ঢাকা ০১:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রায়পুর গাজী কমপ্লেক্সের সম্পাদক শিপলু সহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ।

শনিবার হামলার প্রতিবাদে ব্যবসায়ীরা
শনিবার হামলার প্রতিবাদে ব্যবসায়ীরা রাজপথে। 

:
লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে একটি ব্যস্ততম মার্কেটের পাশবর্তী স্থানে নির্মাণ সামগ্রী রেখে ব্যবসায়ীদের ভোগান্তি বাড়ানোর প্রতিবাদ করায় মার্কেট ব্যবসায়ী পরিচালনা কমিটির নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক শিপলু ভাট এর বিরুদ্ধে রায়পুুর থানায় মামলা দায়ের নির্মানাধীন একতা টাওয়ার আমির হোসেন এজাহার দায়ের করলে মামলাটি রেকর্ড হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রায়পুর থানার ওসি( তদন্ত )হাসান জাহাঙ্গীর হোসেন। মামলার ঘটনায় সোমবার রাতে থানার সামনে ব্যবসায়ীরা মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করেন।

মার্কেট কমিটির সভাপতি আরিফ হোসেন বক্তব্যে বলেন, পুলিশের সাবেক সদস্য আমাদের মার্কেটের ম্যানেজার বেলায়েত হোসেন(৩০), দারোয়ান হারুন (৪৫), ও জেনারেটর কর্মচারি রবিন (২৫)কেও পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করা হয়। গুরুতর আহত রবিনকে রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং শিপলু ভাটকে চট্টগ্রামে একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।এখন আবার মামলা করে হয়রানি করছে। অবিলম্বে জড়িতদের শাস্তির দাবিতে ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবী জানান। সমাবেশে তিনি আরো বলেন বেশ কিছুদিন আগে থেকে গাজী কমপ্লেক্স সংলগ্ন জায়গায় পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত সাব ইন্সপেক্টর সৈয়দ আহম্মদ ৯তলা একটি ভবন নির্মান শুরু করেন। নির্মাণ সামগ্রী এবং গাড়ী পার্কিং করে দীর্ঘদিন থেকে ব্যবসায়ীদের ক্ষতি করে আসলেও সৈয়দ আহম্মদ প্রভাবশালী হওয়ায় কিছুতেই কারো অভিযোগ অনুযোগ কর্ণপাত করছিলেন না। শুক্ররার রাতে নির্মানাধীন ভবনের ময়লা পানি পাইপ দিয়ে গাজী মার্কেটের দিকে দিতে দেখে দারোয়ান হারুন বাধা দিলে তার ওপর হামলা চালান সৈয়দ আহাম্মদ ও তার দুই ছেলে আমির হোসন ও আনোয়ার হোসেন।

মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা সৈয়দ আহমেদ বলেন,বিল্ডিং নির্মাণ শুরু থেকে গত শনিবার পর্যন্ত দফায় দফায় চাঁদাবাজির জন্য মেয়র রুবেল ভাট ও তার ভাই শিবলু ভাটের নেতৃত্বে আমি ও আমার দুই ছেলেকে ব্যাপক মারধর করেছে। তাদের মারা ইটের আঘাতে তাদের লোকজন আহত হয়। মেয়র রুবেল ভাট শত শত মানুষের সামনে আমাকে মারধর করেছে।রুবেল প্রধানিয়া কমিশনার তার নেতৃত্বে অপর একটি গ্রুপ আমাকে দ্বিতীয় দফা মার্কেটে মারধর করে। আমি পানি নিষ্কাশনের জন্য পৌরসভা থেকে অনুমতি নিয়েই কাজ করেছি। আমি সন্ত্রাসী মেয়র ও হামলাকারীদের বিরুদ্ধে থানায় এজাহার জমা দিয়েছি। তারাই মারধর করলো তারাই পাল্টা মামলা করে হয়রানি করছে। আমার দুই ছেলেকে রড দিয়ে পিটিয়েছে তাই মামলা করেছি।

রায়পুর থানার ওসি তদন্ত হাসান জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন,গত শনিবার রাতে ময়লা পানি ড্রেনে দেয়াকে কেন্দ্র করে মেয়র গিয়াসউদ্দিন রুবেল ভাট ও তার ভাই শিপলু ভাটের সাথে সৈয়দ আহমেদদের সাথে মারামারির ঘটনা হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে যেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনে। হামলার ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তরা লিখিত অভিযোগ করেছেন।গাজী কমপ্লেক্স এর ব্যবসায়ীরা মামলা করেছেন, সেটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। সৈয়দ আহমেদের এজাহারটিও মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়েছে।

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

লক্ষ্মীপুরের উত্তরচরবংশী ইউনিয়ন বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের কমিটির বিলুপ্ত  

