ঢাকা ১১:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

লক্ষ্মীপুরের পর্যটন এবং শীত যেন একই মুদ্রার এপিট-ওপিট

  • ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট : ১২:০৩:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২২
  • ২ জন পড়েছেন

জিহাদ হোসেন রাহাতঃ দেশের দক্ষিণে অবস্থিত মেঘনা বিধৌত জেলা লক্ষ্মীপুর। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক বিরানভূমি। পৌষ ও মাঘ এ দু মাসকে শীতকাল ধরা হলেও প্রকৃতিতে অগ্রহায়ণ এলেই লক্ষ্মীপুরে নেমে আসে শীত। শীতের এই সময়টায় নববধূর রুপ ধারন করে এ জেলার পর্যটন স্পটগুলো। নিয়মিত সমাগম ঘটে পর্যটকদের। এখানকার নজরকাড়া দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য, আলেকজান্ডার মেঘনা বিচ, আলতাফ মাষ্টার ঘাট, সাজু মোল্লার ঘাট, খোয়াসাগর দীঘির পাড় ইত্যাদি। এছাড়াও ঐতিহাসিক জ্বীনের মসজিদ, বিদ্যুৎ বিহীন সার্বক্ষণিক আলোকিত থাকা- আসসালাম জামে মসজিদ, দালাল বাজার জমিদার বাড়িসহ অসংখ্য নতুন-পুরাতন স্থাপনা এ জেলার সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিয়েছে বহুগুণে।
চলুন জেনে নেই এসব প্রাকৃতিক ভ্রমন স্পট ও ঐতিহাসিক স্থাপনা সম্পর্কে।

আলেকজান্ডার মেঘনা বিচঃ
মেঘনা নদীর বিস্তীর্ণ জলরাশি আর সূর্যের তেজ দীপ্ত আলো এই বিচের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ। বিচটির অবস্থান জেলার রামগতি উপজেলার আলেকজান্ডারে।আলেকজান্ডার বাজার থেকে মাত্র দুই মিনিটের পথ। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আর মনভোলানো গুনের অধিকারী হওয়ায় স্থানীয় পর্যায়ে এটি বেশ জনপ্রিয়।

আলতাফ মাষ্টার ঘাটঃ
এটির অবস্থান লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার পশ্চিমাঞ্চলে। মূলত একটি মাছ ঘাট হিসেবে আলতাফ মাষ্টার ঘাট বহুআগে থেকে পরিচিত হলেও সাম্প্রতিক সময়ে এই এলাকায় কিছু বাহারি নামের রেস্তোরাঁ গড়ে ওঠার পাশাপাশি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগের সুযোগ বাড়ায় বেড়েছে পর্যটক আকর্ষণ। জেলা এবং জেলার বাইরে থেকেও ঘটে পর্যটকদের নিয়মিত সমাগম।
সাজু মোল্লার ঘাটঃ
জেলার রায়পুর উপজেলার পশ্চিমাঞ্চলের অন্যতম একটি ভ্রমন ও পিকনিক স্পট এই সাজু মোল্লার ঘাট। বাকি দুটির মতো এটিও মেঘনাতীরে অবস্থিত।
খোয়াসাগর দীঘিঃ
জেলার সবচেয়ে বেশি পর্যটক সমাগম ঘটা স্থানগুলোর একটি এই খোয়াসাগর দীঘির পাড় এলাকা। সাম্প্রতিক সময়ে এই এলাকায় কিছু রেস্তোরাঁ ও একটি হলিডে পার্ক গড়ে ওঠায় পর্যটক প্রিয় হয়ে উঠেছে এটি। ইতিহাস বিজড়িত এই দীঘির অবস্থান জেলার দালাল বাজার এলাকায়।

