ঢাকা ০১:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

লক্ষ্মীপুর জেলার জানা অজানা তথ্য ও বিভিন্ন অজানা ইতিহাস সংক্ষেপে।

  • ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট : ০৬:০২:৩৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ অক্টোবর ২০২২
  • ০ জন পড়েছেন

লক্ষ্মীপুর জেলা নামকরণ, লক্ষ্মীপুর জেলার প্রতিষ্ঠাকাল, লক্ষ্মীপুর জেলার ব্র্যান্ডি, লক্ষ্মীপুর জেলার ইতিহাস,লক্ষ্মীপুর জেলার আয়তন,লক্ষ্মীপুর জেলার জনসংখ্যা, লক্ষ্মীপুর জেলার বিখ্যাত ব্যক্তি, লক্ষ্মীপুর জেলার দর্শনীয় স্থান, শিক্ষার হার, লক্ষ্মীপুর জেলার জানা অজানা তথ্য ও বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর ।

লক্ষ্মীপুর জেলা নামকরণ কিভাবে ?
-শ্রী সুরেশ চন্দ্রনাথ মুজমদার রাজপুরুষ যোগী-বংশ নামক গবেষণামূলক গ্রন্থে লিখেছেন দালাল বাজারের জমিদার রাজা গৌর কিশোর রায় চৌধুরী ১৭৬৫ খ্রিষ্টাব্দে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি থেকে রাজা উপাধি পেয়েছেন। তার পূর্বপুরুষরা ১৬২৯ থেকে ১৬৫৮ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে দালাল বাজার আসেন। তার বংশের প্রথম পুরুষের নাম লক্ষ্মী নারায়ণ রায় (বৈষ্ণব) এবং রাজা গৌর কিশোরের স্ত্রীর নাম লক্ষ্মী প্রিয়া। অনেক ঐতিহাসিকের মতে, লক্ষ্মী নারায়ণ রায় বা লক্ষ্মী প্রিয়ার নাম অনুসারে লক্ষ্মীপুরের নামকরণ করা হয় লক্ষ্মীপুর জেলা।

 

লক্ষ্মীপুর জেলার প্রতিষ্ঠাকাল কখন ?

– লক্ষ্মীপুর নামে সর্বপ্রথম থানা প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮৬০ সালে। এরপর ১৯৭৬ সালের ১ সেপ্টেম্বর তৎকালীন ৫নং বাঞ্চানগর ইউনিয়ন লক্ষ্মীপুর পৌরসভায় রূপান্তরিত হয়। পরে এই পৌরসভাটির বিস্তৃতি ঘটে। রায়পুর, রামগঞ্জ, রামগতি ও লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা নিয়ে ১৯৭৯ সালের ১৯ জুলাই লক্ষ্মীপুর মহকুমা এবং একই এলাকা নিয়ে ১৯৮৪ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি গঠিত হয় লক্ষ্মীপুর জেলা।

লক্ষ্মীপুর জেলার ব্র্যান্ডি কি ?
– “সয়াবিন ও নারিকেল সুপারির লক্ষ্মীপুর”

লক্ষ্মীপুর জেলার ইতিহাস কি ?
– ত্রয়োদশ শতাব্দীতে লক্ষ্মীপুর ভুলুয়া রাজ্যের অধীন ছিল। মুঘল ও ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনামলে লক্ষ্মীপুরে একটি সামরিক স্থাপনা ছিল। ষোড়শ থেকে ঊন-বিংশ শতাব্দী পর্যন্ত এ এলাকায় প্রচুর পরিমাণে লবণ উৎপন্ন হত এবং বাইরে রপ্তানি হত। লবণের কারণে এখানে লবণ বিপ্লব ঘটে। স্বদেশী আন্দোলনে লক্ষ্মীপুরবাসী স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ করে। এ সময় মহাত্মা গান্ধি এ অঞ্চল ভ্রমণ করেন। তিনি তখন প্রায়ই কাফিলাতলি আখড়া ও রামগঞ্জের শ্রীরামপুর রাজবাড়ীতে অবস্থান করতেন। বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম ১৯২৬ সালের জুন মাসে লক্ষ্মীপুর সফরে আসেন। ( বিস্তারিত এখানে )

