ঢাকা ০৭:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

লক্ষ্মীপুরে শিক্ষককে পেটানোর অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক – লক্ষ্মীপুরে তিন সহোদরের বিরুদ্ধে মীর তানবিন শাহরিয়ার রুপক নামে এক শিক্ষককে রড দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে। এসময় তার মোবাইলফোনও ছিনিয়েই নিয়ে যায় হামলাকারীরা।

অভিযুক্তরা হলেন নুরে আলম বাবু, রাকিব হোসেন ও আরিফ হোসেন। তারা ফের হামলার উদ্দেশ্যে রুপকের বাড়ি ঘেরাও করলে স্থানীয়রা জড়ো হলে তারা পালিয়ে যায়। একপর্যায়ে ৯৯৯ এ কল পেয়ে সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভূক্তভোগী শিক্ষক বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এর আগে দুপুর সোয়া ১ টার দিকে সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের শরীফপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত বাবু, রাকিব ও আরিফ আপন ভাই। তারা ভবানীগঞ্জের শরীফপুর গ্রামে ব্যবসায়ী মো. নুরনবীর ছেলে।

আহত রুপক একই এলাকার মীর বাড়ির ব্যবসায়ী মীর আনোয়ারুল আজিমের ছেলে ও স্থানীয় ফাতেমা আইডিয়াল স্কুলের সহকারী শিক্ষক।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, নুরনবীর বাড়ির পরে মীর বাড়ির লোকজনের জমি রয়েছে। ওই জমিতে নুরনবীর বাড়ির ওপর দিয়ে যেতে হয়ে। কিন্তু কখনো কোন বাধা আসেনি। শুক্রবার সকালে রুপক ওই বাড়ির ওপর দিয়ে তাদের জমি দেখতে যায়। এসময় নুরনবীর ছেলে রাকিব, বাবু ও আরিফ তার ওপর হামলা চালায়। এসময় তাকে কিল-ঘুষি মারে। তাদের হাত থেকে বেঁচে সে চলে আসে।

রুপক দুপুরে বাড়ি থেকেরুপক দুপুরে বাড়ি থেকে জুমার নামাজ পড়তে বের হয়। মসজিদে যাওয়ার পথে পেছন থেকে বাবু, রাকিব ও আরিফ ফের তার ওপর হামলা করে। এসময় তাকে রড দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে আহত করে। এসময় রুপকের স্মার্ট ফোনটিও তারা নিয়ে যায়। পরে রুপক দৌঁড়ে গিয়ে মুসল্লিদের ডেকে আনলে হামলাকারীরা সরে যায়। নামাজ শেষে ফের হামলার উদ্দেশ্যে রুপকদের বাড়ির সামনে লোকজন নিয়ে অবস্থান নেয় হামলাকারীরা। পরে মুসল্লী ও এলাকাবাসী জড়ো হলে তারা পালিয়ে যায়। এরপরও তাকে মারধরের হুমকি দেয় হামলাকারীরা। এতে রুপক নিজেই জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ এ কল দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

বক্তব্য জানতে নুরনবী ও তার ছেলেদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও কথা বলা সম্ভব হয়নি। ঘটনাস্থলে পুলিশ যাওয়ার পর থেকেই তারা আত্মগোপনে রয়েছে বলে স্থানীয়ভাবে জানা যায়।

সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক কমলাশীষ রায় বলেন, আহত ব্যক্তির শরীরের বিভিন্ন পিঠ ও মাথাসহ অংশে জখমের চিহ্ন রয়েছে। তাকে হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শহীদুল ইসলাম বলেন, ৯৯৯ এ কল পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। ভূক্তভোগী ও স্থানীয়দের সঙ্গেও কথা বলেছি। ভূক্তভোগীকে বেধড়ক পেটানো হয়। তাকে থানায় মামলা করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

চুরির অপবাদে প্রকাশ্যেই খুঁটির সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন,জড়িতদের ধরতে অভিজান চলছে – ওসি সদর

