ঢাকা ০৯:০০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রায়পুর মহিলা কলেজ’র অভ্যন্তরীণ দ্বন্ধ নিরসনে কার্যকর সমাধান ইউএনও অনজন দাশের।

মোঃওয়াহিদুর রহমান মুরাদ :
রায়পুর মহিলা কলেজ’র অভ্যন্তরীণ দ্বন্ধ নিরসনে কার্যকর সমাধান দিয়েছেন ১৭ই নভেম্বর বৃহস্পতিবার নিজ কার্যালয়ে রায়পুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ( ইউএনও) অনজন দাশ।

লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর উপজেলার একমাত্র মহিলা কলেজ ‘রায়পুর মহিলা কলেজ ‘। চারদলীয় সরকারের সাবেক এমপি বিএনপি সংসদ সদস্য আবুল খায়ের ভূইয়ার উদ্যোগে কলেজটি স্থাপিত হয়।

২০০২ সালে মহিলা কলেজ প্রতিষ্ঠিত হলেও এখন পর্যন্ত তা এমপিওভুক্ত হয়নি। ফলে কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীরা আর্থিক সংকটে দিনযাপন করছেন। শিক্ষা অধিদপ্তরের নীতিমালা অনুযায়ী নারী শিক্ষার অগ্রগতি ও উন্নয়নের জন্য প্রত্যেক উপজেলায় অন্তত একটি করে মহিলা কলেজ প্রতিষ্ঠার বিধান থাকলেও বার বার আবেদন করলেও গত ২০ বছরে এমপিওভুক্ত হয়নি এ কলেজটি। ফলে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে কলেজটির শিক্ষক-কর্মচারীদের মধ্যে।

তবে বর্তমানে কলেজের স্থানটি খাস খতিয়ান ভুক্ত। তাতেই বেঁধেছে জটিলতা। দুই যুগেও পায়নি এমপিও। নতুন করে সমস্যা তৈরি হয়েছে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ পদ নিয়ে জটিলতা। বর্তমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাজহারুল আনোয়ার টিপু কে কেন্দ্র করে আন্দোলনরত ছিলেন দীর্ঘদিন যাবৎ শিক্ষকরা।

সরেজমিন খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রায়পুর মহিলা কলেজ বর্তমানে কাগজ – কলমে সরকারি খাস খতিয়ানভূক্ত তালিকায় ভূমি জরিপ অধিদপ্তর কতৃক অন্তভুর্ক্ত হয়েছে। ২০০২ সালে কলেজটি যাত্রা শুরু করলেও ২০০৬ সালে সরকার থেকে ১.৭ একর জায়গা ১ লক্ষ ৪২ হাজার টাকায় ক্রয় করে প্রতিষ্ঠানটি ডাকাতিয়া নদীর পাঁড়ে।তবে এমপিওভূক্ত করন থমকে দাঁড়ায় ভূমি জরিপ এর ভূল অন্তভুর্ক্তে। আপিলের সুযোগ পেলেও তিন বছরেও আপিল করেনি কলেজ কতৃপক্ষ। ফলস্বরূপ ভূমি কর বকেয়া থাকায় মহিলা কলেজ এমপিওভুক্ত করন বাতিল হয়ে যায়। যদিও খাজনা ২০১২ সাল পর্যন্ত পরিশোধিত হয়। বর্তমানে কলেজটিতে প্রায় ৭০০ শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছেন। কলেজটিতে প্রায় শিক্ষক সহ কর্মচারী রয়েছেন অর্ধশতাধিক। প্রতিমাসে বেতনের জন্য খরচ হয় প্রায় ৩লাখ টাকা।উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত দুটি শাখায় অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীরা।

কলেজে আন্দোলনরত প্রভাষক উম্মে হানী বলেন, কলেজ ও শিক্ষার্থীদের স্বার্থে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আমাদেরকে চা এর আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। আমরা সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা নিয়ে ইউএনও’র কাছে আমাদের সমস্যা গুলো বিস্তারিত বললে তিনি শুনেন ও সমস্যা সমাধানে কার্যকর ভূমিকা নিয়েছেন।

কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাজহারুল আনোয়ার টিপু বলেন, ইউএনও মহোদ্বয় প্রানবন্ত আলোচনা করেছেন মহিলা কলেজ এর বিষয়। কিছু শিক্ষক প্রশাসনিক কার্যক্রম ভুল বুজেছেন। ইউএনও’র টেবিলে আলোচনা ফলপ্রসূ হওয়ায় অন্য শিক্ষকরা নিজেদের ভুল গুলো বুজতে পেরেছেন। আমরা সকল শিক্ষক মতবিরোধ ভুলে ঐক্যবদ্ধ আছি।

রায়পুর মহিলা কলেজ নিয়ে ইউএনও অনজন দাশ বলেন, শিক্ষার্থী ও কলেজের স্বার্থে শিক্ষকদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম। সবার কথা শুনেছি। প্রত্যেকে প্রত্যেকের অভিযোগ গুলো প্রত্যাহার করে নিবেন মর্মে কথা দিয়েছেন। ভবিষ্যতে এমন অবস্থা আর সৃষ্টি হবে না বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

লক্ষ্মীপুরের উত্তরচরবংশী ইউনিয়ন বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের কমিটির বিলুপ্ত  