 

লক্ষ্মীপুর জেলার আয়তন কত ?
– লক্ষ্মীপুর জেলার মোট আয়তন ১৪৫৬ বর্গ কি: মিঃ। সদর-৫১৫ বর্গ কি: মিঃ, রায়পুর-২০১ বর্গ কি: মিঃরামগঞ্জ-১৬৯ বর্গ- কি: মিঃ, রামগতি-২৮৮ বর্গ কি: মিঃকমলনগর-২৮৩ বর্গ কি: মিঃ ।

লক্ষীপুর জেলার জনসংখ্যা কত?
– ২০১১ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী লক্ষ্মীপুর জেলার মোট জনসংখ্যা ১৭,২৯,১৮৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৮,৬৬,৮৬৮ জন এবং মহিলা ৮,৬২,৩২০ জন। মোট জনসংখ্যার ৯৫.৩১% মুসলিম, ৪.৬৬% হিন্দু এবং ০.০৩% বৌদ্ধ ও অন্যান্য ধর্মের অনুসারী।

লক্ষ্মীপুর জেলার বিখ্যাত ব্যক্তি কারা ?
– রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব:
> মোহাম্মদ উল্যাহ ( বাংলাদেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি)
> মোহাম্মদ তোহা
> আলহাজ্ব জমির আলী
> জনাব আ স ম আব্দুর রব
> মেজর জেনারেল (অব:) ডাঃ এ এস এম মতিউর রহমান (তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা)

সিভিল সার্ভেন্ট:
> আবুল আহসান চৌধুরী (সার্কের প্রথম মহাসচিব ও প্রাক্তন পররাষ্ট্র সচিব)
> ইসমাইল জবিউলস্নাহ (প্রাক্তন সচিব)
> কে এম নাজমুল আলম সিদ্দিকী (সাবেক সচিব)
> শহুদুল হক (প্রাক্তন আই জি পি)
> মোঃ বদিউজ্জামান (চেয়ারম্যান, দুর্নীতি দমন কমিশন)
> জনাব মোঃ রহুল আমিন (সাবেক প্রধান বিচারপতি)

শিক্ষাবিদ ও সাহিত্যিক:
> অধ্যাপক মুজাফফর আহমদ চৌধুরী ( শিক্ষাবিদ ও প্রাক্তন মন্ত্রী পরিষদ সদস্য)
> ডঃ আবদুল মতিন চৌধুরী (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস চান্সেলর)
> ডঃ মমতাজ উদ্দিন চৌধুরী (ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর )
> কাজী মোতাহার হোসেন (সাহিত্যিক)
> সেলিনা হোসেন (কথা সাহিত্যিক)
> ডঃ মফিজুল্যাহ কবির (ইতিহাসবিদ)

সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব:
> দিলারা জামান
> জনাব রামেন্দ্র মজুমদার
> ফেরদৌসী মজুমদার
> এ.টি এম. শামসুজ্জামান
> মাহফুজ আহমেদ
> তারিন

ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব:
> জনাব হারুনুর রশিদ (ক্রীড়া সংগঠক ও সাবেক সংসদ সদস্য)
> নিশাত মজুমদার (প্রথম বাংলাদেশী নারী এভারেষ্ট বিজয়ী)

লক্ষীপুর জেলার ভোটার তালিকা ?
– ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য যে ভোটার তালিকা তৈরি করা হয়েছে, তাতে মোট ভোটার দাঁড়িয়েছে ১২ লাখ ৩৩ হাজার ১৬৪ ।
লক্ষ্মীপুর জেলার দর্শনীয় স্থান কি কি ?
– মেঘনা নদী, নদীর অসংখ্য দ্বীপ, মতির হাট আর মজু চৌধুরীর হাট মাছ ঘাট, আলেকজেন্ডার সৈকত , নারিকেল ও সুপারির বাগান,দালাল বাজার জমিদার বাড়ি, খোয়া সাগর দিঘী, রায়পুরের জিনের মসজিদ, তেগাছিয়া সুইচ গেট ও বিশাল ঝাউবন, রায়পুর মৎস্য প্রজনন ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, পৌর শিশুপার্ক অন্যতম।

