মোঃওয়াহিদুর রহমান মুরাদ :
লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ে কবলে পড়ে গত সোমবার রাতে নিখোঁজ ১০ জেলের মধ্যে সাতজন বাড়িতে ফিরে এসেছেন। তবে, আজ বুধবার বিকেল পর্যন্ত নিখোঁজ ৩ জেলের সন্ধান পাওয়া যায়নি। তাঁদের খুঁজতে মেঘনার বিভিন্ন স্থানে তল্লাশি চালাচ্ছেন স্বজন ও সহকর্মীরা। ওই পরিবারগুলোতে কান্নার রোল পড়েছে। ৩ জেলের সন্ধানে ইউএনও অনজন দাশের নির্দেশে ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স রায়পুর শাখার লিডার ইয়াসিনের নেতৃত্ব ৬ সদস্যের টিমএর অভিযান আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত হাজীমারা , চরভৈরবী, বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জে টহল দিয়েও খোজ মিলেন বলে নিশ্চিত করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অঞ্জন দাশ।
নিখোঁজ জেলেরা হলেন উপজেলার দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়নের চর কাছিয়া গ্রামের আবুল কাশেম বেপারীর ছেলে লিটন বেপারী (৩৫), আব্দুর রব বেপারীর ছেলে শিপন বেপারী (২৩) ও রব সরদারের ছেলে সুজন সরদার (২৫)।
এদিকে ফিরে আসা জেলেরা হলেন চর কাছিয়া গ্রামের খালেক বেপারী ছেলে রাসেল বেপারী (৩০), রাশেদ বেপারী (১৬), ছোয়াব আলী হাওলাদারের ছেলে রাসেল হাওলাদার (২৮), রাজু বেপারীর ছেলে বাচ্চু বেপারী (২৪), মজিব মোল্লার ছেলে জুনু মোল্লা (২৬), আক্কাছ আলী ভূঁইয়ার ছেলে মো. হাসান (১৮) ও নুর নবী চৌকিদারের ছেলে মো. জুয়েল (১৬)।
জেলে রাশেদ বেপারী বলেন, মেঘনায় মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকলেও উত্তাল নদীতে বেশি মাছ পাওয়া যাবে এমন আশায় আমরা নদীতে জাল ফেলি। ওই সময় আমাদের প্রতিবেশী মাইনু মোল্লার নৌকার তলা ফেটে যায়। ওই নৌকাটিকে আমাদের নৌকার সঙ্গে বেঁধে নেই। এরপর হঠাৎ করে ঝোড়ো হাওয়ায় আমাদের নৌকাটিও উলটে যায়।
নিখোঁজ জেলে লিটন বেপারীর স্ত্রী মারুফা বেগম বলেন, ‘আমার স্বামী ঝড়ের মধ্যে নদীতে যেতে চাননি। কিন্তু আগে মহাজন রাসেল বেপারীর কাছ থেকে অগ্রিম ৫০০ টাকা নেওয়ায় তিনি মাছ ধরতে যেতে বাধ্য করেন।’
এ বিষয়ে জানতে নৌকার মালিক রাসেল বেপারীর বাড়িতে গিয়েও তাঁর সঙ্গে কথা বলা যায়নি। তাঁর বাবা খালেক বেপারী জানিয়েছেন দুটি নৌকায় করে আমরা মেঘনার বিভিন্ন সম্ভাব্য স্থানে নিখোঁজ তিনজনকে খুঁজছি।
রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিপন বড়ুয়া বলেন, লিটনের বাবা আবুল কাশেম থানায় নিখোঁজের ঘটনা জানিয়ে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। আমরা খোঁজ নিচ্ছি।প্রতিটি থানায় জিডি প্রেরণ করা হচ্ছে।