ঢাকা ০৬:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

লক্ষ্মীপুরে আইনজীবী দিদার হত্যার ১০ বছর পর আসামি গ্রেফতার।

মাহমুদুর রহমান মনজু, স্টাফ রিপোর্টার :

লক্ষ্মীপুর সদরে যুবদল নেতা দিদারুল আলম হত্যার ১০ বছর পর মো. হিরন ভূঁইয়া নামে এক আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২১ অক্টোবর) রাত ৮ টার দিকে সদর উপজেলার উত্তর হামছাদী ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

হিরন একই এলাকার ভূঁইয়া বাড়ির রফিক উল্যা ভূঁইয়ার ছেলে। নিহত দিদার শিক্ষানবিশ আইনজীবী ছিল। বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে আভ্যন্তরীণ কোন্দলের জেরে আলোচিত এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।

জানা গেছে, ২০১২ সালের ৩০ অক্টোবর জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আবুল খায়ের ভূঁইয়া ও খালেদা জিয়ার সাবেক প্রধান নিরাপত্তা সমন্বয়কারী কর্নেল (অবঃ) আবদুল মজিদের অনুসারীদের মধ্যে উত্তর হামছাদী ইউনিয়নের কালিবাজার এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তখন জাতীয় নির্বাচন কেন্দ্রীক মনোনয়ন প্রত্যাশী হয়ে নিজেদের অবস্থান জানান দিতে এ দুই নেতা এলাকায় নেতাকর্মীদের নিয়ে পৃথক মহড়া দেয়। এতে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে দুই গ্রুপ। সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে দিদার নিহত হন। দিদার আবুল খায়ের ভূইয়ার সমর্থক ছিল।

এ ঘটনায় পরদিন দিদারের স্ত্রী রেহানা আক্তার বাদী হয়ে কর্নেল মজিদসহ ২৫ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। তখন পুলিশের তদন্তে চার্জশিট থেকে কর্নেল মজিদের নাম বাদ পড়েছে। দিদার হত্যা মামলাটি এখন আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।

সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মজিবুর দৈনিক সংবাদ সারাবেলা কে বলেন, হিরন এতো বছর ধরে আত্মগোপনে ছিল। সে বাড়িতে আসার গোপন সংবাদের পেয়ে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে থানা পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। হিরন হত্যা মামলার চার্জশিটভূক্ত দ্বিতীয় আসামী।

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

লক্ষ্মীপুরের উত্তরচরবংশী ইউনিয়ন বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের কমিটির বিলুপ্ত  

লক্ষ্মীপুরে আইনজীবী দিদার হত্যার ১০ বছর পর আসামি গ্রেফতার।

আপডেট : ০৭:৩২:১৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২২ অক্টোবর ২০২২

মাহমুদুর রহমান মনজু, স্টাফ রিপোর্টার :

লক্ষ্মীপুর সদরে যুবদল নেতা দিদারুল আলম হত্যার ১০ বছর পর মো. হিরন ভূঁইয়া নামে এক আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২১ অক্টোবর) রাত ৮ টার দিকে সদর উপজেলার উত্তর হামছাদী ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

হিরন একই এলাকার ভূঁইয়া বাড়ির রফিক উল্যা ভূঁইয়ার ছেলে। নিহত দিদার শিক্ষানবিশ আইনজীবী ছিল। বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে আভ্যন্তরীণ কোন্দলের জেরে আলোচিত এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।

জানা গেছে, ২০১২ সালের ৩০ অক্টোবর জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আবুল খায়ের ভূঁইয়া ও খালেদা জিয়ার সাবেক প্রধান নিরাপত্তা সমন্বয়কারী কর্নেল (অবঃ) আবদুল মজিদের অনুসারীদের মধ্যে উত্তর হামছাদী ইউনিয়নের কালিবাজার এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তখন জাতীয় নির্বাচন কেন্দ্রীক মনোনয়ন প্রত্যাশী হয়ে নিজেদের অবস্থান জানান দিতে এ দুই নেতা এলাকায় নেতাকর্মীদের নিয়ে পৃথক মহড়া দেয়। এতে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে দুই গ্রুপ। সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে দিদার নিহত হন। দিদার আবুল খায়ের ভূইয়ার সমর্থক ছিল।

এ ঘটনায় পরদিন দিদারের স্ত্রী রেহানা আক্তার বাদী হয়ে কর্নেল মজিদসহ ২৫ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। তখন পুলিশের তদন্তে চার্জশিট থেকে কর্নেল মজিদের নাম বাদ পড়েছে। দিদার হত্যা মামলাটি এখন আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।

সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মজিবুর দৈনিক সংবাদ সারাবেলা কে বলেন, হিরন এতো বছর ধরে আত্মগোপনে ছিল। সে বাড়িতে আসার গোপন সংবাদের পেয়ে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে থানা পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। হিরন হত্যা মামলার চার্জশিটভূক্ত দ্বিতীয় আসামী।