লক্ষ্মীপুর জেলার পূর্ব নাম কি ছিলো ?
– লক্ষ্মীপুর জেলার পূর্ব নাম ছিলো ভুলুয়া ।

লক্ষ্মীপুর জেলার মানচিত্র?
– লক্ষ্মীপুরের উত্তরে চাঁদপুর, পূর্বে নোয়াখালী, দক্ষিণ ও পশ্চিমে মেঘনা নদী এবং অপর পাড়ে নোয়াখালী, ভোলা ও বরিশাল জেলা। লক্ষ্মীপুর জেলার মানচিত্র দেখতে এখানে ক্লিক করুন।

লক্ষ্মীপুর জেলার ইউনিয়ন কয়টি?
– লক্ষ্মীপুর জেলায় ইউনিয়ন ৫৮টি ।

লক্ষ্মীপুর জেলায় গ্রাম কয়টি ?
– লক্ষ্মীপুর জেলায় মোট গ্রাম ৫৪৭।

লক্ষ্মীপুর জেলায় মৌজা সংখ্যা কয়টি ?
– লক্ষ্মীপুর জেলায় মৌজা সংখ্যা ৪৮১।

লক্ষ্মীপুর জেলায় পৌরসভা কয়টি?
– লক্ষ্মীপুর জেলায় পৌরসভা ৪টি ।

লক্ষ্মীপুর জেলার উপজেলা সমূহ– লক্ষ্মীপুর , রায়পুর , রামগঞ্জ , কমলনগর, রামগতি , চন্দ্রগঞ্জ।

লক্ষ্মীপুর থানা কয়টি ?
লক্ষ্মীপুর জেলায় ৬টি থানা।

লক্ষ্মীপুরে সংসদীয় আসন কয় টি ?
লক্ষ্মীপুরে সংসদীয় আসন ৪টি ।

লক্ষ্মীপুর জেলার সংসদ সদস্যদের নাম ?
১. লক্ষ্মীপুর – সংসদ সদস্য জনাব এ কে এম শাহাজাহান কামাল। লক্ষ্মীপুর-৩ (সদর)
২.রামগঞ্জ – সংসদ সদস্য জনাব আনোয়ার হোসেন খান। লক্ষীপুর-১ (রামগঞ্জ)
৩.রায়পুর – সংসদ সদস্য জনাব এডভোকেট নুরউদ্দিন চৌধুরী নয়ন । লক্ষ্মীপুর-২ (সদর ও রায়পুর)
৪. রামগতি – সংসদ সদস্য জনাব আব্দুল মান্নান। লক্ষ্মীপুর-৪ (রামগতি ও কমলনগর)

লক্ষ্মীপুর জেলার শিক্ষার হার কত ?
– লক্ষ্মীপুর জেলার শিক্ষার হার ৬২%

লক্ষ্মীপুর জেলার মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা?
– ল্যাঃ নায়েক মুজবর হক ,কাজল কান্তি দাস, আনোয়ারুল হক ,জয়নাল আবেদীন , মোঃ নাজিম উদ্দিন , সিরাজ উল্যা,মোঃ আমির হোসেন, মোঃ মনজুরুল আলম (মুঃবাঃ) । পুরো তালিকাটি দেখতে ভিজিট করুন এখানে ।

