জিহাদ হোসেন রাহাত, রায়পুর প্রতিনিধি :
ছাত্র নেতা থেকে সরাসরি আওয়ামীলীগের দায়িত্ব পালন করেছেন লক্ষ্মীপুরের আওয়ামীলীগ এর রাজনীতির বরপুত্র লক্ষ্মী নয়ন খ্যাত এডভোকেট নূরউদ্দিন চৌধুরী নয়ন এমপি। আসন্ন জেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক পদে সম্মেলনে তৃণমূলে আগ্রহ ফের নয়ন এমপিকে ঘিরেই নেতাকর্মীদের মধ্যে আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে।
গত সম্মেলনে লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন, অ্যাডভোকেট নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন। ২৮ জানুয়ারি ২০২১ সালে লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলকে কুয়েতের ফৌজদারি আদালত সাত বছরের কারাদণ্ড দিলে ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২১ সালে বাংলাদেশের সংবিধানের ৬৬ ও ৬৭ অনুচ্ছেদ অনুসারে জাতীয় সংসদের সদস্য পদ হারান। ২৮ জুন ২০২১ সালের শূন্য আসনের উপনির্বাচনে নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
নতুন নেতৃত্ব তৈরি করতে আগামী ২১শে নভেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন। কে হবেন সভাপতি? কে বা সাধারণ সম্পাদক? – দলের এই দুই গুরুত্বপূর্ণ পদ নিয়ে চলছে নানান গুঞ্জন। তবে তৃনমুলের নেতাকর্মীদের পছন্দ তালিকার শীর্ষে অবস্থান করছেন জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নুরউদ্দিন নয়ন।
তৃনমুল থেকে প্রাপ্ত তথ্য বলছে, এবার পুনরায় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক হিসেবে বহাল থাকবেন সংসদ সদস্য নয়ন। আসছে সম্মেলনকে কেন্দ্র করে এরই মধ্যে প্রচার-প্রচারনা শুরু করেছেন পদপ্রত্যাশী বেশ কয়েকজন প্রার্থী। আবার গোপনে অনেকে চেষ্টা করছেন দেনদরবারের এমন সংবাদও ভাসছে হাওয়ায়। তবে জেলা আওয়ামী লীগের ভবিষ্যত সুন্দর করতে পারবেন এমপি নয়ন – এমনটি প্রত্যাশা তৃনমূলের।
রায়পুর উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক ও জেলা পরিষদ সদস্য মামুন বিন জাকারিয়া বলেন ,২০১৫ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত টানা ৭ বছর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ লক্ষ্মীপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন তিনি। তার এই ৭ বছরে তিলে তিলে কর্মীদেরকে গড়ে তুলেছেন নিজের সেরাটা দিয়ে। কর্মীবান্ধব এই নেতার এক ডাকেই পঙ্গপালের মতো ছুটে আসে হাজারো নেতাকর্মী। শুধু দল নয় জনতার মাঝেও সমানতালে জনপ্রিয় এই নেতা।জেলা আওয়ামীলীগ সম্মেলনে নয়ন এমপির বিকল্প কেউ নেই।
লক্ষ্মীপুর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাহমুদুন্নবী চৌধুরী সোহেল বলেন, নুরউদ্দিন চৌধুরী নয়ন ভাই
ছাত্রলীগের মাধ্যমেই তার রাজনৈতিক জীবন শুরু। ১৯৭৮ সাল থেকে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত লক্ষ্মীপুর আদর্শ সামাদ উচ্চ বিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ১৯৮০ থেকে ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত টানা তিন বছর লক্ষ্মীপুর পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি, ১৯৮৩ থেকে ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি, ১৯৮৬ থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত লক্ষ্মীপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।তিনি লক্ষ্মীপুরে একমাত্র নেতা যিনি সরাসরি আওয়ামীলীগের গুরু দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়ে দলকে জনপ্রিয় ও শক্তিশালী করেছেন। তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতি শেষে ১৯৮৮ সালেই যোগ দেন আওয়ামী লীগে। আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েই চমক দেখান এই নেতা। ১৯৮৮ থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত লক্ষ্মীপুর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, ১৯৯৪ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত লক্ষ্মীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, ২০০৩ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত লক্ষ্মীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন এই নেতা। এরপর ২০১৫ থেকে এখন পর্যন্ত লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করছেন।
রায়পুর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা আওয়ামীলীগ এর প্রভাবশালী সদস্য কাজী জামশেদ কবির বাক্বী বিল্লাহ বলেন, অ্যাডভোকেট নুরউদ্দিন চৌধুরী নয়ন একজন দক্ষ সংগঠক। তিনি লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করেছেন। তার দক্ষ নেতৃত্বের কারণে এক সময় দেশব্যাপী বিএনপির ঘাটি হিসেবে স্বীকৃত এই জেলায় এখন আওয়ামী লীগের জয়জয়কার। যা সম্ভব হয়েছে দলীয় কোন্দল থেকে বেরিয়ে এসে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার মাধ্যমে। যার পুরো কৃতিত্বই এডভোকেট নয়নের। জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছেন সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে। যোগ্য জনপ্রতিনিধি এবং দক্ষ নেতা তিনি প্রমাণ তিনি দিয়েছেন।
লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক ও আসন্ন সম্মেলনে একই পদপ্রার্থী এডভোকেট নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন এমপি প্রার্থীতার বিষয়ে বলেন, আমি আওয়ামীলীগ এর সাধারন একজন কর্মী। রাত – দিন কর্মীদের জন্য আমার দরজা উন্মুক্ত করেছি । দলের অনেকেই প্রার্থী হবেন, সবাই যোগ্য আমার দৃষ্টিতে। তৃণমূল, ভোটার এবং আমাদের সভানেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা যেই সিদ্ধান্ত নিবেন কমিটির ব্যাপারে আমি সেই সিদ্ধান্তই মেনে নিবো।