জ্বীনের মসজিদঃ
জেলার সবচেয়ে রহস্যময় প্রাচীন স্থাপনা এই জ্বীনের মসজিদ। আজ থেকে প্রায় ২শ বছর আগে রায়পুরের দেনায়েতপুর এলাকায় মসজিদটি স্থাপন করেন মাওলানা আবদুল্লাহ নামের একজন বিশিষ্ট আলেম। হুবহু দিল্লি শাহী জামে মসজিদের আদলে নির্মিত এই মসজিদ মাওলানা আবদুল্লাহর কিছু জ্বীন শিষ্য রাতের আঁধারে তৈরি করেন বলে শোনা যায়।

আসসালাম জামে মসজিদঃ
জেলার রামগতির চর পোড়াগাছা ইউনিয়নের শেখের কেল্লা এলাকায় মসজিদটির অবস্থান। সাম্প্রতিক সময়ে তৈরি এই মসজিদটি জন্ম দিয়েছে অবাক বিস্ময়ের। কোনো প্রকার বিদ্যুৎ বাতি ছাড়াই এটি সার্বক্ষণিক থাকে আলোকিত। বর্তমানে এর পর্যটক আকর্ষণ তুঙ্গে।

দালাল বাজার জমিদার বাড়িঃ
শতাব্দী প্রাচীন স্থাপনা দালাল বাজার জমিদার বাড়ি। এটি মূলত লক্ষ্মীপুর জেলার শানশৌকতের প্রতীক। দর্শনার্থীদের নিয়মিত আগমনে মুখরিত থাকা এই স্থাপনাটি জেলার দালাল বাজার এলকায় অবস্থিত।

মূলত বছরজুড়ে এসব স্থানে পর্যটক সমাগম থাকলেও শীতের শুরুতে স্বাভাবিকের তুলনায় দ্বিগুণ হয়ে যায়। যার অন্যতম কারন ডিসেম্বর মাসজুড়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটির মৌসুম। রাজধানী শহর ঢাকায় বসবাস করা লক্ষ্মীপুরের অধিবাসীদের আগমনে মুখরিত হয়ে ওঠে এসব পর্যটক স্পট।

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

লক্ষ্মীপুরের উত্তরচরবংশী ইউনিয়ন বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের কমিটির বিলুপ্ত  

লক্ষ্মীপুরের পর্যটন এবং শীত যেন একই মুদ্রার এপিট-ওপিট

আপডেট : ১২:০৩:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২২

জিহাদ হোসেন রাহাতঃ দেশের দক্ষিণে অবস্থিত মেঘনা বিধৌত জেলা লক্ষ্মীপুর। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক বিরানভূমি। পৌষ ও মাঘ এ দু মাসকে শীতকাল ধরা হলেও প্রকৃতিতে অগ্রহায়ণ এলেই লক্ষ্মীপুরে নেমে আসে শীত। শীতের এই সময়টায় নববধূর রুপ ধারন করে এ জেলার পর্যটন স্পটগুলো। নিয়মিত সমাগম ঘটে পর্যটকদের। এখানকার নজরকাড়া দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য, আলেকজান্ডার মেঘনা বিচ, আলতাফ মাষ্টার ঘাট, সাজু মোল্লার ঘাট, খোয়াসাগর দীঘির পাড় ইত্যাদি। এছাড়াও ঐতিহাসিক জ্বীনের মসজিদ, বিদ্যুৎ বিহীন সার্বক্ষণিক আলোকিত থাকা- আসসালাম জামে মসজিদ, দালাল বাজার জমিদার বাড়িসহ অসংখ্য নতুন-পুরাতন স্থাপনা এ জেলার সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিয়েছে বহুগুণে।
চলুন জেনে নেই এসব প্রাকৃতিক ভ্রমন স্পট ও ঐতিহাসিক স্থাপনা সম্পর্কে।

আলেকজান্ডার মেঘনা বিচঃ
মেঘনা নদীর বিস্তীর্ণ জলরাশি আর সূর্যের তেজ দীপ্ত আলো এই বিচের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ। বিচটির অবস্থান জেলার রামগতি উপজেলার আলেকজান্ডারে।আলেকজান্ডার বাজার থেকে মাত্র দুই মিনিটের পথ। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আর মনভোলানো গুনের অধিকারী হওয়ায় স্থানীয় পর্যায়ে এটি বেশ জনপ্রিয়।