লক্ষ্মীপুর জেলার প্রথম রাষ্ট্রপতি নাম কি ?
– মোহাম্মদ মোহাম্মদউল্লাহ ( বাংলাদেশের তৃতীয় রাষ্ট্রপতি ) ২১ অক্টোবর ১৯২১ সালে ব্রিটিশ ভারতের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির লক্ষ্মীপুরের রায়পুরের সাইচা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মুনশী আবদুল ওয়াহাব। ১৯৫০ সাল থেকেই তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। তিনি পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগের দপ্তর বিষয়ক সম্পাদক নির্বাচিত হন ১৯৫২ সালে। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ গঠিত হলে ১৯৭২ সাল পর্যন্ত তিনি একই পদে বহাল ছিলেন। ১৯৭০ পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। মুক্তিযুদ্ধের সময় ১৯৭১ সালে তিনি ১৯৭১ সালের অস্থায়ী বাংলাদেশ সরকারের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতির সৈয়দ নজরুল ইসলামের রাজনৈতিক উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। উনার মৃত্যু তারিখ- নভেম্বর ১১, ১৯৯৯ ।

লক্ষীপুর জেলা কোন জনপদের অন্তর্ভুক্ত ছিল?
– ত্রয়োদশ শতাব্দীতে লক্ষ্মীপুর ভুলুয়া রাজ্যের অধীন ছিল।

লক্ষ্মীপুর জেলা কিসের জন্য বিখ্যাত?
-নারিকেল , সুপারি , সয়াবিন, বাদাম, মেঘনা নদীর ইলিশ।

লক্ষীপুর জেলার বিখ্যাত খাবার ?
– গিগজ ধানের মোটা মুড়ি; লক্ষ্মীপুরসহ বৃহত্তম নোয়খালীর একটি ঐতিহ্যবাহী দেশীয় প্রাচীন খাবার। উপকূলীয় জেলা লক্ষ্মীপুর বা বৃহত্তম নোয়াখালীর চরাঞ্চলে উৎপন্ন বিশেষ জাতের ‘গিগজ’ ধানের মুড়ি স্বাদ বৈশিষ্টের জন্য দেশ বিদেশে বিখ্যাত। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের পিঠার জন্য বিখ্যাত।

কত তারিখে লক্ষ্মীপুর হানাদার মুক্ত হয় ? ৪ ডিসেম্বর লক্ষ্মীপুর হানাদার মুক্ত দিবস।

লক্ষ্মীপুর জেলা কোন বিভাগে অবস্থিত ?
– লক্ষ্মীপুর বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের চট্টগ্রাম বিভাগে অবস্থিত একটি জেলা ।

লক্ষ্মীপুর জেলায় ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান সংখ্যা কত ?

-মসজিদ-৩৫৩৯ টি,
মন্দির-৪৫ টি,
গীর্জা-০১ টি

লক্ষীপুর জেলা প্রশাসক কে ?
– লক্ষ্মীপুর জেলার বর্তমান জেলা প্রশাসক মোঃ আনোয়ার হোছাইন আকন্দ।

ঢাকা থেকে লক্ষীপুর কত কিলোমিটার ?
– ঢাকা থেকে লক্ষ্মীপুর জেলার দূরত্ব প্রায় ১৪৫ কিলোমিটার।

লক্ষ্মীপুর টু ঢাকা বাস কাউন্টারের নাম্বার ?
– ইকোনো বাস কাউন্টার নাম্বার লক্ষীপুর ফোন- ০১৯৯২-০১৭৯০৩.
জকসিন কাউন্টার ফোন- ০১৯৯২-০১৭৯০৪.
মান্দারী বাজার বাস ষ্টেশন কাউন্টার ফোন- ০১৯৯২-০১৭৯০৫.

ঢাকা এক্সপ্রেস জোনাকী সার্ভিস – ০১৭২৫১৬১৩৭৪

জোনাকী সার্ভিস জোনাকী সার্ভিস – ০১৭১৪৭৬৪০০২

লক্ষ্মীপুর টু চট্রগ্রাম বাস কাউন্টারের নাম্বার ?

