রামগঞ্জে প্রচার-প্রচারণায় ভোটারদের মন জয় করছেন চেয়ারম্যান প্রার্থী ইমতিয়াজ
লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলার আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ইমতিয়াজ আরাফাত। জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পুত্র ইমতিয়াজ আরাফাত তরুণ – প্রবীণের কাছে আগ্রহের কেন্দ্রবৃন্দুতে পরিনত হয়েছেন হাট-বাজারে। এলাকায় এলাকায় গিয়ে কুশল বিনিময় করছেন ভোটারদের সাথে।
এবার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চার ধাপে ভোট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। যার প্রথমটি হবে আগামী ৪ মে। এরপর ১১ মে দ্বিতীয়, ১৮ মে তৃতীয় ও ২৫ মে চতুর্থ ধাপে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ভোট হবে। এরই ধারাবাহিকতায় রামগঞ্জ উপজেলার সব ইউনিয়নে নির্বাচনী হাওয়া বইতে শুরু করেছে।
(৪ঠা মার্চ) সোমবার সকালে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের বাজার’সহ পৌরসভা ও মসজিদ -মাদ্রাসায় , হাট এলাকা গণসংযোগ ও পথসভা করেছেন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ইমতিয়াজ আরাফাত । চেয়ারম্যান প্রার্থীদের আলোচনায় যাদের নাম প্রথমে সেই ইমতিয়াজ আরাফাত দিনরাত উপজেলার আনাচে-কানাচে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে ভোটারদের মন জয় করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
দল্টা বাজার,পানপাড়া, কাঞ্চনপুর,নোয়াগাঁও, ভাদুর,ইছাপুর,চণ্ডিপুর, লামচর,দরবেশপুর, করপাড়ায় জনসংযোগ কালে তিনি নারীদের অর্থনৈতিক উন্নয়ন’সহ নানামুখী উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দেন ভোটারদের মাঝে।
রামগঞ্জ উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪-৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করবেন বলে শোনা যাচ্ছে। তার মধ্যে জনপ্রিয়তায় এগিয়ে রয়েছেন মেধাবী ছাত্র ও সেচ্ছাসেবকলীগ নেতা ইমতিয়াজ আরাফাত।
এ বিষয়ে কথা হয় চেয়ারম্যান প্রার্থী ইমতিয়াজ আরাফাত এর সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, উপজেলাবাসী চাইলে এই নির্বাচনে আমি জয়লাভ করবো ইনশা আল্লাহ। নির্বাচিত হলে উপজেলাবাসীর জন্য প্রথম কোন কাজটি করবেন এমন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের পদক্ষেপ অনুযায়ী উপজেলা থেকে মাদকের বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করব। সম্মিলিত উদ্যোগে মরন নেশা মাদকের হাত থেকে যুব সমাজকে রক্ষা করতে হবে।
তিনি সকল শ্রেনী পেশার মানুষের সহযোগীতা চান এবং তাদের মাধ্যমে উপজেলাবাসীর কাছে দোয়া ও ভোট কামনা করেন। তিনি জানিয়েছেন অনেক আগে থেকেই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান হিসেবে প্রার্থী হওয়ার আশায় মাঠ আগে ভাগেই সাজিয়েছেন। এখন প্রতীক পেলে জনগণের দোয়ায় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয় লাভ করবেন বলে আশা করছেন এই উদীয়মান নেতা।
তিনি আরো বলেন, ‘আমি সাধারণ মানুষের প্রার্থী হয়েছি। সাধারণ মানুষ আমার পক্ষে কাজ করছে। উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ আমার পক্ষে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যাচ্ছে আশা করি আমরা জয়ী হব। আমি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে উপজেলার বিভিন্ন রাস্তাঘাট স্কুল, কলেজ, মাদরাসা, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের উন্নয়নসহ সর্বস্তরে মানুষের উন্নয়নের জন্য কাজ করব। জয়ের ব্যাপারে আমি শতভাগ আশাবাদী।নির্বাচনের পূর্বেও আমিও এলাকার উন্নয়নে আমার বাবা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মাদ শাহজাহান এর সহযোগিতায় আরো বেশী উন্নয়ন কাজ করে যেতে পারবো নির্বাচিত হলে।
ট্যাগ :