বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন হামলা ও গুলি করার ঘটনায় দায়েরকৃত একটি মামলায় লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে আওয়ামী লীগ নেতা মোতাহার হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে কমলনগর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তহিদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) রাতে মোতাহারকে উপজেলার হাজিরহাট বাজার থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তাকে সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়।

অন্যদিকে লক্ষ্মীপুরের সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক হাশেম আহমেদ রুপমকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে আটক করা হয়েছে।

মঙ্গলবার দিনগত গভীর রাতে সদর উপজেলার কাওতলি এলাকা থেকে তাকে আটক করে রামগঞ্জ থানা পুলিশ।

তথ্যটি নিশ্চিত করেন রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবুল বাশার।

তিনি জানান, রামগঞ্জে বিএনপি নেতা কাজলের একটি চাঁদাবাজি মামলায় বেশ কিছুদিন ধরে আত্মগোপনে ছিলেন রুপম। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার কাওতলি এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়েছে।’ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে রূপমকে।

গ্রেপ্তার মোতাহার কমলনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নিজাম উদ্দিনের ছোট ভাই এবং হাজিরহাট বাজারের ক্রোকারিজ ব্যবসায়ী। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক।

কমলনগর থানা পুলিশের ওসি তহিদুল ইসলাম জানান, সদর থানার নির্দেশে মোতাহারকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাকে সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা হামলা ও গুলি চালায়। ওইদিন রায়পুর উপজেলার বামনী ইউনিয়নের বামনী গ্রামের সিরাজুল ইসলাম ভূঁইয়ার ছেলে আল সবুজ ভূঁইয়া গুলিবিদ্ধ হন। এ ঘটনায় গত ১৭ সেপ্টেম্বর আল সবুজ ভূঁইয়া অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি অঞ্চল সদর আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। এতে সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান একেএম সালাহ উদ্দিন টিপু ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকুসহ ১৬৩ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ৩৫০ জনকে আসামি করা হয়। পরে আদালতের বিচারক মামলাটি সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) এফআইআর দাখিলের নির্দেশ দেন। ওই মামলায় মোতাহারকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।