শাহী সার্ভিস বাস কাউন্টার নাম্বার – ০১৯৭৩-৩৯৯০১৩

মজু চৌধুরীর হাট টু ঢাকা লঞ্চ কবে চালু হয়েছে ?
– ১৫ নভেম্বর ২০২১

মজু চৌধুরী ঘাট টু ভোলা/বরিশাল লঞ্চ নাম্বার – ০১৭২১৪৩৯৫৪৬

 

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

লক্ষ্মীপুরের উত্তরচরবংশী ইউনিয়ন বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের কমিটির বিলুপ্ত  

লক্ষ্মীপুর জেলার জানা অজানা তথ্য ও বিভিন্ন অজানা ইতিহাস সংক্ষেপে।

আপডেট : ০৬:০২:৩৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ অক্টোবর ২০২২

লক্ষ্মীপুর জেলা নামকরণ, লক্ষ্মীপুর জেলার প্রতিষ্ঠাকাল, লক্ষ্মীপুর জেলার ব্র্যান্ডি, লক্ষ্মীপুর জেলার ইতিহাস,লক্ষ্মীপুর জেলার আয়তন,লক্ষ্মীপুর জেলার জনসংখ্যা, লক্ষ্মীপুর জেলার বিখ্যাত ব্যক্তি, লক্ষ্মীপুর জেলার দর্শনীয় স্থান, শিক্ষার হার, লক্ষ্মীপুর জেলার জানা অজানা তথ্য ও বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর ।

লক্ষ্মীপুর জেলা নামকরণ কিভাবে ?
-শ্রী সুরেশ চন্দ্রনাথ মুজমদার রাজপুরুষ যোগী-বংশ নামক গবেষণামূলক গ্রন্থে লিখেছেন দালাল বাজারের জমিদার রাজা গৌর কিশোর রায় চৌধুরী ১৭৬৫ খ্রিষ্টাব্দে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি থেকে রাজা উপাধি পেয়েছেন। তার পূর্বপুরুষরা ১৬২৯ থেকে ১৬৫৮ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে দালাল বাজার আসেন। তার বংশের প্রথম পুরুষের নাম লক্ষ্মী নারায়ণ রায় (বৈষ্ণব) এবং রাজা গৌর কিশোরের স্ত্রীর নাম লক্ষ্মী প্রিয়া। অনেক ঐতিহাসিকের মতে, লক্ষ্মী নারায়ণ রায় বা লক্ষ্মী প্রিয়ার নাম অনুসারে লক্ষ্মীপুরের নামকরণ করা হয় লক্ষ্মীপুর জেলা।

 

লক্ষ্মীপুর জেলার প্রতিষ্ঠাকাল কখন ?

– লক্ষ্মীপুর নামে সর্বপ্রথম থানা প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮৬০ সালে। এরপর ১৯৭৬ সালের ১ সেপ্টেম্বর তৎকালীন ৫নং বাঞ্চানগর ইউনিয়ন লক্ষ্মীপুর পৌরসভায় রূপান্তরিত হয়। পরে এই পৌরসভাটির বিস্তৃতি ঘটে। রায়পুর, রামগঞ্জ, রামগতি ও লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা নিয়ে ১৯৭৯ সালের ১৯ জুলাই লক্ষ্মীপুর মহকুমা এবং একই এলাকা নিয়ে ১৯৮৪ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি গঠিত হয় লক্ষ্মীপুর জেলা।

লক্ষ্মীপুর জেলার ব্র্যান্ডি কি ?
– “সয়াবিন ও নারিকেল সুপারির লক্ষ্মীপুর”

লক্ষ্মীপুর জেলার ইতিহাস কি ?
– ত্রয়োদশ শতাব্দীতে লক্ষ্মীপুর ভুলুয়া রাজ্যের অধীন ছিল। মুঘল ও ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনামলে লক্ষ্মীপুরে একটি সামরিক স্থাপনা ছিল। ষোড়শ থেকে ঊন-বিংশ শতাব্দী পর্যন্ত এ এলাকায় প্রচুর পরিমাণে লবণ উৎপন্ন হত এবং বাইরে রপ্তানি হত। লবণের কারণে এখানে লবণ বিপ্লব ঘটে। স্বদেশী আন্দোলনে লক্ষ্মীপুরবাসী স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ করে। এ সময় মহাত্মা গান্ধি এ অঞ্চল ভ্রমণ করেন। তিনি তখন প্রায়ই কাফিলাতলি আখড়া ও রামগঞ্জের শ্রীরামপুর রাজবাড়ীতে অবস্থান করতেন। বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম ১৯২৬ সালের জুন মাসে লক্ষ্মীপুর সফরে আসেন। ( বিস্তারিত এখানে )

