লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাঙচুরের অভিযোগে বিএনপির ১৮৬ নেতাকর্মীর নামে মামলা হয়েছে। আজ সোমবার সকালে পৌর শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান মাফু রামগতি থানায় এ মামলা করেন।
মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে উপজেলা বিএনপির সদস্য শাহ মো. শিব্বিরকে। ৩৬ জনের নাম উল্লেখ ছাড়াও মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় আরও দেড়শ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে।
এর আগে গতকাল রোববার রাত সোয়া ১১টার দিকে রামগতি উপজেলার আলেকজান্ডার এলাকায় উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়। সে সময় হামলায় আহত হন মাফু। তাকে রামগতি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াহেদ বলেন, ‘কোনো কারণ ছাড়াই রাতের বেলা বিএনপির সন্ত্রাসীরা আমাদের দলীয় অফিসে হামলা চালিয়ে আসবাবপত্র ভাঙচুর করেছে। আমাদের এক নেতাকে পিটিয়ে আহত করেছে।
ভাঙচুরের পর রামগতি উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়।
লক্ষ্মীপুরে বিআরডিবির ২ কর্মকর্তাসহ তিন জনের বিরুদ্ধে ৩০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
‘এই হামলায় ৩৫-৪০ জন সন্ত্রাসী অংশ নেয়। আমরা এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। সেই সঙ্গে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাই।’
তবে এ ঘটনা আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে হয়েছে দাবি করে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক জামাল উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের সব নেতাকর্মী এখনো ঢাকাতেই আছেন। কেউ এ হামলার সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়।
‘নিজেরা নিজেদের অফিসে হামলা চালিয়ে আমাদের ওপর দোষ চাপাচ্ছে এবং আমাদের নেতাকর্মীদের নামে মামলাও দিয়েছে। সিএনজি স্টেশনের চাঁদাবাজিকে কেন্দ্র করে এই হামলা ও ভাঙচুর হয়েছে বলে শুনেছি।’
এ বিষয়ে রামগতি থানার ওসি মো. আলমগীর হোসেন বলেন, ‘আওয়ামী লীগ অফিসে হামলা, ভাঙচুর ও একজনকে আহত করার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।’