ঢাকা ০৬:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রায়পুরে মাদ্রাসার শিক্ষার্থী আজিম মৃত্যূর সাথে পাঞ্জা লড়ছে!

পীরজাদা মোঃ মাসুদ হোসাইন, স্টাফ রিপোর্টার :

লক্ষীপুর জেলার রায়পুরের ৭ নং বামনী ইউনিয়নের মধ্য সাগর্দী এতিমখানা ও খাদিজাতুল কোবরা(রাঃ) দাখিল মাদ্রাসার পঞ্চম শ্রেনীর ছাত্র কিশোর আজিম (১৩) সুপারী গাছ থেকে পড়ে মৃত্যূর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। আহত ছাত্র আজিম চরপাতা গ্রামের মুরি বিক্রেতা খোরশেদ আলমের ছেলে। তার কাছ থেকে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ মাসিক চার হাজার টাকা আবাসিক ফি নিতো ।
গত ২১ অক্টোবর মাদ্রাসার পাশের চৌধুরী বাড়ির সফিক ও তার ছেলে সাকিল আজিমকে দিয়ে তাদের বিপুল সংখ্যক গাছ থেকে সুপারি পাড়েন। এসময় আজিম ক্লান্ত হয়ে গাছ থেকে মাটিতে পড়ে তার বাম হাত, পা ও ঘাড়ের কিছু অংশ ভেঙ্গে যায়। তাকে উদ্ধার করে রায়পুর হাসপাতালে নিলে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে ঢাকা মহাখালি আয়েশা মেমোরিয়াল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থা খুবই আশংকাজনক। সে ওই হাসপাতালে আইসিইউতে নিবিড় পর্যবেক্ষনে আছে বলে তার মা পারুল বেগম জানান। এ পর্যন্ত প্রায় ৩ লক্ষ টাকা ব্যায় হয়েছে।
এঘটনায় ২৪ অক্টোবর আহত কিশোরের পিতা দিনমজুর মোঃ খোরশেদ আলম বাদি হয়ে সুপারি বাগানের মালিক সফিক ও তার ছেলে সাকিলসহ মাদরাসার ৩ শিক্ষকের নামে লিখিত অভিযোগ করেছেন। ঘটনার পর থেকে সফিক ও শাকিল পলাতক রয়েছে। অভিযুক্তরা হলেন, বামনী ইউপির মধ্য সাগর্দি গ্রামের চৌধুরী বাড়ীর মোঃ সফিক, শাকিল হোসেন, মাদরাসার শিক্ষক আবদুল আলিম, কারি ইব্রাহিম ও ইমরান হোসেন। এ ব্যাপারে তদন্তকারী কর্মকর্তা রায়পুর থানার উপ-পরিদর্শক আব্দুল কুদ্দুস বলেন, অভিযোগের তদন্ত চলছে।

মাদ্রাসার দাতা সদস্য আক্তার হোসেন চৌধুরী বলেন, গঠনাটি দূঃখজনক, চিকিৎসার জন্য মাদ্রাসার তহবিল হতে ৩০ হাজার টাকা দেয়া হয়েছে, এবং অভিযুক্ত সফিক ১০ হাজার টাকা দিয়েছে। তাছাড়া মাদ্রাসার সকল আবাসিক ছাত্রদেরকে ফান্ড থেকে খরচ বহন করা হয়, ছাত্রদের কাছ থেকে ৪ হাজার টাকা মাসিক ফি নেয়ার বিষয়টি আমার অজানা। নাম প্রকাশে অনিচ্চুক এলাকার একজন ব্যক্তি জানান, প্রায়ই মাদ্রাসার ছাত্রদের দিয়ে এমন কাজ করানো হয়, গঠনার দিন স্থানীয় নুরুল ইসলাম, সৈয়দ আহম্মদ ও সফিক মাদ্রাসার ৬ জন ছাত্রকে সুপারি পাড়তে নেন। ক্লান্ত হয়ে শিশুটি গাছ থেকে পড়ে যায়। শিক্ষকদের জিম্মায় থেকে এ ধরনের কাজ করায় শিক্ষকরা দায় এড়াতে পারেনা।

রায়পুর থানার অফিসার ইনচার্জ শিপন বড়ুয়া বলেন, এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, ঘটনাস্থলে গিয়ে গুরুত্ব সহকারে পুলিশ তদন্ত করছে, মাদ্রাসার শিশু-ছাত্রকে দিয়ে বেআইনী শিশুশ্রম দেয়ায় বাচ্ছাটি পড়ে গিয়ে মারাত্মক আহত হয়েছে, অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থা নেয়া হবে।

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

লক্ষ্মীপুরের উত্তরচরবংশী ইউনিয়ন বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের কমিটির বিলুপ্ত  

রায়পুরে মাদ্রাসার শিক্ষার্থী আজিম মৃত্যূর সাথে পাঞ্জা লড়ছে!

