লক্ষ্মীপুরে সাবেক সংসদ সদস্য চৌধুরী খুরশিদ আলম (৮২) ইন্তেকাল করিয়াছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। ১০ সেপ্টেম্বর রাত দেড়টার দিকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন বলে পারিবারিক সূত্র থেকে জানা যায় ।

সাবেক এমপি খুরশিদ আলমের মৃত্যুতে লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য নুরউদ্দিন চৌধুরী নয়ন, সাবেক এমপি মোহাম্মাদ নোমান,  বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি ও লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর মাইন উদ্দিন পাঠান গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।

মরহুম খুরশিদ আলম লক্ষ্মীপুর কলেজের (সরকারি কলেজ) সাবেক অধ্যক্ষ ও লক্ষ্মীপুর জেলা পরিষদের প্রথম চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি। ১৯৮৬-৯০ সাল পর্যন্ত জাতীয় পার্টি থেকে তিনি লক্ষ্মীপুর-২ (রায়পুর ও সদরের একাংশ) আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। তিনি লক্ষ্মীপুর পাবলিক লাইব্রেরি ও টাউন হলের সাবেক সভাপতির দায়িত্বও পালন করেছেন ।

মরহুমের পরিবার সূত্রে জানা যায়, খুরশিদ আলম সদর উপজেলার শাকচর ইউনিয়নের শাকচর গ্রামের মদিন উল্যাহ বটু চৌধুরীর বড় ছেলে। বার্ধক্যজনিত কারণে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। মৃত্যুকালে তিনি এক ছেলে ও দুই মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

পারিবারিক ভাবে , রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজ মাঠে জানাজা শেষে মরদেহ পৌর শহরের পারিবারিক কবরস্থানে তার মরদেহ দাফন করা হয়েছে। মৃত্যুকালে তিনি অসংখ্য গুনগ্রাহী ও আত্মীয়-স্বজন রেখে গেছেন।

জানাজায় উপস্থিত ছিলেন লক্ষ্মীপুর -২ আসনের সংসদ সদস্য এ্যাড.নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন এমপি, জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি মোহাম্মাদ নোমান, পৌর মেয়র মোজাম্মেল হায়দার মাসুম ভূইয়া ,জাকির হোসেন ভূইয়া আজাদ প্রমুখ।

চৌধুরী খুরশিদ আলম ১৯৮৬ সালের তৃতীয় ও ১৯৮৮ সালের চতুর্থ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির মনোনয়নে লক্ষ্মীপুর-২ (রায়পুর–লক্ষ্মীপুর সদর) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।