মাহমুদুর রহমান মনজু, স্টাফ রিপোর্টার।
লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জ থানা যুবলীগ নেতা বহিস্কার রেশ কাটতে না কাটতে বহিস্কার হলেন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা বাবুল আনসারী। স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক বাবুল আনসারীকে দলীয় পদ থেকে বহিস্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের কার্যক্রম স্থগিতের নির্দেশ দিয়েছে জেল কমিটি। বিএনপির চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের সঙ্গে আঁতাতের ফোনালাপ ফাঁস ও সদর উপজেলার চরশাহী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমকে হত্যার হুমকির ঘটনা প্রমাণিত হওয়ায় আনসারীকে বহিস্কার করা হয়েছে।
বুধবার (২৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় জেলা স্বেচ্ছাসবক লীগের সভাপতি বেলায়েত হোসেন বেলাল ও সাধারণ সম্পাদক মাহবুব ইমতিয়াজ তাকে বহিস্কার ও কমিটি স্থগিত করেন।
বেলায়েত হোসেন বেলাল জানিয়েছেন, বিএনপির চিহ্নিত সন্ত্রাসী সোলেমান বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড পিচ্চি সোলায়মানের সঙ্গে আনসারীর একটি কল রেকর্ডিং ফেসবুকে ছড়ি পড়ে। আনসারী ইউপি চেয়ারম্যাম জাহাঙ্গীরকে হত্যার হুমকি দিয়েছেন। তা প্রমাণিত হয়েছে। এছাড়া গত ইউপি নির্বাচনে আনসারী নৌকার বিরুদ্ধে কাজ করেছে। এসব অভিযোগে তাকে দলীয় পদ থেকে বহিস্কার করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, ১৮ অক্টোবর রাতে পূর্ব চরশাহী গ্রামে স্প্রিংয়ের পুল এলাকায় দুলাল মিয়ার মুদি দোকানে চুরির ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে সকালে (১৯ অক্টোবর) চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান। সেখান থেকে চেয়ারম্যান চলে যাওয়ার পর অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আনসারী ওই দোকানের সামনে আসে। তখন উপস্থিত লোকজনের সামনে প্রকাশ্যে আনসারী চেয়ারম্যানকে হত্যা করে গুম করার হুমকি দেয়। পরে আনসারী তার ৪ মিনিটের একটি রেকর্ডিং সন্ত্রাসী সোলেমান বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড পিচ্ছি সোলাইমানের মোবাইল ম্যাসেঞ্জারে পাঠায়। ওই রেকর্ডিং ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এতে মাথা ফাটানোসহ হত্যা করে চেয়ারম্যানের লাশ গুম করার হুমকি দেওয়া হয়। সন্ত্রাসী দিদার বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করে আনসারী পরিবারসহ চেয়ারম্যানকে হত্যার পরিকল্পনা করছে। এ ঘটনায় ২১ অক্টোবর রাতে ইউপি চেয়াম্যান জাহাঙ্গীর চন্দ্রগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।
বাবুল আনসারী বলেন, বহিস্কারের বিষয়টি আমাকে কেউ জানায়নি। আমি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। চেয়ারম্যানকে হত্যার হুমকি আমি দিইনি। একটি রেকর্ডিং ছড়িয়ে আমার বিরুদ্ধে অপ-প্রচার করা হয়েছে৷