ঢাকা ০৫:১০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

লক্ষ্মীপুরে সরকারি জমির মাটি বিক্রি,ভূমিদস্যু কাইয়ুম গংদের বিচারের দাবি 

মাহমুদুর রহমান মনজু ,লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

লক্ষ্মীপুরে সরকারি জমির মাটি ইটভাটায় বিক্রি করেছে স্থানীয় প্রভাবশালী ভূমিদস্যু কাইয়ুম হোসেন ও তার সহযোগীরা। এঘটনায় সদর ভূমি অফিস ঘটনাস্থলে গিয়ে লাল পতাকা টাঙ্গিয়ে দেন। এদিকে এঘটনায় স্থানীয় আরবিএম ইটভাটা মালিক হিরু ও স্থানীয় গ্রাম্য চিকিৎসক মিঠু জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে অভিযুক্তদের বিচারের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। 

অভিযুক্ত কাইয়ুম হোসেন সদর উপজেলার পার্বতীনগর ইউনিয়নের দিলশাদপুর রাজ্জাকুল হায়দার উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও ইটভাটা মালিক হিরু এবং স্থানীয় গ্রাম্য চিকিৎসক মিঠু একই এলাকার বাসিন্দা।

জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে ইটভাটা মালিক হিরু ও স্থানীয় গ্রাম্য চিকিৎসক মিঠু এলাকার মানুষদের জিম্মি করে বালু উত্তোলন ও মাটি বিক্রি করছে। ইটভাটায় গাছ পুড়িয়ে কালো ধোঁয়া ও মাটি পরিবহন করে গ্রামীণ ও পাকা সড়ক নষ্ট করছেন তারা। এতে বাধা দিতে গেলে হুমকির শিকার হতে হয়েছে অনেককে। 

স্থানীয় দিলশাদপুর রাজ্জাকুল হায়দার উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও সাবেক চেয়ারম্যান সালাহউদ্দিন ভূইয়া বলেন, সভাপতি কাইয়ুম হোসেন প্রতিষ্ঠানের কারো সাথে কোন যোগাযোগ না করে সরকারি জমির মাটি বিক্রি করেছেন। এটি অন্যায় হয়েছে বলে তিনি স্বীকার করেন।

গ্রাম্য চিকিৎসক মিঠু বলেন, মাটি বিক্রি করেছেন কাইয়ুম,  কিনেছেন হিরু। পরে এসিল্যান্ড অফিসের লোক এসে লাল পতাকা টাঙ্গিয়ে দেন। তবে তিনি তার সম্পৃক্ততার অভিযোগ অস্বীকার করেন। 

ইটভাটা মালিক হিরু বলেন, তিনি ৫০ হাজার টাকা দিয়ে মাটি কিনেছেন স্কুল সভাপতির কাছ থেকে। পরে তিনি দেখেন জমিতে ভেজাল, এখন তিনি টাকা ফেরত নেয়ার চেষ্টা করছেন।

অভিযুক্ত কাইয়ুম হোসেনকে ফোন দিলে তিনি পরিচয় জেনে দেখা করবেন বলে অনুরোধ জানান।

এ বিষয়ে এসিল্যান্ড অফিসের কারো বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। 

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

লক্ষ্মীপুরের উত্তরচরবংশী ইউনিয়ন বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের কমিটির বিলুপ্ত  

লক্ষ্মীপুরে সরকারি জমির মাটি বিক্রি,ভূমিদস্যু কাইয়ুম গংদের বিচারের দাবি 

আপডেট : ০৪:২৫:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০২৩

মাহমুদুর রহমান মনজু ,লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

লক্ষ্মীপুরে সরকারি জমির মাটি ইটভাটায় বিক্রি করেছে স্থানীয় প্রভাবশালী ভূমিদস্যু কাইয়ুম হোসেন ও তার সহযোগীরা। এঘটনায় সদর ভূমি অফিস ঘটনাস্থলে গিয়ে লাল পতাকা টাঙ্গিয়ে দেন। এদিকে এঘটনায় স্থানীয় আরবিএম ইটভাটা মালিক হিরু ও স্থানীয় গ্রাম্য চিকিৎসক মিঠু জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে অভিযুক্তদের বিচারের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। 

অভিযুক্ত কাইয়ুম হোসেন সদর উপজেলার পার্বতীনগর ইউনিয়নের দিলশাদপুর রাজ্জাকুল হায়দার উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও ইটভাটা মালিক হিরু এবং স্থানীয় গ্রাম্য চিকিৎসক মিঠু একই এলাকার বাসিন্দা।

জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে ইটভাটা মালিক হিরু ও স্থানীয় গ্রাম্য চিকিৎসক মিঠু এলাকার মানুষদের জিম্মি করে বালু উত্তোলন ও মাটি বিক্রি করছে। ইটভাটায় গাছ পুড়িয়ে কালো ধোঁয়া ও মাটি পরিবহন করে গ্রামীণ ও পাকা সড়ক নষ্ট করছেন তারা। এতে বাধা দিতে গেলে হুমকির শিকার হতে হয়েছে অনেককে। 

স্থানীয় দিলশাদপুর রাজ্জাকুল হায়দার উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও সাবেক চেয়ারম্যান সালাহউদ্দিন ভূইয়া বলেন, সভাপতি কাইয়ুম হোসেন প্রতিষ্ঠানের কারো সাথে কোন যোগাযোগ না করে সরকারি জমির মাটি বিক্রি করেছেন। এটি অন্যায় হয়েছে বলে তিনি স্বীকার করেন।

গ্রাম্য চিকিৎসক মিঠু বলেন, মাটি বিক্রি করেছেন কাইয়ুম,  কিনেছেন হিরু। পরে এসিল্যান্ড অফিসের লোক এসে লাল পতাকা টাঙ্গিয়ে দেন। তবে তিনি তার সম্পৃক্ততার অভিযোগ অস্বীকার করেন। 

ইটভাটা মালিক হিরু বলেন, তিনি ৫০ হাজার টাকা দিয়ে মাটি কিনেছেন স্কুল সভাপতির কাছ থেকে। পরে তিনি দেখেন জমিতে ভেজাল, এখন তিনি টাকা ফেরত নেয়ার চেষ্টা করছেন।

অভিযুক্ত কাইয়ুম হোসেনকে ফোন দিলে তিনি পরিচয় জেনে দেখা করবেন বলে অনুরোধ জানান।

এ বিষয়ে এসিল্যান্ড অফিসের কারো বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।