ঢাকা ০৫:৪৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
আকাশে উঠেই চাকা খুলে গেলো, পাইলটের দক্ষতায় সফল অবতরণ ২৩ সেকেন্ডে ২১ বার বেত্রাঘাত শিশু শিক্ষার্থীকে : গ্রেফতারে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ রায়পুরে বিনামূল্যে জেলেরা পেলো প্রয়োজনীয় সামগ্রী লক্ষ্মীপুরে দুর্বৃত্তদের লুটপাট : বৃদ্ধাকে নৃশংস ভাবে হত্যা লক্ষ্মীপুরে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগ রায়পুরে আওয়ামী সমর্থিত দুই জনপ্রতিনিধিসহ ৬ জন গ্রেফতার নোয়াখালীতে ট্রাকের ধাক্কায় মা-মেয়ের মৃত্যু সংরক্ষিত আসনের সাবেক এমপি সেলিনা ইসলাম গ্রেপ্তার লক্ষ্মীপুরে চার শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় ১৯ আ. লীগ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার পারিবারিক কলহের জেরে স্বামী – স্ত্রীর শরীরে পেট্রোল ঢেলে আগুন, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন

রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য হয়ে হাসিনা বাবাকে ও দলকে সম্মান দিতে পারেনি- লক্ষ্মীপুরে এ্যানী

শেখ হাসিনা গণশত্রুতে পরিণত হয়েই দেশ ছেড়ে পালিয়েছ যেতে বাধ্য হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী । তিনি বলেন, যিনি (শেখ হাসিনা) পালিয়ে গিয়েছেন। তিনি তো রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য ছিলেন। তার সম্মানটাতো তিনি নিতে পারেননি। তিনি গণশত্রু ও জনশত্রুতে পরিণত হয়েছে। কারণ তিনি বেগম খালেদা জিয়া ও প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ইউনূসকে সম্মান দিতে পারেননি।

তিনি মিথ্যা মামলা দিয়ে তাদের সাজা দিয়েছেন। যার কারণে তিনি বাধ্য হয়ে এ দেশ থেকে পালিয়ে গেছেন। একটি রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য হয়ে তিনি তার বাবাকে সম্মান দিতে পারেনি। দলকে সম্মান দিতে পারেনি। বাংলাদেশের মানুষকেও সম্মান দিতে পারেনি বলেই তিনি গণশত্রুতে পরিণত হয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে বাংলাদেশ মাদরাসা জেনারেল টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমজিটিএ) লক্ষ্মীপুর জেলার তৃতীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সংগঠনের ব্যানারে সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

এ্যানি বলেন, এখন দেশে দ্বিতীয় বিপ্লব, দ্বিতীয় স্বাধীনতা। ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের মধ্যদিয়ে আমরা নতুন আশা-আকঙ্ক্ষা, নতুন ভবিষ্যৎ ও নতুন বাংলাদেশ দেখতে পাচ্ছি। নতুন বাংলাদেশের কারিগর হলেন এ শিক্ষক ও ছাত্ররা। আমরা সবাই নতুন বাংলাদেশ গঠনে উঠে পড়ে লেগেছি। এটি আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ। আন্দোলনে সংগ্রামে শহীদদের আমরা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি। ১৫ বছর চেষ্টা করে আমরা আন্দোলন থেকে বের হতে পারিনি। ছাত্ররা যখন আমাদের সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে একত্র হয়েছেন, এ মেধাবীরা। তাদের দিয়েই আমরা এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি।

এ্যানি আরও বলেন, সংস্কার শেষে নির্বাচন হবে। জনপ্রতিনিধিদের ছাড়া ডিসি সাহেবরা বিপদে পড়ে যাবেন। হারিয়ে যাওয়া গণতন্ত্রের ভীতকে শক্তিশালী করে জনগণের সরকারি প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করা ও সংগ্রাম। যতদিন পর্যন্ত আমরা তা নিশ্চিত করতে পারবো না, ততদিন আমরা দুর্বল জাতি হিসেবে থাকবো। অন্তর্বর্তী সরকারকে আমরা সর্বত্মক সহযোগিতা করছি। কোনোভাবেই এ সরকারকে ফেল করতে দেওয়া যাবে না। এ সরকার ফেল করলে আমার আপনার বিপদ আছে। এ বিপদ থেকে বের হতে আমাদের এক ও ঐকবদ্ধ থাকতে হবে।

সম্মেলনের উদ্বোধক ছিলেন লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক (ডিসি) রাজিব কুমার সরকার। আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জেপি দেওয়ান ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) সম্রাট খীসা।

বিএমজিটিএ লক্ষ্মীপুর জেলা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আলীর সভাপতিত্বে মুখ্য আলোচক ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি হারুন অর রশিদ ও বিশেষ আলোচক ছিলেন মহাসচিব ফিরোজ আলম। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সাহাব উদ্দিন সাবু, লক্ষ্মীপুর আলিয়া মাদরাসার সাবেক অধ্যক্ষ একেএম আব্দুল্লাহ ও ভবানীগঞ্জ কারামতিয়া ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা ইব্রাহিম শামীম।

