ডাকাতের ছুরিকাঘাতে আহত হয়ে তিনি দীর্ঘদিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর এখন বাসায় আছেন। তবে তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
জুয়েলারি ব্যবসা নিয়েও শঙ্কিত তিনি।
মঙ্গলবার (৪ জুলাই) বিকেলে তাকে দেখতে যান লক্ষ্মীপুর জেলা বাজুসের নেতারা।
ভুক্তভোগী অপু কর্মকার জানান, ডাকাতদল ককটেল ফাটিয়ে তাকে কুপিয়ে দোকানের স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে গেছে। নতুন করে ব্যবসা শুরু করার মতো আর্থিক অবস্থা নেই তার। চিকিৎসার পেছনে সব টাকা খরচ হয়ে যাচ্ছে।
তিনি আরও জানান, লক্ষ্মীপুর বাজার সড়ক প্রশস্ত করার জন্য তার জুয়েলারি দোকানের একাংশ ভাঙা পড়ছে। ফলে নতুন করে অন্য কোথাও দোকান শুরু করতে হলে পুনরায় মোটা অংকের টাকা প্রয়োজন। তাই সব মিলিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন তিনি।
অপু কর্মকার বলেন, দুজন ডাকাত ছাড়া বাকিরা এখনও গ্রেপ্তার হয়নি। তাই আমি এখনও শঙ্কিত। আমার দোকানের ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকার স্বর্ণালংকার এখনও উদ্ধার হয়নি। তাই মামলার অগ্রগতি নিয়ে সন্দিহান।
লক্ষ্মীপুর বাজুস সভাপতি হরিহর পাল বলেন, প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করা হবে। যদি দ্রুত ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তাহলে বাজুস কেন্দ্রীয় কমিটির সঙ্গে যোগাযোগ করে পরবর্তী কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মোসলেহ উদ্দিন বলেন, ডাকাতির ঘটনায় সব আসামিকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদের ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
গত ৭ জুন সন্ধ্যার পর সাত থেকে আটজনের একটি ডাকাতদল ককটেল ফাটিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে লক্ষ্মীপুর শহরের ‘আর. কে. শিল্পালয়’ নামে ওই সোনার দোকানে ডাকাতি করে।
ডাকাতদল এসময় দোকানের মালিক অপু কর্মকারকে কুপিয়ে জখম করে সব লুট করে নিয়ে যায়।
এদিকে পালিয়ে যাওয়ার সময় ঢাকা-রায়পুর মহাসড়কের ইটেরপুল এলাকায় ডাকাতদলের পিকআপ ভ্যানের চাপায় সফি উল্যা (৬০) নামে এক পথচারী নিহত হন।
সেখান থেকে স্থানীয়দের সহায়তায় ডাকাতদলের সদস্য সজীব ও মনছুর ওরফে রনিকে আটক করে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে তিন ভরি চার রতি আট পয়েন্ট স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনার পরদিন ৮ জুন সদর থানায় তিনটি মামলা করা হয়। এর মধ্যে একটি ডাকাতির, আরেকটি বিস্ফোরক আইনে এবং অন্যটি সড়ক দুর্ঘটনার। এসব মামলায় আটক দুজনসহ তিনজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও সাত-আটজনকে আসামি করা হয়।