 

লক্ষ্মীপুর জেলার আয়তন কত ?
– লক্ষ্মীপুর জেলার মোট আয়তন ১৪৫৬ বর্গ কি: মিঃ। সদর-৫১৫ বর্গ কি: মিঃ, রায়পুর-২০১ বর্গ কি: মিঃরামগঞ্জ-১৬৯ বর্গ- কি: মিঃ, রামগতি-২৮৮ বর্গ কি: মিঃকমলনগর-২৮৩ বর্গ কি: মিঃ ।

লক্ষীপুর জেলার জনসংখ্যা কত?
– ২০১১ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী লক্ষ্মীপুর জেলার মোট জনসংখ্যা ১৭,২৯,১৮৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৮,৬৬,৮৬৮ জন এবং মহিলা ৮,৬২,৩২০ জন। মোট জনসংখ্যার ৯৫.৩১% মুসলিম, ৪.৬৬% হিন্দু এবং ০.০৩% বৌদ্ধ ও অন্যান্য ধর্মের অনুসারী।

লক্ষ্মীপুর জেলার বিখ্যাত ব্যক্তি কারা ?
– রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব:
> মোহাম্মদ উল্যাহ ( বাংলাদেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি)
> মোহাম্মদ তোহা
> আলহাজ্ব জমির আলী
> জনাব আ স ম আব্দুর রব
> মেজর জেনারেল (অব:) ডাঃ এ এস এম মতিউর রহমান (তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা)

সিভিল সার্ভেন্ট:
> আবুল আহসান চৌধুরী (সার্কের প্রথম মহাসচিব ও প্রাক্তন পররাষ্ট্র সচিব)
> ইসমাইল জবিউলস্নাহ (প্রাক্তন সচিব)
> কে এম নাজমুল আলম সিদ্দিকী (সাবেক সচিব)
> শহুদুল হক (প্রাক্তন আই জি পি)
> মোঃ বদিউজ্জামান (চেয়ারম্যান, দুর্নীতি দমন কমিশন)
> জনাব মোঃ রহুল আমিন (সাবেক প্রধান বিচারপতি)

শিক্ষাবিদ ও সাহিত্যিক:
> অধ্যাপক মুজাফফর আহমদ চৌধুরী ( শিক্ষাবিদ ও প্রাক্তন মন্ত্রী পরিষদ সদস্য)
> ডঃ আবদুল মতিন চৌধুরী (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস চান্সেলর)
> ডঃ মমতাজ উদ্দিন চৌধুরী (ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর )
> কাজী মোতাহার হোসেন (সাহিত্যিক)
> সেলিনা হোসেন (কথা সাহিত্যিক)
> ডঃ মফিজুল্যাহ কবির (ইতিহাসবিদ)

সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব:
> দিলারা জামান
> জনাব রামেন্দ্র মজুমদার
> ফেরদৌসী মজুমদার
> এ.টি এম. শামসুজ্জামান
> মাহফুজ আহমেদ
> তারিন

ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব:
> জনাব হারুনুর রশিদ (ক্রীড়া সংগঠক ও সাবেক সংসদ সদস্য)
> নিশাত মজুমদার (প্রথম বাংলাদেশী নারী এভারেষ্ট বিজয়ী)

লক্ষীপুর জেলার ভোটার তালিকা ?
– ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য যে ভোটার তালিকা তৈরি করা হয়েছে, তাতে মোট ভোটার দাঁড়িয়েছে ১২ লাখ ৩৩ হাজার ১৬৪ ।
লক্ষ্মীপুর জেলার দর্শনীয় স্থান কি কি ?
– মেঘনা নদী, নদীর অসংখ্য দ্বীপ, মতির হাট আর মজু চৌধুরীর হাট মাছ ঘাট, আলেকজেন্ডার সৈকত , নারিকেল ও সুপারির বাগান,দালাল বাজার জমিদার বাড়ি, খোয়া সাগর দিঘী, রায়পুরের জিনের মসজিদ, তেগাছিয়া সুইচ গেট ও বিশাল ঝাউবন, রায়পুর মৎস্য প্রজনন ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, পৌর শিশুপার্ক অন্যতম।

