মোঃওয়াহিদুর রহমান মুরাদ :
লক্ষ্মীপুরের চররমনী ইউনিয়ন থেকে ৯ই জানুয়ারি হাফিজ উল্লাহ নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে ৪০ হাজার ইয়াবা সহ সিপিসি -৩ র্যাবের একটি মাদক বিরোধী টিম আটক করে।
হাফিজ উল্লাহ প্রকাশ বাহাদুর মাঝি (৫৮), পূর্ব চররমনী ইউনিয়নের মৃত খোরশেদ আলমের ছেলে। র্যাবের অভিযানে ১কোটি ২০ লাখ টাকা মূল্যের ৪০ হাজার পিচ ইয়াবা উদ্ধার করা হয় তার কাছ থেকে।
র্যাব সূত্র জানায়, ৩ জানুয়ারি ভোররাতে র্যাব অভিযান চালিয়ে সদর উপজেলার চররমনী মোহন ইউনিয়নের মধ্য চররমনী মোহন গ্রামে স্থানীয় ইউপি সদস্য মনির হোসেন সজীবের বাড়ি থেকে প্রায় আড়াই কোটি টাকা মূল্যের ৮৫ হাজার ২০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করে। এ সময় মনির, গ্রামপুলিশ সদস্য মো. ইব্রাহিম ও যুবলীগ নেতা আমির হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন ৫ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ৪ জনের বিরুদ্ধে র্যাবের ১১-এর নোয়াখালী ক্যাম্পের নায়েব সুবেদার (ডিএডি) মো. নুরুল ইসলাম মামলা করেন। এ মামলায় হাফিজ উল্যাহ বাহাদুর মাঝি ও আব্দুর রহমান নামে দুইজন পলাতক ছিলেন।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হাফিজ উল্লাহ জানান, টেকনাফ থেকে নৌ- পথে বিশেষ কৌশলে সাগর পথে ট্রলারে করে লক্ষ্মীপুর নিয়ে এসে দীর্ঘদিন ধরে বিক্রি করছেন ইয়াবা। র্যাব সূত্রে জানা যায়, লক্ষ্মীপুর ও নোয়াখালীর মাদক খুচরা বিক্রেতাদের কাছে এই ইয়াবা ট্যাবলেট নিয়মিত বিক্রি করা হতো। নিরাপদ রুট হিসেবে মাদক ব্যবসায়ীরা নৌ - পথকে বেচে নিয়েছেন।
র্যাব কোম্পানি কমান্ডার মাহমুদুল হাসান, সিপিসি -৩ দায়িত্বরত তিনি গণমাধ্যম কর্মীদের জানান,সম্প্রতি ৮৫ হাজার পিস ইয়াবা জব্দে র্যাবের করা মামলায় তিনি পলাতক ছিলেন। মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। দীর্ঘদিন যাবৎ লক্ষ্মীপুর ও নোয়াখালী মাদক বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা হচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় লক্ষ্মীপুরে একাধিক অভিযানে ইয়াবা ব্যবসায়ীদের আটক করা হয়েছে বিপুল পরিমান ইয়াবা সহ। জনস্বার্থে মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা হচ্ছে নিয়মিত। ইয়াবা সহ আটক আসামীর বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সেখান থেকে তাকে আদালতে সৌপর্দ করা হবে।