লক্ষ্মীপুরে শিক্ষককে পেটানোর অভিযোগ

আপডেট : ০৯:২০:৩৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক – লক্ষ্মীপুরে তিন সহোদরের বিরুদ্ধে মীর তানবিন শাহরিয়ার রুপক নামে এক শিক্ষককে রড দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে। এসময় তার মোবাইলফোনও ছিনিয়েই নিয়ে যায় হামলাকারীরা।

অভিযুক্তরা হলেন নুরে আলম বাবু, রাকিব হোসেন ও আরিফ হোসেন। তারা ফের হামলার উদ্দেশ্যে রুপকের বাড়ি ঘেরাও করলে স্থানীয়রা জড়ো হলে তারা পালিয়ে যায়। একপর্যায়ে ৯৯৯ এ কল পেয়ে সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভূক্তভোগী শিক্ষক বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এর আগে দুপুর সোয়া ১ টার দিকে সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের শরীফপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত বাবু, রাকিব ও আরিফ আপন ভাই। তারা ভবানীগঞ্জের শরীফপুর গ্রামে ব্যবসায়ী মো. নুরনবীর ছেলে।

আহত রুপক একই এলাকার মীর বাড়ির ব্যবসায়ী মীর আনোয়ারুল আজিমের ছেলে ও স্থানীয় ফাতেমা আইডিয়াল স্কুলের সহকারী শিক্ষক।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, নুরনবীর বাড়ির পরে মীর বাড়ির লোকজনের জমি রয়েছে। ওই জমিতে নুরনবীর বাড়ির ওপর দিয়ে যেতে হয়ে। কিন্তু কখনো কোন বাধা আসেনি। শুক্রবার সকালে রুপক ওই বাড়ির ওপর দিয়ে তাদের জমি দেখতে যায়। এসময় নুরনবীর ছেলে রাকিব, বাবু ও আরিফ তার ওপর হামলা চালায়। এসময় তাকে কিল-ঘুষি মারে। তাদের হাত থেকে বেঁচে সে চলে আসে।

রুপক দুপুরে বাড়ি থেকেরুপক দুপুরে বাড়ি থেকে জুমার নামাজ পড়তে বের হয়। মসজিদে যাওয়ার পথে পেছন থেকে বাবু, রাকিব ও আরিফ ফের তার ওপর হামলা করে। এসময় তাকে রড দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে আহত করে। এসময় রুপকের স্মার্ট ফোনটিও তারা নিয়ে যায়। পরে রুপক দৌঁড়ে গিয়ে মুসল্লিদের ডেকে আনলে হামলাকারীরা সরে যায়। নামাজ শেষে ফের হামলার উদ্দেশ্যে রুপকদের বাড়ির সামনে লোকজন নিয়ে অবস্থান নেয় হামলাকারীরা। পরে মুসল্লী ও এলাকাবাসী জড়ো হলে তারা পালিয়ে যায়। এরপরও তাকে মারধরের হুমকি দেয় হামলাকারীরা। এতে রুপক নিজেই জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ এ কল দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

বক্তব্য জানতে নুরনবী ও তার ছেলেদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও কথা বলা সম্ভব হয়নি। ঘটনাস্থলে পুলিশ যাওয়ার পর থেকেই তারা আত্মগোপনে রয়েছে বলে স্থানীয়ভাবে জানা যায়।

সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক কমলাশীষ রায় বলেন, আহত ব্যক্তির শরীরের বিভিন্ন পিঠ ও মাথাসহ অংশে জখমের চিহ্ন রয়েছে। তাকে হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শহীদুল ইসলাম বলেন, ৯৯৯ এ কল পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। ভূক্তভোগী ও স্থানীয়দের সঙ্গেও কথা বলেছি। ভূক্তভোগীকে বেধড়ক পেটানো হয়। তাকে থানায় মামলা করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।