লক্ষ্মীপুর জেলার পূর্ব নাম কি ছিলো ?
– লক্ষ্মীপুর জেলার পূর্ব নাম ছিলো ভুলুয়া ।

লক্ষ্মীপুর জেলার মানচিত্র?
– লক্ষ্মীপুরের উত্তরে চাঁদপুর, পূর্বে নোয়াখালী, দক্ষিণ ও পশ্চিমে মেঘনা নদী এবং অপর পাড়ে নোয়াখালী, ভোলা ও বরিশাল জেলা। লক্ষ্মীপুর জেলার মানচিত্র দেখতে এখানে ক্লিক করুন।

লক্ষ্মীপুর জেলার ইউনিয়ন কয়টি?
– লক্ষ্মীপুর জেলায় ইউনিয়ন ৫৮টি ।

লক্ষ্মীপুর জেলায় গ্রাম কয়টি ?
– লক্ষ্মীপুর জেলায় মোট গ্রাম ৫৪৭।

লক্ষ্মীপুর জেলায় মৌজা সংখ্যা কয়টি ?
– লক্ষ্মীপুর জেলায় মৌজা সংখ্যা ৪৮১।

লক্ষ্মীপুর জেলায় পৌরসভা কয়টি?
– লক্ষ্মীপুর জেলায় পৌরসভা ৪টি ।

লক্ষ্মীপুর জেলার উপজেলা সমূহ– লক্ষ্মীপুর , রায়পুর , রামগঞ্জ , কমলনগর, রামগতি , চন্দ্রগঞ্জ।

লক্ষ্মীপুর থানা কয়টি ?
লক্ষ্মীপুর জেলায় ৬টি থানা।

লক্ষ্মীপুরে সংসদীয় আসন কয় টি ?
লক্ষ্মীপুরে সংসদীয় আসন ৪টি ।

লক্ষ্মীপুর জেলার সংসদ সদস্যদের নাম ?
১. লক্ষ্মীপুর – সংসদ সদস্য জনাব এ কে এম শাহাজাহান কামাল। লক্ষ্মীপুর-৩ (সদর)
২.রামগঞ্জ – সংসদ সদস্য জনাব আনোয়ার হোসেন খান। লক্ষীপুর-১ (রামগঞ্জ)
৩.রায়পুর – সংসদ সদস্য জনাব এডভোকেট নুরউদ্দিন চৌধুরী নয়ন । লক্ষ্মীপুর-২ (সদর ও রায়পুর)
৪. রামগতি – সংসদ সদস্য জনাব আব্দুল মান্নান। লক্ষ্মীপুর-৪ (রামগতি ও কমলনগর)

লক্ষ্মীপুর জেলার শিক্ষার হার কত ?
– লক্ষ্মীপুর জেলার শিক্ষার হার ৬২%

লক্ষ্মীপুর জেলার মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা?
– ল্যাঃ নায়েক মুজবর হক ,কাজল কান্তি দাস, আনোয়ারুল হক ,জয়নাল আবেদীন , মোঃ নাজিম উদ্দিন , সিরাজ উল্যা,মোঃ আমির হোসেন, মোঃ মনজুরুল আলম (মুঃবাঃ) । পুরো তালিকাটি দেখতে ভিজিট করুন এখানে ।

