আপডেট :
০৫:৪৮:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৩
০
জন পড়েছেন
লক্ষ্মীপুর জেলা জুড়ে বৃহস্পতিবার (৭ই ডিসেম্বর) দুপুর ১টার দিকে হঠাৎ করেই থেমে থেমে বৃষ্টি শুরু হয়,সেই সাথে নামে হাঁড় কাঁপানো শীতের তীব্রতা ও বাতাস।
শীত মৌসুমে এমন বৃষ্টিতে বিপাকে পড়ে যায় সাধারণ মানুষ। কারণ হঠাৎ আসা বৃষ্টির জন্য কেউই প্রস্তুত ছিলেন না।বৃষ্টির সঙ্গে শীতের তীব্রতাও বাড়তে থাকে। বৃহস্পতিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সাধারণ শীতকালে বৃষ্টির জন্য বর্ষার মতো তেমন কোনো প্রস্তুতি থাকে না মানুষদের। তাই বৃষ্টি আসায় পথচারী এবং বিভিন্ন কাজে যাওয়ার লোকজনকে শহরের বিভিন্ন দোকানে আশ্রয় নিতে দেখা গেছে।
তবে এত কিছুর পরও এ বৃষ্টিতে শীতের পোশাক উৎপাদনকারীদের আশান্বিত করেছে। গত কয়েকদিনের শীতের পোশাক ব্যবসায়ীরা তেমন ব্যবসা না করলেও কিন্তু গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি তাদের মনে আশা জাগিয়েছে। কারণ এ বৃষ্টির পর আবার শীত আরো প্রচন্ড ভাবে নামবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।
শীতের শুরুতে এই বৃষ্টির কারণে দুর্ভোগে পড়েন অফিসগামী মানুষ। ফুটপাতে যারা হরেক রকমের শীতের কাপড় খোলা আকাশের নিচে বিক্রি করছিলেন তাদের দুর্ভোগ আরেকটু বেশি। তড়িঘড়ি করে দোকান গুটিয়ে নিতে হয়েছে তাদের। এছাড়া এই শীতে স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের অনেকেই বৃষ্টিতে ভিজে গিয়ে বিপাকে পড়েছে।
এছাড়া বৃষ্টি শুরু হতে না হতেই লোডশেডিং হয় জেলা জুড়ে।
রায়পুর পৌর শহরের এলাকার বাদাম বিক্রেতা বলেন, আমি প্রতিদিন সন্ধ্যার পর সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে বাদাম, ছোলা, বুট এসব বিক্রি করি। কিন্তু বৃষ্টি আসায় একটি মার্কেটের ছাদের নিচে দাঁড়িয়ে আছি। আসার পর কিছু বাদাম-বুট বিক্রি করেছি। কিন্তু এখন প্রায় ৪ ঘণ্টা ধরে দাঁড়িয়ে আছি, কোনো বিক্রি নেই। বৃষ্টির কারণে শহরে মানুষও কমে গেছে।
তবে টানা বৃষ্টিতে মেঘনা পাড়ের মানুষের জীবনে দুর্ভোগ নেমে এসেছে। বৈরী আবহাওয়া দেখা দিয়েছে মানবেতর পরিবেশ। বৃষ্টিপাতের কারণে শীতকালীন শাক-সবজির ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। বৃষ্টির কারণে আলুতে পাতাপোড়া রোগ, টমেটোতে পোকামাকড়ের আক্রমণ দেখা দিবে। এছাড়া বৃষ্টিপাত ও বৈরী আবহাওয়ার কারণে বোর খেতে দেখা দিবে শীতজনিত রোগ। গো-খাদ্যের তীব্র সঙ্কটও দেখা দিতে পারে।
রায়পুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তহমিনা খাতুন বলেন শীতে বৃষ্টি হলে ফসল উৎপাদনে ক্ষতি হয়। বিশেষ করে মাটির নিচে যেসব পণ্য উৎপাদিত হয় যেমন-সয়াবিন , আলু, পিঁয়াজ, রসুন, আদা, হলুদ ফসলের উৎপাদন কম হবে। বৃষ্টির পানি মাটিতে শুষে নেয়। মাটির শুষে নেওয়া পানি ফসলের গায়ে লেগে উৎপাদিত ফসলে পচন ধরে।