আলতাফ মাষ্টার ঘাটঃ
এটির অবস্থান লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার পশ্চিমাঞ্চলে। মূলত একটি মাছ ঘাট হিসেবে আলতাফ মাষ্টার ঘাট বহুআগে থেকে পরিচিত হলেও সাম্প্রতিক সময়ে এই এলাকায় কিছু বাহারি নামের রেস্তোরাঁ গড়ে ওঠার পাশাপাশি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগের সুযোগ বাড়ায় বেড়েছে পর্যটক আকর্ষণ। জেলা এবং জেলার বাইরে থেকেও ঘটে পর্যটকদের নিয়মিত সমাগম।
সাজু মোল্লার ঘাটঃ
জেলার রায়পুর উপজেলার পশ্চিমাঞ্চলের অন্যতম একটি ভ্রমন ও পিকনিক স্পট এই সাজু মোল্লার ঘাট। বাকি দুটির মতো এটিও মেঘনাতীরে অবস্থিত।
খোয়াসাগর দীঘিঃ
জেলার সবচেয়ে বেশি পর্যটক সমাগম ঘটা স্থানগুলোর একটি এই খোয়াসাগর দীঘির পাড় এলাকা। সাম্প্রতিক সময়ে এই এলাকায় কিছু রেস্তোরাঁ ও একটি হলিডে পার্ক গড়ে ওঠায় পর্যটক প্রিয় হয়ে উঠেছে এটি। ইতিহাস বিজড়িত এই দীঘির অবস্থান জেলার দালাল বাজার এলাকায়।

জ্বীনের মসজিদঃ
জেলার সবচেয়ে রহস্যময় প্রাচীন স্থাপনা এই জ্বীনের মসজিদ। আজ থেকে প্রায় ২শ বছর আগে রায়পুরের দেনায়েতপুর এলাকায় মসজিদটি স্থাপন করেন মাওলানা আবদুল্লাহ নামের একজন বিশিষ্ট আলেম। হুবহু দিল্লি শাহী জামে মসজিদের আদলে নির্মিত এই মসজিদ মাওলানা আবদুল্লাহর কিছু জ্বীন শিষ্য রাতের আঁধারে তৈরি করেন বলে শোনা যায়।

আসসালাম জামে মসজিদঃ
জেলার রামগতির চর পোড়াগাছা ইউনিয়নের শেখের কেল্লা এলাকায় মসজিদটির অবস্থান। সাম্প্রতিক সময়ে তৈরি এই মসজিদটি জন্ম দিয়েছে অবাক বিস্ময়ের। কোনো প্রকার বিদ্যুৎ বাতি ছাড়াই এটি সার্বক্ষণিক থাকে আলোকিত। বর্তমানে এর পর্যটক আকর্ষণ তুঙ্গে।

দালাল বাজার জমিদার বাড়িঃ
শতাব্দী প্রাচীন স্থাপনা দালাল বাজার জমিদার বাড়ি। এটি মূলত লক্ষ্মীপুর জেলার শানশৌকতের প্রতীক। দর্শনার্থীদের নিয়মিত আগমনে মুখরিত থাকা এই স্থাপনাটি জেলার দালাল বাজার এলকায় অবস্থিত।

মূলত বছরজুড়ে এসব স্থানে পর্যটক সমাগম থাকলেও শীতের শুরুতে স্বাভাবিকের তুলনায় দ্বিগুণ হয়ে যায়। যার অন্যতম কারন ডিসেম্বর মাসজুড়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটির মৌসুম। রাজধানী শহর ঢাকায় বসবাস করা লক্ষ্মীপুরের অধিবাসীদের আগমনে মুখরিত হয়ে ওঠে এসব পর্যটক স্পট।