রায়পুর মহিলা কলেজ’র অভ্যন্তরীণ দ্বন্ধ নিরসনে কার্যকর সমাধান ইউএনও অনজন দাশের।

আপডেট : ১২:০৯:০৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ নভেম্বর ২০২২

মোঃওয়াহিদুর রহমান মুরাদ :
রায়পুর মহিলা কলেজ’র অভ্যন্তরীণ দ্বন্ধ নিরসনে কার্যকর সমাধান দিয়েছেন ১৭ই নভেম্বর বৃহস্পতিবার নিজ কার্যালয়ে রায়পুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ( ইউএনও) অনজন দাশ।

লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর উপজেলার একমাত্র মহিলা কলেজ ‘রায়পুর মহিলা কলেজ ‘। চারদলীয় সরকারের সাবেক এমপি বিএনপি সংসদ সদস্য আবুল খায়ের ভূইয়ার উদ্যোগে কলেজটি স্থাপিত হয়।

২০০২ সালে মহিলা কলেজ প্রতিষ্ঠিত হলেও এখন পর্যন্ত তা এমপিওভুক্ত হয়নি। ফলে কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীরা আর্থিক সংকটে দিনযাপন করছেন। শিক্ষা অধিদপ্তরের নীতিমালা অনুযায়ী নারী শিক্ষার অগ্রগতি ও উন্নয়নের জন্য প্রত্যেক উপজেলায় অন্তত একটি করে মহিলা কলেজ প্রতিষ্ঠার বিধান থাকলেও বার বার আবেদন করলেও গত ২০ বছরে এমপিওভুক্ত হয়নি এ কলেজটি। ফলে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে কলেজটির শিক্ষক-কর্মচারীদের মধ্যে।

তবে বর্তমানে কলেজের স্থানটি খাস খতিয়ান ভুক্ত। তাতেই বেঁধেছে জটিলতা। দুই যুগেও পায়নি এমপিও। নতুন করে সমস্যা তৈরি হয়েছে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ পদ নিয়ে জটিলতা। বর্তমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাজহারুল আনোয়ার টিপু কে কেন্দ্র করে আন্দোলনরত ছিলেন দীর্ঘদিন যাবৎ শিক্ষকরা।

সরেজমিন খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রায়পুর মহিলা কলেজ বর্তমানে কাগজ – কলমে সরকারি খাস খতিয়ানভূক্ত তালিকায় ভূমি জরিপ অধিদপ্তর কতৃক অন্তভুর্ক্ত হয়েছে। ২০০২ সালে কলেজটি যাত্রা শুরু করলেও ২০০৬ সালে সরকার থেকে ১.৭ একর জায়গা ১ লক্ষ ৪২ হাজার টাকায় ক্রয় করে প্রতিষ্ঠানটি ডাকাতিয়া নদীর পাঁড়ে।তবে এমপিওভূক্ত করন থমকে দাঁড়ায় ভূমি জরিপ এর ভূল অন্তভুর্ক্তে। আপিলের সুযোগ পেলেও তিন বছরেও আপিল করেনি কলেজ কতৃপক্ষ। ফলস্বরূপ ভূমি কর বকেয়া থাকায় মহিলা কলেজ এমপিওভুক্ত করন বাতিল হয়ে যায়। যদিও খাজনা ২০১২ সাল পর্যন্ত পরিশোধিত হয়। বর্তমানে কলেজটিতে প্রায় ৭০০ শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছেন। কলেজটিতে প্রায় শিক্ষক সহ কর্মচারী রয়েছেন অর্ধশতাধিক। প্রতিমাসে বেতনের জন্য খরচ হয় প্রায় ৩লাখ টাকা।উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত দুটি শাখায় অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীরা।

কলেজে আন্দোলনরত প্রভাষক উম্মে হানী বলেন, কলেজ ও শিক্ষার্থীদের স্বার্থে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আমাদেরকে চা এর আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। আমরা সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা নিয়ে ইউএনও’র কাছে আমাদের সমস্যা গুলো বিস্তারিত বললে তিনি শুনেন ও সমস্যা সমাধানে কার্যকর ভূমিকা নিয়েছেন।

কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাজহারুল আনোয়ার টিপু বলেন, ইউএনও মহোদ্বয় প্রানবন্ত আলোচনা করেছেন মহিলা কলেজ এর বিষয়। কিছু শিক্ষক প্রশাসনিক কার্যক্রম ভুল বুজেছেন। ইউএনও’র টেবিলে আলোচনা ফলপ্রসূ হওয়ায় অন্য শিক্ষকরা নিজেদের ভুল গুলো বুজতে পেরেছেন। আমরা সকল শিক্ষক মতবিরোধ ভুলে ঐক্যবদ্ধ আছি।

রায়পুর মহিলা কলেজ নিয়ে ইউএনও অনজন দাশ বলেন, শিক্ষার্থী ও কলেজের স্বার্থে শিক্ষকদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম। সবার কথা শুনেছি। প্রত্যেকে প্রত্যেকের অভিযোগ গুলো প্রত্যাহার করে নিবেন মর্মে কথা দিয়েছেন। ভবিষ্যতে এমন অবস্থা আর সৃষ্টি হবে না বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।