সম্মেলেন অতিথিদের কাছে বিএমজিটিএ নেতারা তাদের ৯ দফা দাবি তুলে ধরেন।

দাবিগুলো হলো- মাদরাসাসহ সব শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করন করা। শূন্যপদে ইনডেক্সধারী সব শিক্ষকের বদলি ব্যবস্থা চালু করা। সহকারী শিক্ষকদের দ্রুত অষ্টম গ্রেড বাস্তবায়ন করা হয়। সরকারি নিয়মে বাড়ি ভাড়া, উৎসব ভাতা ও চিকিৎসা ভাতা প্রদান করা। ১৬ বছরে সব প্রভাষকদের সহকারী অধ্যাপকে পদোন্নতি এবং সহযোগী অধ্যাপক ও অধ্যাপক পদে জেনারেল শিক্ষকদের সুযোগ দেয়। ইএফটিরি মাধ্যমে বেতন প্রদান করা। মাদরাসার সর্বস্তরের শিক্ষকদের জন্য স্তর এবং পদমর্যাদা অনুযায়ী সরকারি নিয়মে গৃহঋণ পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। চাকরিকাল শেষ হওয়ার ৬ মাসের মধ্যেই অবসর ও কল্যাণ ট্রাস্টের অর্থ প্রদান নিশ্চিত করতে হবে। মাদরাসার প্রশাসনিক অন্তত একটি পদে জেনারেল শিক্ষকদের সুযোগ দেওয়া।

ট্যাগস :

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

নিজস্ব প্রতিবেদক

আমাদের সম্পর্কে lakshmipurbulletin সম্পর্কে lakshmipurbulletin লক্ষ্য হল আমাদের পাঠকদের সঠিক এবং বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রদান করা, যেগুলি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ গল্পগুলিকে কভার করে৷ আমাদের টিম: আমাদের অভিজ্ঞ সাংবাদিক এবং সম্পাদকদের দল উচ্চ মানের সংবাদ এবং বিশ্লেষণ প্রদানের জন্য নিবেদিত। আমরা সর্বশেষ উন্নয়নের অগ্রভাগে থাকার এবং আমাদের পাঠকদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলির উপর গভীরভাবে প্রতিবেদন প্রদান করার চেষ্টা করি৷আমাদের সাথে কাজ করছেন লক্ষ্মীপুর সদর থেকে মাহমুদুর রহমান মনজু ,রায়পুর থেকে পীরজাদা মাসুদ হোসাইন, রামগঞ্জ থেকে ইয়াকুব আলী এবং কমলনগর থেকে এ আই তারেক। আমাদের কভারেজ: আমরা রাজনীতি, অর্থনীতি, খেলাধুলা, বিনোদন, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তি, বৈশিষ্ট্য, জীবনধারা এবং কলাম সহ বিস্তৃত বিষয় কভার করি। আমাদের লক্ষ্য হল আমাদের পাঠকদের তাদের অবগত থাকার জন্য এবং জ্ঞাত সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করা। আমাদের ভিশন: দ্রুত ক্রমবর্ধমান শ্রোতাদের সাথে lakshmipurbulletin আমাদের নাগাল প্রসারিত করতে এবং আরও বেশি জায়গায় আরও বেশি পাঠকের কাছে খবর পৌঁছে দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা আমাদের পাঠকদের সর্বশেষ খবর এবং বিশ্লেষণ প্রদান করতে নিবেদিত, তারা যেখানেই থাকুক না কেন। যোগাযোগ করুন: প্রশ্ন বা মন্তব্যের জন্য, দৈনিক লক্ষ্মীপুর বুলেটিন পেইজে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন। আমরা আপনার মূল্যবান প্রতিক্রিয়া এবং আপনার কাছ থেকে শোনার জন্য উন্মুখ. ধন্যবাদন্তে সম্পাদক ও প্রকাশক দৈনিক লক্ষ্মীপুর বুলেটিন ।
জনপ্রিয় সংবাদ

আকাশে উঠেই চাকা খুলে গেলো, পাইলটের দক্ষতায় সফল অবতরণ

রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য হয়ে হাসিনা বাবাকে ও দলকে সম্মান দিতে পারেনি- লক্ষ্মীপুরে এ্যানী

আপডেট সময় : ০৭:১৩:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪

শেখ হাসিনা গণশত্রুতে পরিণত হয়েই দেশ ছেড়ে পালিয়েছ যেতে বাধ্য হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী । তিনি বলেন, যিনি (শেখ হাসিনা) পালিয়ে গিয়েছেন। তিনি তো রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য ছিলেন। তার সম্মানটাতো তিনি নিতে পারেননি। তিনি গণশত্রু ও জনশত্রুতে পরিণত হয়েছে। কারণ তিনি বেগম খালেদা জিয়া ও প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ইউনূসকে সম্মান দিতে পারেননি।

