম্পদও বটে।

ইংরেজ আমলে ১৮৫০ সালের দিকে ফরাশগঞ্জ স্টীমারঘাট এলাকায় নোয়াখালির হাতিয়া থানার অধীন ফরাশগঞ্জ ফাঁড়ি থানা প্রতিষ্ঠিত হয়। পরে মেঘনার ভাঙ্গন থেকে রক্ষার জন্য বর্তমান সদর উপজেলার বাঞ্চানগরের দক্ষিণাংশে রহমতখালী নদীর পাড়ে ফরাশগঞ্জের সেই থানাকে স্থানান্তরিত করা হয়। এর নামকরণ করা হয় লক্ষ্মীপুর ফাঁড়ি থানা। ১৮৬০ সালে ইংরেজ কোম্পানী আমলে লক্ষ্মীপুর নামের থানাটি সর্ব প্রথম নোয়াখালীর একটি পূর্নাঙ্গ থানা হিসাবে ঘোষণা করা হয় । ১৯৭৬ সালের ১ সেপ্টেম্বর তৎকালীন বাঞ্চানগর ইউনিয়ন কে লক্ষ্মীপুর পৌরসভায় রুপান্তরিত করা হয়। পরে এই পৌরসভাটির বর্তমান অবস্থায় বিস্তৃতি ঘটে। ১৯৭৯ সালের ১৯ জুলাই রায়পুর, রামগঞ্জ, রামগতি ও লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা নিয়ে লক্ষ্মীপুর মহকুমা এবং একই এলাকা নিয়ে এরশাদ সরকারের সময় ১৯৮৪ সালের ২৮ শে ফেব্রুয়ারি লক্ষ্মীপুর কে জেলা ঘোষণা করা হয় । ১৯৮৪ সালের ২৪ মার্চ লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা গঠিত হয়। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বন্ধন এ জেলায় যুগযুগ ধরে বিদ্যমান।

চলমান ……

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
error: Content is protected !!