মাসুদ হোসাইন, স্টাফ রিপোর্টার :
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের আঘাতে লক্ষ্মীপুরে আনুমানিক ১৮ হাজার ২০০টি কাঁচা ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্য পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়েছে অন্তত ৮০০টি এবং আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে ১৭ হাজার ৪০০টি।
মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৭টার দিকে জেলা ত্রাণ ও পূর্ণবাসন কর্কমর্তা ইউনুস মিয়া তথ্য টি নিশ্চিত করেন।
এই সময়ে তিনি সর্বশেষ তথ্য সংগ্রহ পর্যন্ত পুরোপুরি বিধ্বস্ত ঘরের মধ্যে রামগতিতে ৩৩৫টি, কমলনগরে ৩০৭, সদরে ১৩, রায়পুরে ১৪০ এবং রামগঞ্জে ৫টি।এছাড়া জেলায় ৩৬৩টি গরু-মহিষ ও ২২৩টি ছাগল-ভেড়া এবং ২২০টি হাঁস-মুরগী হারিয়েছে।
জেলায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতির পরিমাণ ছিল মেঘনা নদীর উপকূলীয় উপজেলা রামগতি রায়পুর ,কমলনগরে।
জেলা ত্রাণ ও পূর্ণবাসন কর্কমর্তা ইউনুস মিয়া আরো বলেন, আনুমানিকভাবে এগুলো হিসাব করা হয়েছে। ক্ষতির পূর্ণাঙ্গ হিসাব এখনও নিরূপন করা হচ্ছে।
এদিকে জেলার বিভিন্ন স্থানে আমন ধানের ক্ষেত ও শীতকালীন সবজিরর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে জানান কৃষি বিপণন অধিদপ্তর লক্ষ্মীপুর এর মার্কেটিং অফিসার মনির হোসেন। তিনি জানান শীতকালীন সবজি চাষে কৃষক পুরোপুরি ভাবে নিঃস্ব হয়ে গিয়েছে ফসল নষ্ট হয়ে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. মো. জাকির হোসেন বলেন, কিছু কিছু এলাকায় আমন ক্ষেতে পানি উঠে গেছে। পানি নেমে গেলে তেমন কোনো ক্ষতি হবে না। শীতকালীন সবজি ক্ষেতের সামান্য ক্ষতি হয়েছে। সরকারিভাবে প্রনোদনা আসলে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সহায়তা করা হবে।