রায়পুর গাজী কমপ্লেক্সের সম্পাদক শিপলু সহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ।

আপডেট : ০২:২৭:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ অক্টোবর ২০২২
শনিবার হামলার প্রতিবাদে ব্যবসায়ীরা
শনিবার হামলার প্রতিবাদে ব্যবসায়ীরা রাজপথে। 

:
লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে একটি ব্যস্ততম মার্কেটের পাশবর্তী স্থানে নির্মাণ সামগ্রী রেখে ব্যবসায়ীদের ভোগান্তি বাড়ানোর প্রতিবাদ করায় মার্কেট ব্যবসায়ী পরিচালনা কমিটির নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক শিপলু ভাট এর বিরুদ্ধে রায়পুুর থানায় মামলা দায়ের নির্মানাধীন একতা টাওয়ার আমির হোসেন এজাহার দায়ের করলে মামলাটি রেকর্ড হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রায়পুর থানার ওসি( তদন্ত )হাসান জাহাঙ্গীর হোসেন। মামলার ঘটনায় সোমবার রাতে থানার সামনে ব্যবসায়ীরা মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করেন।

মার্কেট কমিটির সভাপতি আরিফ হোসেন বক্তব্যে বলেন, পুলিশের সাবেক সদস্য আমাদের মার্কেটের ম্যানেজার বেলায়েত হোসেন(৩০), দারোয়ান হারুন (৪৫), ও জেনারেটর কর্মচারি রবিন (২৫)কেও পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করা হয়। গুরুতর আহত রবিনকে রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং শিপলু ভাটকে চট্টগ্রামে একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।এখন আবার মামলা করে হয়রানি করছে। অবিলম্বে জড়িতদের শাস্তির দাবিতে ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবী জানান। সমাবেশে তিনি আরো বলেন বেশ কিছুদিন আগে থেকে গাজী কমপ্লেক্স সংলগ্ন জায়গায় পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত সাব ইন্সপেক্টর সৈয়দ আহম্মদ ৯তলা একটি ভবন নির্মান শুরু করেন। নির্মাণ সামগ্রী এবং গাড়ী পার্কিং করে দীর্ঘদিন থেকে ব্যবসায়ীদের ক্ষতি করে আসলেও সৈয়দ আহম্মদ প্রভাবশালী হওয়ায় কিছুতেই কারো অভিযোগ অনুযোগ কর্ণপাত করছিলেন না। শুক্ররার রাতে নির্মানাধীন ভবনের ময়লা পানি পাইপ দিয়ে গাজী মার্কেটের দিকে দিতে দেখে দারোয়ান হারুন বাধা দিলে তার ওপর হামলা চালান সৈয়দ আহাম্মদ ও তার দুই ছেলে আমির হোসন ও আনোয়ার হোসেন।

মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা সৈয়দ আহমেদ বলেন,বিল্ডিং নির্মাণ শুরু থেকে গত শনিবার পর্যন্ত দফায় দফায় চাঁদাবাজির জন্য মেয়র রুবেল ভাট ও তার ভাই শিবলু ভাটের নেতৃত্বে আমি ও আমার দুই ছেলেকে ব্যাপক মারধর করেছে। তাদের মারা ইটের আঘাতে তাদের লোকজন আহত হয়। মেয়র রুবেল ভাট শত শত মানুষের সামনে আমাকে মারধর করেছে।রুবেল প্রধানিয়া কমিশনার তার নেতৃত্বে অপর একটি গ্রুপ আমাকে দ্বিতীয় দফা মার্কেটে মারধর করে। আমি পানি নিষ্কাশনের জন্য পৌরসভা থেকে অনুমতি নিয়েই কাজ করেছি। আমি সন্ত্রাসী মেয়র ও হামলাকারীদের বিরুদ্ধে থানায় এজাহার জমা দিয়েছি। তারাই মারধর করলো তারাই পাল্টা মামলা করে হয়রানি করছে। আমার দুই ছেলেকে রড দিয়ে পিটিয়েছে তাই মামলা করেছি।

রায়পুর থানার ওসি তদন্ত হাসান জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন,গত শনিবার রাতে ময়লা পানি ড্রেনে দেয়াকে কেন্দ্র করে মেয়র গিয়াসউদ্দিন রুবেল ভাট ও তার ভাই শিপলু ভাটের সাথে সৈয়দ আহমেদদের সাথে মারামারির ঘটনা হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে যেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনে। হামলার ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তরা লিখিত অভিযোগ করেছেন।গাজী কমপ্লেক্স এর ব্যবসায়ীরা মামলা করেছেন, সেটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। সৈয়দ আহমেদের এজাহারটিও মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়েছে।