ঢাকা ১০:৫৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

লক্ষ্মীপুরে বাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরণ: নিহত ৩, আহত ২০জন 

   লক্ষ্মীপুরে বাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়ে অনেকের হাত পা বিচ্ছিন্ন, দিগ্বিদিক ছোটাছুটি করেন আতঙ্কিত মানুষ। ঘটনা রাত দেড়টার! লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের মুক্তিগঞ্জ এলাকার গ্রীনলিফ সিএনজি ফিলিং স্টেশনে গ্যাস ভরা হচ্ছিলো মাইশা পরিবহন নামে একটি লোকাল বাসে। হঠাৎ বিস্ফোরণে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে আশপাশে! শুরু হয় আহাজারি এবং আর্তচিৎকার!

রোববার (১৩ অক্টোবর) দিবাগত রাতে বাসের গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলের আশপাশে থাকা মানুষজন দিগ্বিদিক ছোটাছুটি শুরু করেন কিন্তু নিজেদের বাঁচাতে পারেননি সবাই। তার আগেই কারো হাত, কারো পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। অনেকের শরীরে সৃষ্টি হয়েছে ভয়াবহ ক্ষতের।

ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান ৩ জন। আহত হন অন্তত ২০ জন, যার মধ্যে ১০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জয়নাল আবেদীন।
তিনি জানান, তিনজনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে।
নিহতরা হলেন: হৃদয় (১৯), ইউসুফ (৩২) ও সুজন (২৫)। হৃদয় লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের রাজিবপুর গ্রামের সিরাজের ছেলে। তিনি পেশায় মোটর মেকানিক। ইউসুফ পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্য বাঞ্চানগর গ্রামের সুজা মিয়ার ছেলে ও সুজন সদর উপজেলার চরমনসা গ্রামের বটু মিয়ার ছেলে।
জয়নাল আবেদীন আরো  জানান, আহতদের নাম-পরিচয় এখনো জানা যায়নি। আহতদের ১০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়রা জানান, লক্ষ্মীপুর-রামগতি রুটে চলাচল করা মাইশা পরিবহন রাত দেড়টার দিকে গ্যাস নিতে গ্রীনলিফ গ্যাস স্টেশনে আসে। ফিলিং স্টেশন থেকে বাসের সিলিন্ডারে গ্যাস দেয়ার সময় হঠাৎ বিস্ফোরণ ঘটে। এ সময় বাসের ভেতরে কোনো যাত্রী ছিলেন না। বিকট শব্দ পেয়ে আশপাশের আতঙ্কিত মানুষ দিগ্বিদিক ছোটাছুটি শুরু করেন। ফিলিং স্টেশনে গ্যাস নিতে আসা একাধিক সিএনজি চালকসহ অন্তত ২৩ জন হতাহত হন।
 একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, তারা বিকট শব্দ পেয়ে ভয় পেয়ে যান। পরে এসে দেখেন স্পটেই তিনজন মারা গেছেন।
ফিলিং স্টেশনের একজন কর্মী জানান, বাসের সিলিন্ডার সম্ভবত পুরাতন ছিলো। এ কারণে গ্যাসের প্রেসার নিতে পারেনি। তাই বিস্ফোরণ ঘটেছে।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে পাঠায় বলে জানিয়েছেন লক্ষ্মীপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা রনজিত কুমার দাস। এই ঘটনায় একটি তদন্ত টিম গঠন করা হবে।

ট্যাগ :

‘দাতুক’ খেতাবধারী এক বাংলাদেশি গ্রেফতার

লক্ষ্মীপুরে বাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরণ: নিহত ৩, আহত ২০জন 

আপডেট : ১০:৪৩:৩৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪
   লক্ষ্মীপুরে বাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়ে অনেকের হাত পা বিচ্ছিন্ন, দিগ্বিদিক ছোটাছুটি করেন আতঙ্কিত মানুষ। ঘটনা রাত দেড়টার! লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের মুক্তিগঞ্জ এলাকার গ্রীনলিফ সিএনজি ফিলিং স্টেশনে গ্যাস ভরা হচ্ছিলো মাইশা পরিবহন নামে একটি লোকাল বাসে। হঠাৎ বিস্ফোরণে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে আশপাশে! শুরু হয় আহাজারি এবং আর্তচিৎকার!

রোববার (১৩ অক্টোবর) দিবাগত রাতে বাসের গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলের আশপাশে থাকা মানুষজন দিগ্বিদিক ছোটাছুটি শুরু করেন কিন্তু নিজেদের বাঁচাতে পারেননি সবাই। তার আগেই কারো হাত, কারো পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। অনেকের শরীরে সৃষ্টি হয়েছে ভয়াবহ ক্ষতের।

ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান ৩ জন। আহত হন অন্তত ২০ জন, যার মধ্যে ১০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জয়নাল আবেদীন।
তিনি জানান, তিনজনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে।
নিহতরা হলেন: হৃদয় (১৯), ইউসুফ (৩২) ও সুজন (২৫)। হৃদয় লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের রাজিবপুর গ্রামের সিরাজের ছেলে। তিনি পেশায় মোটর মেকানিক। ইউসুফ পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্য বাঞ্চানগর গ্রামের সুজা মিয়ার ছেলে ও সুজন সদর উপজেলার চরমনসা গ্রামের বটু মিয়ার ছেলে।
জয়নাল আবেদীন আরো  জানান, আহতদের নাম-পরিচয় এখনো জানা যায়নি। আহতদের ১০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়রা জানান, লক্ষ্মীপুর-রামগতি রুটে চলাচল করা মাইশা পরিবহন রাত দেড়টার দিকে গ্যাস নিতে গ্রীনলিফ গ্যাস স্টেশনে আসে। ফিলিং স্টেশন থেকে বাসের সিলিন্ডারে গ্যাস দেয়ার সময় হঠাৎ বিস্ফোরণ ঘটে। এ সময় বাসের ভেতরে কোনো যাত্রী ছিলেন না। বিকট শব্দ পেয়ে আশপাশের আতঙ্কিত মানুষ দিগ্বিদিক ছোটাছুটি শুরু করেন। ফিলিং স্টেশনে গ্যাস নিতে আসা একাধিক সিএনজি চালকসহ অন্তত ২৩ জন হতাহত হন।
 একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, তারা বিকট শব্দ পেয়ে ভয় পেয়ে যান। পরে এসে দেখেন স্পটেই তিনজন মারা গেছেন।
ফিলিং স্টেশনের একজন কর্মী জানান, বাসের সিলিন্ডার সম্ভবত পুরাতন ছিলো। এ কারণে গ্যাসের প্রেসার নিতে পারেনি। তাই বিস্ফোরণ ঘটেছে।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে পাঠায় বলে জানিয়েছেন লক্ষ্মীপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা রনজিত কুমার দাস। এই ঘটনায় একটি তদন্ত টিম গঠন করা হবে।