তিনি মিথ্যা মামলা দিয়ে তাদের সাজা দিয়েছেন। যার কারণে তিনি বাধ্য হয়ে এ দেশ থেকে পালিয়ে গেছেন। একটি রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য হয়ে তিনি তার বাবাকে সম্মান দিতে পারেনি। দলকে সম্মান দিতে পারেনি। বাংলাদেশের মানুষকেও সম্মান দিতে পারেনি বলেই তিনি গণশত্রুতে পরিণত হয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে বাংলাদেশ মাদরাসা জেনারেল টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমজিটিএ) লক্ষ্মীপুর জেলার তৃতীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সংগঠনের ব্যানারে সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

এ্যানি বলেন, এখন দেশে দ্বিতীয় বিপ্লব, দ্বিতীয় স্বাধীনতা। ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের মধ্যদিয়ে আমরা নতুন আশা-আকঙ্ক্ষা, নতুন ভবিষ্যৎ ও নতুন বাংলাদেশ দেখতে পাচ্ছি। নতুন বাংলাদেশের কারিগর হলেন এ শিক্ষক ও ছাত্ররা। আমরা সবাই নতুন বাংলাদেশ গঠনে উঠে পড়ে লেগেছি। এটি আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ। আন্দোলনে সংগ্রামে শহীদদের আমরা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি। ১৫ বছর চেষ্টা করে আমরা আন্দোলন থেকে বের হতে পারিনি। ছাত্ররা যখন আমাদের সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে একত্র হয়েছেন, এ মেধাবীরা। তাদের দিয়েই আমরা এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি।

এ্যানি আরও বলেন, সংস্কার শেষে নির্বাচন হবে। জনপ্রতিনিধিদের ছাড়া ডিসি সাহেবরা বিপদে পড়ে যাবেন। হারিয়ে যাওয়া গণতন্ত্রের ভীতকে শক্তিশালী করে জনগণের সরকারি প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করা ও সংগ্রাম। যতদিন পর্যন্ত আমরা তা নিশ্চিত করতে পারবো না, ততদিন আমরা দুর্বল জাতি হিসেবে থাকবো। অন্তর্বর্তী সরকারকে আমরা সর্বত্মক সহযোগিতা করছি। কোনোভাবেই এ সরকারকে ফেল করতে দেওয়া যাবে না। এ সরকার ফেল করলে আমার আপনার বিপদ আছে। এ বিপদ থেকে বের হতে আমাদের এক ও ঐকবদ্ধ থাকতে হবে।

সম্মেলনের উদ্বোধক ছিলেন লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক (ডিসি) রাজিব কুমার সরকার। আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জেপি দেওয়ান ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) সম্রাট খীসা।

বিএমজিটিএ লক্ষ্মীপুর জেলা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আলীর সভাপতিত্বে মুখ্য আলোচক ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি হারুন অর রশিদ ও বিশেষ আলোচক ছিলেন মহাসচিব ফিরোজ আলম। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সাহাব উদ্দিন সাবু, লক্ষ্মীপুর আলিয়া মাদরাসার সাবেক অধ্যক্ষ একেএম আব্দুল্লাহ ও ভবানীগঞ্জ কারামতিয়া ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা ইব্রাহিম শামীম।

সম্মেলেন অতিথিদের কাছে বিএমজিটিএ নেতারা তাদের ৯ দফা দাবি তুলে ধরেন।

দাবিগুলো হলো- মাদরাসাসহ সব শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করন করা। শূন্যপদে ইনডেক্সধারী সব শিক্ষকের বদলি ব্যবস্থা চালু করা। সহকারী শিক্ষকদের দ্রুত অষ্টম গ্রেড বাস্তবায়ন করা হয়। সরকারি নিয়মে বাড়ি ভাড়া, উৎসব ভাতা ও চিকিৎসা ভাতা প্রদান করা। ১৬ বছরে সব প্রভাষকদের সহকারী অধ্যাপকে পদোন্নতি এবং সহযোগী অধ্যাপক ও অধ্যাপক পদে জেনারেল শিক্ষকদের সুযোগ দেয়। ইএফটিরি মাধ্যমে বেতন প্রদান করা। মাদরাসার সর্বস্তরের শিক্ষকদের জন্য স্তর এবং পদমর্যাদা অনুযায়ী সরকারি নিয়মে গৃহঋণ পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। চাকরিকাল শেষ হওয়ার ৬ মাসের মধ্যেই অবসর ও কল্যাণ ট্রাস্টের অর্থ প্রদান নিশ্চিত করতে হবে। মাদরাসার প্রশাসনিক অন্তত একটি পদে জেনারেল শিক্ষকদের সুযোগ দেওয়া।