লক্ষ্মীপুর জেলার প্রথম রাষ্ট্রপতি নাম কি ?
– মোহাম্মদ মোহাম্মদউল্লাহ ( বাংলাদেশের তৃতীয় রাষ্ট্রপতি ) ২১ অক্টোবর ১৯২১ সালে ব্রিটিশ ভারতের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির লক্ষ্মীপুরের রায়পুরের সাইচা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মুনশী আবদুল ওয়াহাব। ১৯৫০ সাল থেকেই তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। তিনি পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগের দপ্তর বিষয়ক সম্পাদক নির্বাচিত হন ১৯৫২ সালে। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ গঠিত হলে ১৯৭২ সাল পর্যন্ত তিনি একই পদে বহাল ছিলেন। ১৯৭০ পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। মুক্তিযুদ্ধের সময় ১৯৭১ সালে তিনি ১৯৭১ সালের অস্থায়ী বাংলাদেশ সরকারের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতির সৈয়দ নজরুল ইসলামের রাজনৈতিক উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। উনার মৃত্যু তারিখ- নভেম্বর ১১, ১৯৯৯ ।

লক্ষীপুর জেলা কোন জনপদের অন্তর্ভুক্ত ছিল?
– ত্রয়োদশ শতাব্দীতে লক্ষ্মীপুর ভুলুয়া রাজ্যের অধীন ছিল।

লক্ষ্মীপুর জেলা কিসের জন্য বিখ্যাত?
-নারিকেল , সুপারি , সয়াবিন, বাদাম, মেঘনা নদীর ইলিশ।

লক্ষীপুর জেলার বিখ্যাত খাবার ?
– গিগজ ধানের মোটা মুড়ি; লক্ষ্মীপুরসহ বৃহত্তম নোয়খালীর একটি ঐতিহ্যবাহী দেশীয় প্রাচীন খাবার। উপকূলীয় জেলা লক্ষ্মীপুর বা বৃহত্তম নোয়াখালীর চরাঞ্চলে উৎপন্ন বিশেষ জাতের ‘গিগজ’ ধানের মুড়ি স্বাদ বৈশিষ্টের জন্য দেশ বিদেশে বিখ্যাত। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের পিঠার জন্য বিখ্যাত।

কত তারিখে লক্ষ্মীপুর হানাদার মুক্ত হয় ? ৪ ডিসেম্বর লক্ষ্মীপুর হানাদার মুক্ত দিবস।

লক্ষ্মীপুর জেলা কোন বিভাগে অবস্থিত ?
– লক্ষ্মীপুর বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের চট্টগ্রাম বিভাগে অবস্থিত একটি জেলা ।

লক্ষ্মীপুর জেলায় ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান সংখ্যা কত ?

-মসজিদ-৩৫৩৯ টি,
মন্দির-৪৫ টি,
গীর্জা-০১ টি

লক্ষীপুর জেলা প্রশাসক কে ?
– লক্ষ্মীপুর জেলার বর্তমান জেলা প্রশাসক মোঃ আনোয়ার হোছাইন আকন্দ।

ঢাকা থেকে লক্ষীপুর কত কিলোমিটার ?
– ঢাকা থেকে লক্ষ্মীপুর জেলার দূরত্ব প্রায় ১৪৫ কিলোমিটার।

লক্ষ্মীপুর টু ঢাকা বাস কাউন্টারের নাম্বার ?
– ইকোনো বাস কাউন্টার নাম্বার লক্ষীপুর ফোন- ০১৯৯২-০১৭৯০৩.
জকসিন কাউন্টার ফোন- ০১৯৯২-০১৭৯০৪.
মান্দারী বাজার বাস ষ্টেশন কাউন্টার ফোন- ০১৯৯২-০১৭৯০৫.

ঢাকা এক্সপ্রেস জোনাকী সার্ভিস – ০১৭২৫১৬১৩৭৪

জোনাকী সার্ভিস জোনাকী সার্ভিস – ০১৭১৪৭৬৪০০২

লক্ষ্মীপুর টু চট্রগ্রাম বাস কাউন্টারের নাম্বার ?

শাহী সার্ভিস বাস কাউন্টার নাম্বার – ০১৯৭৩-৩৯৯০১৩

মজু চৌধুরীর হাট টু ঢাকা লঞ্চ কবে চালু হয়েছে ?
– ১৫ নভেম্বর ২০২১

মজু চৌধুরী ঘাট টু ভোলা/বরিশাল লঞ্চ নাম্বার – ০১৭২১৪৩৯৫৪৬