মোঃ সৈয়দ আহম্মদ, বিশেষ প্রতিনিধি।
লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে ব্যবসায়ী নেতা ও সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মারধরের অভিযোগে থানায় পাল্টা পাল্টি মামলা, আটক হয়নি এখনো পর্যন্ত কোন আসামি। সৈয়দ আহাম্মেদ (৬৫) নামের এক সাবেক পুলিশ কর্মকর্তাসহ তাঁর দুই ছেলেকে মারধরের অভিযোগে উঠেছে পৌর মেয়রের ভাইয়ের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় রবিবার রাতে সেই সাবেক পুলিশ কর্মকর্তার ছেলে আমির হোসেন বাদী হয়ে রায়পুর পৌর মেয়রের ভাই নুর উদ্দিন শিবলু ভাটসহ ৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৩০ জনকে আসামী করে রায়পুর থানায় মামলা করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে শহরের গাজী মার্কেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে বলা হচ্ছে। তাঁর দাবি, বাড়ী নির্মানে চাঁদা না দেওয়ায় এ ঘটনা ঘটেছে।
অভিযোগে জানা যায়, পৌর শহরের পুলিশের সাবেক এসআই সৈয়দ আহাম্মেদ উপজেলা সড়কের গাজী মার্কেট এলাকায় একটি বহুতল ভবন নির্মান কাজ শুরু করেন। নির্মানে পৌর সভাসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে অনুমদোন নিয়ে কাজ করছেন। নিমার্ন কাজের সময় পানি নিষ্কাশনে গাজী মার্কেটের ড্রেন ব্যবহার করে আসছেন। হঠাৎ করে গাজী মার্কেটের সাধারণ সম্পাদক জনাব নুর উদ্দিন ভাট শিবলু চাঁদার দাবিতে পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ করে দেয়।
শনিবার বার রাতে পুলিশ কর্মকর্তা সৈয়দ আহাম্মেদ লাইন খুলে দিয়ে এতে উভয়ের মধ্য কথা কাটাকাটির এক পর্যায় শিবলু ভাট তাঁর লোকজন খবর দিয়ে সৈয়দ আহাম্মেদ ও তাঁর দুই ছেলেকে মারধর করে। পরে পুলিশ এসে উভয়কে থানায় নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় উভয় পক্ষে থেকে দু’টি মামলা রুজু করা হয়।
অভিযুক্ত শিবলু ভাটের সাথে যোগাযোগ করিলে তিনি বলেন গাজীমার্কেট ড্রেনভাঙ্গা শুরু করলে আমার লোকজন বাধা দিলে তার দুই ছেলে আমির হোসেন ও আনোয়ার আমার ও লোকজনের উপর হামলা চালায়।
গাজীমার্কেট ব্যবসাহীরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনজন দাশ বরাবর একটি স্মারকলিপি দিয়েছেন। পৌর মেয়র গিয়াস উদ্দিন রুবেল ভাট বলেন, আমি বিষয়টি মিমাংসার চেষ্টা করছি।
পুলিশের সাবেক এসআই সৈয়দ আহাম্মেদ বলেন, মেয়রের ভাই শিবলুভাট ২০/২৫ লোকজন নিয়ে আসে আমাদের বেধম মারধর করে উল্টো আমাদের বিরুদ্ধে মামলা করছে।মেয়রের পিএস পরিচয়দানকারী তানভির আসামী হয়েও মেয়রের গাড়িতে ঘুরে বেড়ায়, মেয়রের ভাই শিবলুভাট এর বিরুদ্ধে মামলা করায় মেয়র আমার নির্মান কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। আমি এঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত দাবী করছি।
রায়পুর থানার ওসি (তদন্ত) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এ ঘটনায় উভয় পক্ষের থেকে দু’টি মামলা হয়েছে। আমরা আসামিদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।