মাহমুদুর রহমান মনজু,লক্ষ্মীপুর:
লক্ষ্মীপুরে মাদক বিক্রিতে রাজী না হওয়ায় নাগর হোসেন, ছিদ্দিক ও আকবরসহ কয়েকজন অসহায় দিনমজুর ও শ্রমিক পরিবারের সদস্যদের উপর হামলা চালিয়েছে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। এঘটনার প্রতিবাদে রোববার দুপুরে লক্ষ্মীপুর প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে মানবন্ধন করেছে শিশু ও নারীসহ ভুক্তভোগী পরিবার ও তাদের স্বজনরা। এর আগে রোববার ভোররাতে অভিরখিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নৈশ প্রহরী লোটাস কামালসহ কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য রাজু, স্বপন, নাহিদ, মোহন, সজিব ও রাকিব একত্রিত হয়ে ওই পরিবারগুলোর উপর হামলা চালালে ভুক্তভোগী পরিবারগুলো জরুরি সেবা ৯৯৯ এ ফোন দিলে ঘটনাস্থলে পুলিশ যান। এঘটনার আগেও ভুক্তভোগী পরিবারগুলো লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। ভুক্তভোগী পরিবারের দাবি, কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা নিজেদের পুলিশের সোর্স দাবি করে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করছে। এদিকে লক্ষ্মীপুর পুলিশ সুপার কার্যালয়ের পুলিশ সদস্য দাবি করে কর্মী জিয়াউল হকের ছেলে রাজু নিজেকে পুলিশের লোক দাবি করে এলাকায় মাদক বিক্রিসহ নানা অপরাধ কাজের সাথে জড়িত বলে জানান স্থানীয়রা।
অভিযুক্ত সবাই লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের ১৩ ও ১১ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ও কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য হিসেবে পরিচিত বলে দাবি স্থানীয়দের।
ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য নাগর, ছিদ্দিক, বিপ্লব, আমেনা বেগমসহ কয়েকজন জানান, অভিযুক্তরা দীর্ঘদিন থেকে এলাকায় মাদক ব্যবসা করছে। তারা আরো জানান, অভিরখিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নৈশ প্রহরী লোটাস কামালসহ কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য রাজু, স্বপন, নাহিদ, মোহন, সজিব ও রাকিবসহ কয়েকজন মিলে ভোররাতে তাদের উপর হামরা চালায়। এসময় বাধা দিতে গেলে তারা দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ভোররাতে ওই ভুক্তভোগীদের উপর হামলা চালায়। এসময় টহল পুলিশ ও জাতীয় সেবা ৯৯৯ এ ফোন দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে।
তবে এবিষয়ে লক্ষ্মীপুর পুলিশ সুপার কার্যালয়ের পুলিশ সদস্য দাবিকারক জিয়াউল হক বলেন, তাঁর ছেলে রাজুকে বকা দিয়ে দেয়ার জন্য।
স্থানীয় কাউন্সিলর শিপন জানান, বিষয়টি তিনি শুনেছেন। এবিষয়ে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়ে ব্যবস্থা নিবেন বলেও জানান এই জনপ্রতিনিধি।
এবিষয়ে এস আই মোজাম্মেল জানান, রাতে তিনি টহল করার সময় ঘটনাস্থলে যান এবং এবিষয়ে ঘটনাস্থলে তদন্ত করছেন বলেও জানান তিনি।