আপডেট : ১২:৩৫:৫৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৯ অক্টোবর ২০২২

পীরজাদা মোঃ মাসুদ হোসাইন, স্টাফ রিপোর্টার :

লক্ষীপুর জেলার রায়পুরের ৭ নং বামনী ইউনিয়নের মধ্য সাগর্দী এতিমখানা ও খাদিজাতুল কোবরা(রাঃ) দাখিল মাদ্রাসার পঞ্চম শ্রেনীর ছাত্র কিশোর আজিম (১৩) সুপারী গাছ থেকে পড়ে মৃত্যূর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। আহত ছাত্র আজিম চরপাতা গ্রামের মুরি বিক্রেতা খোরশেদ আলমের ছেলে। তার কাছ থেকে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ মাসিক চার হাজার টাকা আবাসিক ফি নিতো ।
গত ২১ অক্টোবর মাদ্রাসার পাশের চৌধুরী বাড়ির সফিক ও তার ছেলে সাকিল আজিমকে দিয়ে তাদের বিপুল সংখ্যক গাছ থেকে সুপারি পাড়েন। এসময় আজিম ক্লান্ত হয়ে গাছ থেকে মাটিতে পড়ে তার বাম হাত, পা ও ঘাড়ের কিছু অংশ ভেঙ্গে যায়। তাকে উদ্ধার করে রায়পুর হাসপাতালে নিলে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে ঢাকা মহাখালি আয়েশা মেমোরিয়াল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থা খুবই আশংকাজনক। সে ওই হাসপাতালে আইসিইউতে নিবিড় পর্যবেক্ষনে আছে বলে তার মা পারুল বেগম জানান। এ পর্যন্ত প্রায় ৩ লক্ষ টাকা ব্যায় হয়েছে।
এঘটনায় ২৪ অক্টোবর আহত কিশোরের পিতা দিনমজুর মোঃ খোরশেদ আলম বাদি হয়ে সুপারি বাগানের মালিক সফিক ও তার ছেলে সাকিলসহ মাদরাসার ৩ শিক্ষকের নামে লিখিত অভিযোগ করেছেন। ঘটনার পর থেকে সফিক ও শাকিল পলাতক রয়েছে। অভিযুক্তরা হলেন, বামনী ইউপির মধ্য সাগর্দি গ্রামের চৌধুরী বাড়ীর মোঃ সফিক, শাকিল হোসেন, মাদরাসার শিক্ষক আবদুল আলিম, কারি ইব্রাহিম ও ইমরান হোসেন। এ ব্যাপারে তদন্তকারী কর্মকর্তা রায়পুর থানার উপ-পরিদর্শক আব্দুল কুদ্দুস বলেন, অভিযোগের তদন্ত চলছে।

মাদ্রাসার দাতা সদস্য আক্তার হোসেন চৌধুরী বলেন, গঠনাটি দূঃখজনক, চিকিৎসার জন্য মাদ্রাসার তহবিল হতে ৩০ হাজার টাকা দেয়া হয়েছে, এবং অভিযুক্ত সফিক ১০ হাজার টাকা দিয়েছে। তাছাড়া মাদ্রাসার সকল আবাসিক ছাত্রদেরকে ফান্ড থেকে খরচ বহন করা হয়, ছাত্রদের কাছ থেকে ৪ হাজার টাকা মাসিক ফি নেয়ার বিষয়টি আমার অজানা। নাম প্রকাশে অনিচ্চুক এলাকার একজন ব্যক্তি জানান, প্রায়ই মাদ্রাসার ছাত্রদের দিয়ে এমন কাজ করানো হয়, গঠনার দিন স্থানীয় নুরুল ইসলাম, সৈয়দ আহম্মদ ও সফিক মাদ্রাসার ৬ জন ছাত্রকে সুপারি পাড়তে নেন। ক্লান্ত হয়ে শিশুটি গাছ থেকে পড়ে যায়। শিক্ষকদের জিম্মায় থেকে এ ধরনের কাজ করায় শিক্ষকরা দায় এড়াতে পারেনা।

রায়পুর থানার অফিসার ইনচার্জ শিপন বড়ুয়া বলেন, এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, ঘটনাস্থলে গিয়ে গুরুত্ব সহকারে পুলিশ তদন্ত করছে, মাদ্রাসার শিশু-ছাত্রকে দিয়ে বেআইনী শিশুশ্রম দেয়ায় বাচ্ছাটি পড়ে গিয়ে মারাত্মক আহত হয়েছে, অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থা নেয়া হবে।