
লক্ষ্মীপুরে আল মুঈন ইসলামি একাডেমিতে ৭ বছরের এক ছাত্র মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। ছাত্রের নাম সানিম হোসেন। সানিমের গ্রামের বাড়ি ২নং উত্তর চরবংশী ইউনিয়ন কুচিয়ামোড়া ৭নং ওয়ার্ড মাতব্বর বাড়ি।
১৩ই মে জোহরের নামাজের পরে মাদ্রাসার তৃতীয় তলা বাথরুম থেকে ফাঁস লাগানো লাশ উদ্ধার করে শিক্ষার্থী ও সহপাঠীরা। পরে লাশটি বিছানায় এনে রেখে দেয় মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। নিহত শামীমের শরীরে বিভিন্ন জায়গায় নির্যাতনের চিন্হ রয়েছে।
সানিম এর পিতা হুমায়ুন মাতাব্বর অভিযোগ করে বলেন, শিক্ষকের মাধ্যমে ক্ষতবিক্ষত হয়েছিল ছেলেটি। শিক্ষকের নির্যাতনেই সানিমের মৃত্যু হয়েছে। ৭ বছরের বাচ্চা ফাঁসি কেন দিবে? এই প্রশ্ন সকলের কাছে তুলে মাহমুদকে গ্রেফতার করে সত্যি ঘটনা জানার অনুরোধ করেন। এটা শিক্ষক এর পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। আমি দোষীদের বিচার দাবি করছি।
তবে মাদ্রাসা কতৃপক্ষ বলছে সানিম ফাঁস দিয়েছে। এ বিষয়ে গণমাধ্যমে সরাসরি কেউ কথা বলতে রাজি হননি মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের।
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ওসি আব্দুল মুন্নাফ বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। নিহত শিক্ষার্থীর লাশের ময়নাতদন্ত করা হবে। এছাড়া অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেপ্তারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। অভিভাবকপক্ষ এখনো মামলা করেনি। প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনে আমরা আন্তরিকভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছি। বিষয়টি অত্যন্ত বেদনাদায়ক ।